পক্ষপাতিত্ব
নির্বাচনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে চট্টগ্রামে আরও দুই ওসিকে বদলি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই প্রার্থীর পক্ষে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠায় চট্টগ্রামে আরও দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওসিরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগরীর পুলিশের (সিএমপি) খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল হায়দার ও পটিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. মিজানুর রহমানের সই করা এক আদেশে এই বদলির কথা জানানো হয়েছে। আদেশে দুই ওসিকে বদলির কথা বলা হলেও পরবর্তী কর্মস্থলের কথা উল্লেখ করা হয়নি।
জানা গেছে, খুলশী থানার ওসি রুবেল হায়দারের বিরুদ্ধে সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে একটি পোস্ট কার্ড ছড়িয়ে পড়ে। ‘নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি’- লেখা ওই পোস্ট কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনের এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর পক্ষে কাজ করতে পাঁচলাইশের হিলভিউ আবাসিক এলাকার রহমান নগরের বাড়ি ভিল ম্যাক্স ফারিহার সপ্তম তলায় বিনা ভাড়ায় থাকছেন ওসি রুবেল হাওলাদার। যদিও রুবেল হাওলাদার ওই পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এদিকে ওসি নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে পটিয়া আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর নির্বাচনী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবেন- নির্বাচন কমিশনে এমন অভিযোগ করেন নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
গত ৭ ডিসেম্বর করা এই অভিযোগে মোতাহেরুল ইসলাম আরও উল্লেখ করেন, ওসি নেজাম উদ্দিনের নানা শ্বশুরের বাড়ি পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নে এবং তিনি হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর দূরসম্পর্কের আত্মীয় হন। সামশুল হক আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য হুইপের ক্ষমতায় গত ১২ নভেম্বর নিজের পছন্দের এই ওসিকে বদলি করে আনেন। আমি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে ওসি নেজাম উদ্দিন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন।
এর আগে সিএমপির পাঁচ থানাসহ ছয় উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও বদলি করা হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
১১ মাস আগে
'নির্বাচন বানচালের হুমকিদাতারা অতীতে ক্ষমতার অগণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে'
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, অতীতে কিছু বিরোধী দল ক্ষমতার অগণতান্ত্রিক পরিবর্তনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছে সেই বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন না করলে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বানচালের হুমকি দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সচিবালয়ে কমনওয়েলথ প্রি-ইলেকশন অ্যাসেসমেন্ট মিশনের (পিইএএম) সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত বলেও মিশনকে অবহিত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্বাচন নাগরিকদের জন্য একটি উৎসবমুখর অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশে ভোটারদের অংশগ্রহণ সাধারণত অনেক বেশি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপক অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের প্রকৃত মাপকাঠি হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের মন্তব্য 'মিথ্যা ও বানোয়াট': পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রতিনিধি দলের নেতা লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ বলেন, কমনওয়েলথ ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও সামগ্রিক এবং এর মধ্যে বিস্তৃত বিষয় রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহায়তা প্রদানের জন্য তার সংগঠন ইতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত রয়েছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আগ্রহী সকল বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষককে সরকারের সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত থাকার কথা ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমনওয়েলথ ব্যবস্থায় বৃহত্তর ভূমিকা পালনে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে সফররত প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য' নির্বাচন আয়োজনে অংশীজনদের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তার গণতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বর্তমান সরকার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ভোটার তালিকা প্রণয়ন, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রবর্তন, নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ বাজেটের স্বাধীনতা প্রদান করেছে। এছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য বিচারকের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান কমিটির ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আইন প্রণয়নের মতো নির্বাচনী সংস্কারের কাজও শুরু করেছে।
কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছে।
তারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবেন এবং কমনওয়েলথ মহাসচিবের কাছে সুপারিশ করবেন।
এরপর কমনওয়েলথ মহাসচিব পর্যবেক্ষক মিশন পাঠাবেন কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: কল্পনা প্রসঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইবে ঢাকা
১ বছর আগে