গাড়িবহর
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার আসামি সাত্তারের মৃত্যু
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আব্দুস সাত্তার উপজেলার কয়লা গ্রামের মৃত লতিফ সানার ছেলে।
আরও পড়ুন: অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের সুপার আবুল বাশার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল লতিফ। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারাগার থেকে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাত্তারের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বালুভর্তি ট্রাক উল্টে কিশোরের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু
১০ মাস আগে
নবীনগরে সাবেক এমপির গাড়িবহরে হামলা, আহত ২
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এমপি অক্ষত অবস্থায় থাকলেও তার ব্যক্তিগত পিএস সাইফুর রহমান সোহেল ও গাড়িচালক ফারুকসহ দুইজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় সলিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতাল সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ইরানে কাসেম সোলাইমানির স্মরণসভায় বোমা হামলায় নিহত ১০৩
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক লাহোর ফতেপুর ইউনিয়নের বাসারুক গ্রামে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল শিকদারের সভাপতিত্বে, সাবেক সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুলের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে নির্বাচনের পর ৫০টি বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ, আহত ১০
অনুষ্ঠান শেষ করে ঢাকা ফেরার পথে সলিমগঞ্জ বাজার আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে কিছু দূর এলে আমিনুল, ইশতিয়াক, শান্তসহ ১০-১২ জন অতর্কিতভাবে পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। তারা সবাই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদের অনুসারী বলে পরিচিত।
তখন বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে পাঁচটি মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টসহ আহত ৪
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারীদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
১১ মাস আগে
মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার মামলায় বিচার শুরু
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার মামলায় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তার অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৬ ডিসেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটের ওপর হামলা: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ
ইশতিয়াক মাহমুদের আইনজীবী গাজী ফয়সাল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ৬ ডিসেম্বর মামলাটি সাক্ষ্যের জন্য রেখেছেন আদালত। ইতোমধ্যে এ মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য হয়েছে।
আদালত বলেছেন, আমরা চাইলে ওই ৬ সাক্ষীকে জেরা করতে পারব।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেল, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদ।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেয় ডিবি পুলিশ। মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।
২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আব্দুর রউফ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১ মার্চ নয় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত বছরের ২৮ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। গত ৪ ডিসেম্বর এ মামলায় ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়। পরে দেখা যায় এদের মধ্যে সাক্ষী ড. বদিউল আলম মজুমদার, খুশি বেগম ও মাহবুবুল আলম মজুমদার তাদের জবানবন্দিতে জনৈক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেন।
গত ২৭ ডিসেম্বর আদালত এ মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায় থেকে উত্তোলন করে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ঢাকার সিএমএম কোর্ট বরাবর পাঠান।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা: ৯ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল
যুক্তরাষ্ট্র কোনো দলকে সমর্থন করে না: বার্নিকাট
১ বছর আগে