ভোটগ্রহণ
৩৫ বছরের অচলায়তন ভেঙে আজ চাকসুর ভোট
দীর্ঘ ৩৫ বছরের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
তফসিল অনুযায়ী, আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সপ্তম চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।
ভোটগ্রহণ শেষে হবে গণনা। কেন্দ্রীয় সংসদের ফলাফল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ থেকে এবং হল সংসদের ফলাফল নিজ নিজ কেন্দ্র থেকে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এবার চাকসুর মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৬ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬ পদের বিপরীতে ৪১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ভোটকেন্দ্র
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪টি আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ছাত্রদের ও ৫টি ছাত্রীদের। এছাড়া রয়েছে শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের দুটি ভবন মিলিয়ে মোট পাঁচটি ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রে হল সংসদ ও একটি কেন্দ্রে হোস্টেল সংসদ নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: ৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ১২ অক্টোবর
এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে চাকসু ভবনে একটি অতিরিক্ত কেন্দ্র স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রের জন্য ৬০ কক্ষে ৭০০টি বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষে থাকবে পাঁচটি ব্যালট বাক্স এবং পাঁচ জন করে এজেন্ট। একটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫০০ ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
চাকসুতে মোট ভোটার রয়েছেন ২৭ হাজার ৫১৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার আছেন ১৬ হাজার ১৮৯ এবং ছাত্রী ভোটার রয়েছেন ১১ হাজার ৩২৯ জন।
পদ ও প্রার্থীর সংখ্যা
এবারের চাকসুতে অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সংসদে মোট পদসংখ্যা ২৬টি। কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৪১৫ জন।
এর মধ্যে, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২১ জন, খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৫ জন, দপ্তর সম্পাদক পদে ১৭ জন, সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে ১৪ জন, ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সহ-ছাত্রীকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১০ জন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ১১ জন, গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ২০ জন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ১৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক ১৭ জন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক ১৭ জন, সহ-যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ৯ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক সম্পাদক ২০ জন। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে লড়ছেন ৮৫ জন।
আরও পড়ুন: চাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নে ৫ সদস্যের রিভিউ কমিটি
অন্যদিকে, হল ও হোস্টেল সংসদে পদ সংখ্যা ১৪টি করে যার বিপরীতে মোট প্রার্থী ৯০৮ জন।
ভোটদান
প্রত্যেক ভোটার ৫টি ব্যালটে চাকসু ও হল সংসদে ৪০ জন প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। ভোট দিতে একেকজন ভোটার ১০ মিনিট সময় পাবেন। অর্থাৎ, একজন ভোটারকে প্রতি ২০ সেকেন্ডে একটি করে ভোট দিতে হবে।
এ নির্বাচনের ভোট হবে ব্যালট পেপারে। গণনা হবে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে ভোটারদের বৃত্ত পূরণ করে ভোট দিতে হবে।
ভোটের সরঞ্জাম এর মধ্যেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছে চাকসু নির্বাচন কমিশন।
ভোটের দিন শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১১ বার করে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা–যাওয়া করবে শাটল ট্রেন। এ ছাড়া চলাচল করবে ৩০টি বাস।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। চলছে পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের টহল।
নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাজারখানেক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা দলও ক্যাম্পাসে টহল দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাত পেরোলে ডাকসু নির্বাচন, নতুন ভোরের অপেক্ষায় ক্যাম্পাস
ভোটের দিন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন, বিজিবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, রোভার স্কাউট ও বিএনসিসি মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
গত ২৮ আগস্ট চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ১ সেপ্টেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর যাচাই-বাছাই শেষে ১১ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ওই মাসের ১৪ তারিখ থেকে মনোনয়ন পত্র বিতরণ শুরু হয়ে চলে ১৭ সেপ্টেম্বর। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরে ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচনের জন্য ১২ অক্টোবর দিন ঠিক করা হলেও পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সেটি পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মুনির উদ্দিন বলেন, ৫টি ফ্যাকাল্টিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব ফ্যাকাল্টির ৬০ কক্ষে ৭০০টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার জন্য বাড়তি শাটল ট্রেন ও বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো ভোটকেন্দ্র থাকবে সিসিটিভির আওতায়।
১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর প্রথম চাকসু নির্বাচন হয় ১৯৭০ সালে। এরপর থেকে প্রতি শিক্ষাবর্ষে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত হয়েছে মোটে ছয়বার।
সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র শিবিরকে পরাজিত করে চাকসু ও হল সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য।
ষষ্ঠ চাকসু নির্বাচনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী জাতীয় ছাত্রলীগের নাজিম উদ্দিন ভিপি নির্বাচিত হন। আর জিএস নির্বাচিত হন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমদ।
৫১ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: দুটি ব্যালট দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ভোট চলাকালে একজন শিক্ষার্থীকে ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ একাধিক ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাবির কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাবি প্রশাসন জানিয়েছে, ভোট চলাকালে কার্জন হলের দ্বিতীয় তলায় অমর একুশে হলের ভোটকেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুইটি ব্যালট পেপার দেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি যে অনিচ্ছাকৃত ভুল তা অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পারেন উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করে।
নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৮৬ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে
বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
আজ সকাল ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণার পর আজকের দিনটি ক্যাম্পাস রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।
ভোট দেওয়ার পর এক শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘এই প্রথমবার আমি ভোট দিলাম, আর আমি খুবই আনন্দিত যে এমন একজন নেতাকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছি যিনি আমার কণ্ঠকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।’
সহপাঠীদেরও ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি নিজের পছন্দমতো স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পেরেছি। আগের দিনে শুনতাম, কিছু সংগঠন শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে নির্দিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিতে বাধ্য করত, এমনকি তাদের হয়ে ব্যালটে ছাপ মেরে দিত। কিন্তু এবার এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থন করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এই ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা একটি ইতিবাচক গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: শান্তিপূর্ণ ভোটের আহ্বান সাদিকের, আচরণবিধি লঙ্ঘনের নিন্দা
ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম সামগ্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির পূর্বাভাস দিয়ে নিজের সম্ভাবনা নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে পুরো জাতির দৃষ্টি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবেই এ নির্বাচনকে দেখা হচ্ছে।
৮৭ দিন আগে
ডাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু
দীর্ঘ ৬ বছরের অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ৩৮তম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আটটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স খুলে সবাইকে দেখিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।
নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী কেন্দ্রীয় এবং হল সংসদের দুইটি বাক্স সিলগালা করে দেন।
আরও পড়ুন: রাত পেরোলে ডাকসু নির্বাচন, নতুন ভোরের অপেক্ষায় ক্যাম্পাস
এ সময় তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন ব্যালট বাক্স সম্পূর্ণ ফাঁকা রেখে সিলগালা করা হয়েছে। এর মধ্যে বড় বাক্সটি কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ছোটটি হল সংসদের জন্য। ভোট গ্রহণ শেষে যখন ভোট গণনা হবে, তখন সবাইকে নিয়ে বাক্সটি খোলা হবে।
৮৭ দিন আগে
পরিবর্তনের আভাস দিয়ে জার্মানিতে চলছে ভোটগ্রহণ
অভিবাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নাটকীয় পট পরিবর্তনের ইঙ্গিতের মধ্যেই ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে হচ্ছে পার্লামেন্ট নির্বাচন।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে দেশটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে জার্মানি নতুন একটি সরকার গঠনের পথে রয়েছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, মধ্য ডানপন্থি দল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ভোটে এগিয়ে রয়েছে, তবে দেশটির কট্টর ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানিও (এএফডি) ভালো অবস্থানে রয়েছে। এর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রথমবারের মতো শক্ত অবস্থান গড়তে চলেছে কোনো কট্টর ডানপন্থি দল।
আরও পড়ুন: জার্মানির আউসবিল্ডুং: যোগ্যতা, সুযোগ-সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি
দেশটির পার্লামেন্ট বুন্দেসটাগের নিম্নকক্ষে আসনসংখ্যা ৬৩০টি। সাধারণত বুন্দেসটাগে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। এবারের নির্বাচনেও জোট সরকার গঠিত হবে বলেই ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে এবারের নির্বাচনে একটি নজিরবিহীন পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। এএফডির জনপ্রিয়তার ফলে সরকার গঠনে দলটির সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর কোনো একটি। এতে করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথম কোনো কট্টর ডানপন্থি দলের সঙ্গে জোট সরকার গঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
জার্মানির এই আগাম নির্বাচনে ক্ষমতাসীন সোশ্যাল ডেমোক্রেটসকে (এসপিডি) পেছনে ফেলে নির্বাচন-পূর্ববর্তী জরিপে এগিয়ে ছিল অভিবাসন-বিরোধী দল এএফডি।
জরিপে দেখা যায়, এসপিডির পক্ষে যেখানে জনসমর্থন ছিল ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ, সেখানে এএফডির পক্ষে ছিল ২০ শতাংশ সমর্থন।
জার্মানির চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের অভিবাসন-বিরোধী মনোভাব দেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে।
গত নভেম্বরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের এসপিডির নেতৃত্বে ২০২১ সালে গঠিত জোট সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয়। এরপর সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন শলৎস। পরবর্তীতে বুন্দেসটাগে আস্থা ভোটে হেরে যান চ্যান্সেলর। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের ৭ মাস আগেই দেশটিতে নিবাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২৮৪ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে ২ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২১৫টি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রসমূহে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
এ দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলা দুটির কেন্দ্রসমূহে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে সিরাজগঞ্জের ২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রসমূহে ভোটারদের উপস্থিতি সংখ্যা কিছুটা কম ছিল।
কেন্দ্রের বাইরে ছোটখাট ২-১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে
উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবী নেওয়াজ খান (হেলিকপ্টার), আকমল হোসেন (আনারস), জহুরুল ইসলাম মিল্টন (দোয়াত কলম), সেলিনা মির্জা (মোটরসাইকেল), হেদায়েত আহম্মেদ (ঘোড়া) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উল্লাপাড়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫০ হাজার ২৮৬ জন এবং কেন্দ্র সংখ্যা ১৪৪টি।
এছাড়া তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনিরুজ্জামান (দোয়াত কলম) ও সনজিৎ কুমার কর্মকার (আনারস) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৬ জন এবং ভোটকেন্দ্র সংখ্যা ৭১টি।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয় জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, রির্টানিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় ওই ২টি উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উক্ত ২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রসমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার মোতায়েনসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোটগ্রহণ শুরু
৫৬২ দিন আগে
স্থগিত নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ চলছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে নিজেদের ভোট প্রদান করছেন। ভোটের পরিবেশ সুন্দর রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। অপরদিকে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ করতে গ্রহণ করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ সকালে পত্নীতলা উপজেলার ৫৬নং পুইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোট দেন। সবার আগে ভোট দিয়ে শহিদুল আলম বেন্টু বলেন, খুব ভালো লাগছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছি।
তার মতো ৮০ বছরের ছলিম উদ্দীন ভোট দিতে এসে বলেন, ভোট দিতে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কারণ জাতীয় ভোট ৫ বছর পর আসে। তাই ভোট দেওয়া মিস করবো না। কারণ আগামীতে ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য নাও হতে পারে।
এই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৮৮০ জন। আমরা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যই সকল প্রস্তুতি শেষ করে ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। আশা রাখি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করতে পারব।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়: সিইসি
পত্নীতলা উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৭১ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ৮৪৬ জন। নির্বাচনে ৭১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৮০৪ জন। ভোটের মাঠে ১২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।
অপরদিকে ধামইরহাট উপজেলায় আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৩০১ জন, নারী ৭৮ হাজার ৭১৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। নির্বাচনে ৫৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৩০৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৬০৮ জন। এবারই প্রথমবারের মতো ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। ভোটের দিন পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে মোট ৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং অফিসার মো. গোলাম মওলা জানান, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য রয়েছে। এছাড়াও গড়ে প্রতি চারটি কেন্দ্রের জন্য একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম রয়েছে। রয়েছে স্ট্রাইকিং টিম ও রিজার্ভ টিমও। এর বাইরেও রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। র্যাব, বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন নির্বাচনি দায়িত্বে। এক কথায় পুরো এলাকাকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। কেউ নূন্যতম কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইসির খসড়া তালিকায় বর্তমান ভোটার ১২.১৭ কোটির বেশি
এবার নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটযুদ্ধে লড়বেন চার জন প্রার্থী। ভোটের মাঠে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ট্রাক প্রতীকের ইঞ্জিনিয়ার আকতারুল আলম, ঈগল প্রতীকের মেহেদী মাহমুদ রেজা ও লাঙ্গল প্রতীকের তোফাজ্জল হোসেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারজন থাকলেও মূল লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা গেলে এ আসনের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে গত ৮ জানুয়ারি নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচনে পুনরায় তফসিল ঘোসণো করে নির্বাচন কমিশন। এ পুনরায় তফসিল অনুযায়ী আজ ভোটগ্রহণ চলছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচন ৯ মার্চ: ইসি
৬৬২ দিন আগে
দেশব্যাপী অবরোধের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন চলছে
দেশব্যাপী অবরোধের মধ্যে আজ (৫ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে, তবে ভোটার উপস্থিতি কম।
সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৮০০ পুলিশ সদস্য, ৭ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী জিয়াউল হক মৃধা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মতো লক্ষ্মীপুর-৩ আসনেও শান্তিপূর্ণভাবে উপনির্বাচন চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিজয়ী
এ আসনের ১১৫টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯৫০ জন পুলিশ সদস্য, ১ হাজার ৪৯৫ জন আনসার সদস্য ও ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া উপ-নির্বাচনে র্যাবের ৭টি টিম টহল দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের গোলাম ফারুক পিঙ্কু, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন, জাকের পার্টির শামসুল করিম খোকন ও এনপিপির সেলিম মাহমুদ এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে ১ অক্টোবর ওই দুটি আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বিজয়ী
৭৬১ দিন আগে
জাবি শিক্ষক প্রতিনিধি সিনেট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট নির্বাচনে ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে শেষ হয়েছে।
আট বছর আগে ২০১৫ সালে শেষ নির্বাচন হয়েছিল।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান জানান, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষক প্রতিনিধি সিনেট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ
তিনি বলেন, ৩৩টি পদের বিপরীতে মোট ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং ৬১৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছিল।
দু’টি প্যানেলের মধ্যে একটি হচ্ছে আওয়ামী পন্থী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ (অধ্যাপক এ এ মামুনের নেতৃত্বাধীন) ও শিশু ঐক্য।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
৭৮০ দিন আগে
চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ (৩০ জুলাই)।
সকাল সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আসনটি ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা নিয়ে গঠিত।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আসনটির মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
নির্বাচনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যারা- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (রকেট)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
৮৫৯ দিন আগে