ঘূর্ণিঝড় মিধিলি
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: ডুবে যাওয়া জাহাজের নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাগর উপকূল থেকে মো. এমদাদুল হক (২২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কুমিরা এলাকার সাগর উপকুল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে দিনমজুরের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
জানা যায়, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সাইক্লোন মিধিলির প্রভাবে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সাগরে পাথর বোঝাই একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে গেলে সবাই সাঁতরে কূলে উঠলেও এমদাদ নিখোঁজ হন।
এদিকে তিন দিন পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরায় সাগরের জোয়ারের পানিতে লাশটি ভেসে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৃত এমদাদুল হকের ভাই শহীদুল্লাহ।
কুমিরা নৌ পুলিশের ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ নাছির বলেন, কুমিরা সাগর উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানিতে একটি লাশ ভাসছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ও গাউছিয়া কমিটির সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করি।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে খাল থেকে স্কুলছাত্রের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
নাটোরে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি'র প্রভাবে ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হওয়ায় বাতাসের মান 'মধ্যম' পর্যায়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৬২ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৩০তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং কুয়েতের কুয়েত সিটি যথাক্রমে ৩২৮, ৩১৭ এবং ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
১ বছর আগে