কোয়েল পাখি
আগুনে পুড়ে মরল ৮ হাজার কোয়েল পাখি, ৬ লাখ টাকার ক্ষতি
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় কোয়েল পাখির খামারে বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের ত্রুটি থেকে আগুন ধরে ৮ হাজার কোয়েল পাখি পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলা বাবুখালী ইউনিয়নের ডুমুরশিয়া গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির ভুলে এমন ঘটনা ঘটেছে দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিক অরিন আক্তার লিনার।
আরও পড়ুন: শখের পোষা পাখি এখন তামিমের আয়ের উৎস
তাই শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এ ঘটনায় বিকালে স্থানীয় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মো. শিমুলের নামে মহম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
খামার মালিক অরিন আক্তার লিনা উপজেলার ডুমুরশিয়া গ্রামের একজন নারী উদ্যোক্তা।
অভিযোগ ও খামার মালিক সূত্রে জানা যায়, খামারে কোয়েল পাখি বাচ্চা ব্রুডিং করাতে বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের দরকার হয়। পরে স্থানীয় ডুমুরশিয়া গ্রামের বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি শিমুলকে ডেকে আনা হয়।
কাজের একপর্যায়ে সে খামারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রেখে লাইন সরাসরি করে দেয়। বাকি কাজ পরের দিন শেষ করবে বলে অন্যত্র কাজে চলে যায়। সরাসরি লাইন দেওয়ায় রাতে অতিরিক্ত লোড হয়ে বৈদ্যুতিক তার গলে আগুন লাগে কোয়েল পাখির খামারে।
এ সময় খামারে তিন হাজার ডিম, কোয়েল পাখি ও বিভিন্ন আকারের প্রায় ৫ হাজার বাচ্চা পাখি আগুনে পুড়ে মারা যায়। ২৫-৩০ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ খামার ভস্মীভূত হয়ে যায়।
অরিন আক্তার লিনা বলেন, ঋণের টাকায় শুরু করি স্বপ্নের কোয়েল পাখির খামার। যে রাতে আগুন ধরে ওই দিনও খুলনা থেকে প্রায় ৩ হাজার বাচ্চা কিনি। কিন্তু আজ আমার সব স্বপ্ন শেষ। এখন ঋণের টাকা কীভাবে দেব।
এ বিষয়ে জানতে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি শিমুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলের অরুণিমায় অতিথি পাখি দেখতে পর্যটকদের ভিড়
খোকসায় পাখিভ্যান চালককে গলাকেটে হত্যা
১ বছর আগে