উন্নত পরিষেবা
বুড়িমারী স্থলবন্দর সম্প্রসারণ: উন্নত বাণিজ্য ও পরিষেবার দিকে যাত্রা
পাসপোর্টধারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের উন্নত সেবা দিতে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে এরই মধ্যে আরো ৬০ একর ৮৯ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
‘স্থলবন্দর সম্প্রসারণ ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ’ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি করা মালামাল সংরক্ষণ ও পার্কিং নির্মাণে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে বাংলাদেশের অন্যতম স্থলবন্দর বুড়িমারী স্থলবন্দর।
প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে এই স্থলবন্দরটির। ফলে বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য প্রতিবেশিরা বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১৪০ একর জমিতে হচ্ছে কৃষিবান্ধব বাণিজ্যিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে এরই মধ্যে আরো ৬০ একর ৮৯ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এরই মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া কমবে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ১১ একর ১৫ শতক জমির উপর বুড়িমারী স্থলবন্দরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও আমদানি-রপ্তানিকারকদের সেবা দিয়ে আসছে। বন্দরে একটি প্রশাসনিক ভবন, ৩টি ডিজিটাল ওয়েব্রিজ স্কেল, একটি ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ভবন, একটি শ্রমিক বিশ্রামাগার, দু’টি ৪০০ টন ধারণ ক্ষমতার শেড, একটি এক হাজার টন ধারণ ক্ষমতার শেড, দু’টি ট্রান্সশিপমেন্ট শেড ও দু’টি ওপেন ইয়ার্ড রয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের অরুণিমায় অতিথি পাখি দেখতে পর্যটকদের ভিড়
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে বুড়িমারী স্থলবন্দর, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
বুড়িমারী কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আলীম বলেন, ‘পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলা সেবার মান নিম্নমুখী। এজন্য সরকার ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সেবার মান নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে সব পক্ষেরই সুবিধা হবে।’
নৌপরিবহন মন্ত্রী মো. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দর আধুনিকায়নের কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে বিশ্বমানের একটি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।’
বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। এতে যেমন সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, তেমনি সব ধরনের চোরাচালান ও অনিয়ম বন্ধের পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।’
আরও পড়ুন: বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ৮দিন বন্ধ থাকবে
১ বছর আগে