অনিশ্চয়তা
বাজেটে মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট ছাড় ঘিরে অনিশ্চয়তা
ঢাকা, ৬ জুন (ইউএনবি)-মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট মওকুফের সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও এ সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়টি স্পষ্ট না করায় ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের মূল্য ১৫ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: আমরা সিরডাপের ম্যান্ডেট ও সাংগঠনিক দর্শনের উপর জোর দিতে চাই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২০২৩ সালের শুরুর দিক থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা জানায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ওই বছরের ২২ জানুয়ারি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) ভ্যাট আরোপের বিষয়টি বিবেচনার আহ্বান জানান ঢাকা দক্ষিণের ভ্যাট কমিশনার শওকত আলী।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও এনবিআরের মধ্যে একাধিক বৈঠক হলেও এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। এরপর ২০২৩ সালের মে মাসে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি বহাল রাখার ঘোষণা দেয় এনবিআর।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। মন্ত্রীর এ প্রস্তাব জাতীয় সংসদে আলোচনা করা হবে এবং মেট্রোরেলের টিকিটের বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না এলে নির্ধারিত সময় শেষে ভাড়া বাড়বে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপে টেলিকম শিল্পের ওপর চাপ বাড়ছে: অ্যামটব
৫ মাস আগে
অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, অনিশ্চয়তা-হতাশার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
অর্থনৈতিক সবগুলো সূচক বাড়ছে, কাজেই এখানে অনিশ্চয়তা ও হতাশার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সোমবার (৪ মার্চ) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ডিসিদের জন্য কোনো পরামর্শ ছিলো কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি বিষয় তাদের বলেছি। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা আজ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে সূচকগুলো আছে উন্নয়নের, সেগুলো বাড়ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের রেমিট্যান্স ২১৬ মিলিয়ন ডলার। আমাদের সবগুলো সূচকই বাড়ছে।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বিশ্বব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
কাজেই আমদের এখানে অনিশ্চয়তার কিছু নেই, হতাশারও কিছু নেই। এগুলো নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এটা চলছেই।
যেমন বিএনপির যিনি মহাসচিব, তিনি তার জায়গা থেকে বলেছেন যে তিনি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছেন না। ওরা তো এসব কথাই বলে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেগম জিয়া, তিনি বলেছেন এ ব্রিজ (পদ্মা সেতু) ভেঙে পড়বে। এসব কথাবার্তা সিরিয়াস কোনো কিউরিসিজম না।
এটা কীভাবে বলেন, উনি সিরিয়াসলি বলেছেন- এ ব্রিজ আওয়ামী লীগ বানিয়েছে, এটা ভেঙে পড়তে পারে। কাজেই আপনারা উঠবেন না পদ্মা সেতুতে।
এগুলো থেকে সত্যিকার যেটা আসল চিত্র, সেটি তুলে ধরার জন্য ডিসিদের আহ্বান করা হয়েছে। তাহলেই মানুষ বুঝতে পারবে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারায় এসে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। আজ শেখ হাসিনার যে ডেল্টা প্ল্যান ২১০০, সেটি ধরে বাংলাদেশ এগুচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের যে অব্যাহত উন্নতি মানুষের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়েছে সেটি আপনি রাস্তায় ঘুরলেই দেখতে পাবেন।
মেট্রোরেলে চড়লেই বুঝতে পারবেন মানুষ কতটা খুশি হয়েছে, আশ্বস্ত হয়েছে। নারীরা কীভাবে একা চলতে পারেন মেট্রোতে, তারা সন্তুষ্ট।
মানুষের মূল নজর মূল্যস্ফীতিতে, সেই ব্যাপারে ডিসিদের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, খালি ইনফ্ল্যাশনটাই কনসার্ন হয়ে গেলো! আর কিছু না? এক কোটি লোককে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা সস্তা দামে পাচ্ছে।
আয়কর আদায়ে ডিসিদের কোন নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, হ্যাঁ দিয়েছি। তারা সহায়তা করবে। তারা যেটা করছেন সেটা করবেন তারা। আরও ভালো করে করবেন, মন দিয়ে করবেন।
আরও পড়ুন: ঋণের সুদ পরিশোধে অর্থনীতি চাপে থাকলেও তা গুরুতর নয়: অর্থমন্ত্রী
সরকার সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে: অর্থমন্ত্রী
৮ মাস আগে
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সবসময়ই অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা তৈরি করে: আহসান মনসুর
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বা অনিশ্চয়তা সবসময় অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর।
ইউএনবিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এখন যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তা গত ২৫ থেকে ৩০ বছরে দেখা যায়নি। তাই রাজনৈতিকভাবে এই গুরুতর পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ড. মনসুর বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনীতির জন্য একটি দ্বৈত আঘাত। তাই বর্তমান অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্য যেকোনো নির্বাচনের সময়ের চেয়ে আলাদা।
তিনি বলেন, 'জাতীয় নির্বাচন যদি আন্তর্জাতিকভাবে এবং দেশের জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য না হয়, তাহলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বেশিভার গন্তব্য পশ্চিমা দেশগুলো থেকে কী পদক্ষেপ ও প্রতিক্রিয়া আসবে তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়বে।’
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার
এরই মধ্যে রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পে শ্রমের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ, শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নিরাপত্তা এবং কাঙ্ক্ষিত মজুরি নিয়ে বিদেশিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউয়ের (ইউপিআর) আওতায় চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে রয়েছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমাধান ও শ্রম অধিকার সুরক্ষিত করার পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় প্রসঙ্গে আইএমএফের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. মনসুর বলেন, ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি বিলম্বিত করার কোনো কারণ নেই। যেহেতু ঋণপ্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
তিনি বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে দুই অঙ্কের মুদ্রাস্ফীতি বিরাজ করছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। এক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪-৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে বাংলাদেশকে আরও বেশি কিছু করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেডা) নিয়ন্ত্রিত না হয়ে বিনিময় হারকে টেকসই করার জন্য বাজারভিত্তিক বৈদেশিক বিনিময় হারের উপর জোর দেন তিনি।
ড. মনসুর টেকসই অভ্যন্তরীণ বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের জন্য মানি লন্ডারিং বা মূলধন উত্তোলন বন্ধে নীতি সংস্কার ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন। যাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো পক্ষপাত বা প্রভাবমুক্ত হয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ কর্তৃত্ব প্রয়োগ করতে পারে।
আরও পড়ুন: আইপিওর যাচাই-বাছাইয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের আরও ভূমিকা থাকা উচিত: এটিএম তারিকুজ্জামান
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিপুল জনবল ও ভৌগোলিক অবস্থানের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, নীতিগত সংস্কারের অভাব এবং দুর্বল নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কারণে বাংলাদেশ বড় অঙ্কের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণ করতে পারছে না। রাজনৈতিক অস্থিরতা এফডিআইয়ের জন্য আরেকটি বাধা হিসেবে কাজ করবে।’
রাজনৈতিক সমাধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই এবং যারা শক্তিশালী অবস্থানে বা ক্ষমতায় আছেন তাদের জন্য বিরোধী দলের সহনশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ড. মনসুর বলেন, সামগ্রিক বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের জন্য সর্বোত্তম উপায় এবং রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সংলাপ ও নির্বাচনে সমান সুযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তিনি মনে করেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। যেহেতু এখানে যা ঘটছে, তা সারাবিশ্ব গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তাই কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই যৌক্তিকভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: শেয়ারবাজারে নিরবচ্ছিন্ন লেনদেনের জন্য নতুন ডাটা সেন্টার চালু ডিএসইর
১১ মাস আগে