ভোটগ্রহণ
সিরাজগঞ্জে ২ উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২১৫টি ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রসমূহে ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
এ দুটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলা দুটির কেন্দ্রসমূহে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে সিরাজগঞ্জের ২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রসমূহে ভোটারদের উপস্থিতি সংখ্যা কিছুটা কম ছিল।
কেন্দ্রের বাইরে ছোটখাট ২-১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও কোনো কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে
উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবী নেওয়াজ খান (হেলিকপ্টার), আকমল হোসেন (আনারস), জহুরুল ইসলাম মিল্টন (দোয়াত কলম), সেলিনা মির্জা (মোটরসাইকেল), হেদায়েত আহম্মেদ (ঘোড়া) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উল্লাপাড়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫০ হাজার ২৮৬ জন এবং কেন্দ্র সংখ্যা ১৪৪টি।
এছাড়া তাড়াশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনিরুজ্জামান (দোয়াত কলম) ও সনজিৎ কুমার কর্মকার (আনারস) চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬২৬ জন এবং ভোটকেন্দ্র সংখ্যা ৭১টি।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয় জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, রির্টানিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় ওই ২টি উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, উক্ত ২টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রসমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার মোতায়েনসহ স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোটগ্রহণ শুরু
৭ মাস আগে
স্থগিত নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ চলছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে নিজেদের ভোট প্রদান করছেন। ভোটের পরিবেশ সুন্দর রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। অপরদিকে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ করতে গ্রহণ করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আজ সকালে পত্নীতলা উপজেলার ৫৬নং পুইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোট দেন। সবার আগে ভোট দিয়ে শহিদুল আলম বেন্টু বলেন, খুব ভালো লাগছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছি।
তার মতো ৮০ বছরের ছলিম উদ্দীন ভোট দিতে এসে বলেন, ভোট দিতে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কারণ জাতীয় ভোট ৫ বছর পর আসে। তাই ভোট দেওয়া মিস করবো না। কারণ আগামীতে ভোট দেওয়ার সৌভাগ্য নাও হতে পারে।
এই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৮৮০ জন। আমরা সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যই সকল প্রস্তুতি শেষ করে ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। আশা রাখি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় আমরা সুষ্ঠ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যদিয়ে ভোটগ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করতে পারব।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়: সিইসি
পত্নীতলা উপজেলায় ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ২৭১ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৯৯ হাজার ৮৪৬ জন। নির্বাচনে ৭১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৮০৪ জন। ভোটের মাঠে ১২ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে।
অপরদিকে ধামইরহাট উপজেলায় আট ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৩০১ জন, নারী ৭৮ হাজার ৭১৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন। নির্বাচনে ৫৩ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৩০৪ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ৬০৮ জন। এবারই প্রথমবারের মতো ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে। ভোটের দিন পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে মোট ৯ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং অফিসার মো. গোলাম মওলা জানান, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৬ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য রয়েছে। এছাড়াও গড়ে প্রতি চারটি কেন্দ্রের জন্য একটি করে পুলিশের মোবাইল টিম রয়েছে। রয়েছে স্ট্রাইকিং টিম ও রিজার্ভ টিমও। এর বাইরেও রয়েছে সাদা পোশাকের পুলিশ। র্যাব, বিজিবি, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন নির্বাচনি দায়িত্বে। এক কথায় পুরো এলাকাকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। কেউ নূন্যতম কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ইসির খসড়া তালিকায় বর্তমান ভোটার ১২.১৭ কোটির বেশি
এবার নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে ভোটযুদ্ধে লড়বেন চার জন প্রার্থী। ভোটের মাঠে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ট্রাক প্রতীকের ইঞ্জিনিয়ার আকতারুল আলম, ঈগল প্রতীকের মেহেদী মাহমুদ রেজা ও লাঙ্গল প্রতীকের তোফাজ্জল হোসেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চারজন থাকলেও মূল লড়াই হবে নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ ডিসেম্বর নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক মারা গেলে এ আসনের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে গত ৮ জানুয়ারি নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচনে পুনরায় তফসিল ঘোসণো করে নির্বাচন কমিশন। এ পুনরায় তফসিল অনুযায়ী আজ ভোটগ্রহণ চলছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন ও কুমিল্লা সিটি উপনির্বাচন ৯ মার্চ: ইসি
১০ মাস আগে
দেশব্যাপী অবরোধের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন চলছে
দেশব্যাপী অবরোধের মধ্যে আজ (৫ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে, তবে ভোটার উপস্থিতি কম।
সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৩২টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৮০০ পুলিশ সদস্য, ৭ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ১০ হাজার ৭২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী, জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আইনজীবী জিয়াউল হক মৃধা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের মতো লক্ষ্মীপুর-৩ আসনেও শান্তিপূর্ণভাবে উপনির্বাচন চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বিজয়ী
এ আসনের ১১৫টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯৫০ জন পুলিশ সদস্য, ১ হাজার ৪৯৫ জন আনসার সদস্য ও ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া উপ-নির্বাচনে র্যাবের ৭টি টিম টহল দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগের গোলাম ফারুক পিঙ্কু, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ রাকিব হোসেন, জাকের পার্টির শামসুল করিম খোকন ও এনপিপির সেলিম মাহমুদ এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে ১ অক্টোবর ওই দুটি আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বিজয়ী
১ বছর আগে
জাবি শিক্ষক প্রতিনিধি সিনেট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট নির্বাচনে ৩৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে শেষ হয়েছে।
আট বছর আগে ২০১৫ সালে শেষ নির্বাচন হয়েছিল।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান জানান, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষক প্রতিনিধি সিনেট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ
তিনি বলেন, ৩৩টি পদের বিপরীতে মোট ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং ৬১৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য একটি বুথ স্থাপন করা হয়েছিল।
দু’টি প্যানেলের মধ্যে একটি হচ্ছে আওয়ামী পন্থী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ (অধ্যাপক এ এ মামুনের নেতৃত্বাধীন) ও শিশু ঐক্য।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচন: ভোটগ্রহণ চলছে, সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ (৩০ জুলাই)।
সকাল সাড়ে ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আসনটি ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর থানা নিয়ে গঠিত।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, ১৫৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
আসনটির মোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
নির্বাচনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন যারা- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (রকেট)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
১ বছর আগে
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন ও ৭ পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচন এবং ৭ জেলার ৭ পৌরসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিপরীতে সংসদীয় উপ-নির্বাচনে ঐতিহ্যবাহী ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ করা হবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে সোমবার ভোটগ্রহণ
ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ জন প্রার্থী। গত ১৪ মে জনপ্রিয় অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা সেনানিবাসের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত আসনটি শূন্য হয়।
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক নিয়ে), জাতীয় পার্টির (লাঙল) সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র আশরাফুল হোসেন আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ)।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ১২৫টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫।
১ জুন নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ওরফে ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিচার দাবিতে নির্যাতনের শিকার দুই প্রজন্মের ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন
১ বছর আগে
ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে সোমবার ভোটগ্রহণ
ঢাকা-১৭ আসনের সংসদীয় উপনির্বাচন এবং সাত জেলার সাতটি পৌরসভার নির্বাচন সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে এবং কোনো বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
শান্তিপূর্ণ ভোট নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা-১৭ আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮ প্রার্থী।
চলতি বছরের ১৪ মে জনপ্রিয় অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক এমপির মৃত্যুতে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে আসনটি শূন্য হয়।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা প্রতীক নিয়ে), জাতীয় পার্টির (লাঙল) সিকদার আনিসুর রহমান, স্বতন্ত্র আশরাফুল হোসেন আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালী আঁশ)।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫,১৮,১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনে ১২৫টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম
১ জুন নির্বাচন কমিশন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। যা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ওরফে ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়।
সোমবার সাতটি পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, কুমিল্লার দেবিদ্বার, চাঁদপুরের ছেংগারচর, যশোরের বেনাপোল, চট্টগ্রামের দোহাজারী, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট ও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ।
পৌরসভাগুলোর মধ্যে ভান্ডারিয়ায় ২২ হাজার ৪১৫ জন, ছেংগারচরে ৩৩ হাজার ৩৩৬ জন, দেবিদ্বারে ৪৪ হাজার ৫০৯জন, বেনাপোলে ৩০ হাজার ৩৮৫জন, দোহাজারীতে ৩৩ হাজার ৫৮৬ জন, গোসাইরহাটে ১৮ হাজার ৩২জন এবং তাড়াশে ১৯ হাজার ২৮৭জন ভোটার রয়েছেন।
সাতটি পদে মোট ৩৩ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যেখানে সাতটি পৌরসভায় ২১টি সংরক্ষিত আসনের জন্য ১০২ জন মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বী এবং ৬৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী।
সংসদীয় উপনির্বাচনে ঐতিহ্যবাহী ব্যালট পেপার ব্যবহার করে ভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং পৌর নির্বাচনের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
এছাড়াও, সোমবার কয়েকটি স্থানীয় সংস্থা- ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদের শূন্য পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আরাফাতকে মনোনয়ন দিয়েছে আ. লীগ
১ বছর আগে
সিটি করপোরেশন নির্বাচন: রাজশাহী ও সিলেটে ভোটগ্রহণ চলছে
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে আজ (বুধবার)। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
দুই নির্বাচনেই সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে মানুষদের।
সিলেটে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ আট মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ চার মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
সিলেটে নিরাপত্তা
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তত ২ হাজার ৬০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া সহিংসতার ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ৪২টি ওয়ার্ডে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪২টি ভ্রাম্যমাণ দল, তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৪টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতিটি থানায় ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ২২ সদস্যের একটি দল এবং এক প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ওই ওয়ার্ডগুলোতে টহল দিতে প্রস্তুত।
এছাড়া ৪২টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭২ জন এবং সংরক্ষিত নারী ১৪টি আসনে ৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এখানে ১৯০টি ভোটকেন্দ্র ও ১ হাজার ৩৬৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
১৯ জুন মধ্যরাত থেকে ২২ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ২০ জুন মধ্যরাত থেকে ২১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন বিজয়ী
রাজশাহীতে নিরাপত্তা
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে নগরীতে র্যাবের ২৫০ সদস্য ও ১০ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে।
এছাড়া ৩ হাজার ৫১৪ জন পুলিশ সদস্য ও ৯৩৫ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৩ হাজার ৬১৪ জন নির্বাচন কর্মকর্তা, ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।
মোট ১ হাজার ৫৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে ৩০ হাজার ১৫৭ জন নতুন ভোটারসহ মোট ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ
১ বছর আগে
খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা চলছে
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) ও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভোটারদের দেওয়া ভোট গণনা শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর গণনা শুরু হয়।
এদিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোট দিতে ভোটারদের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিরতি ছাড়াই বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।
তবে উভয় নির্বাচনে কিছু ছোটখাটো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে, যার ফলে কিছু লোক আহত হয়েছে।
বরিশালে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।
এছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম রূপন।
আরও পড়ুন: বরিশাল ও খুলনা সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে: ইসি হাবিব
খুলনায়, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম মধু অভিযোগ করেছেন যে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে তার এজেন্টদের প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঢাকা থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ভোটাররা যাতে তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশ সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচজন, ২৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৩৬ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর আগে ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
কেসিসি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১১ প্লাটুন পুলিশ এবং আনসার ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ৮ হাজার ৮০ জন সদস্য নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
খুলনা মহানগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৮ জন ভোটার এবং ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে।
অপরদিকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে চার হাজার সদস্যসহ বরিশালে বিজিবির ১০ প্লাটুন মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম
বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
১ বছর আগে
বরিশাল ও খুলনা সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে: ইসি হাবিব
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনে অকল্পনীয় ভোটার উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিইসিকে দিয়ে প্রতিটি সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করছি। সকাল থেকে এমন উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের উপস্থিতি কল্পনার বাইরে। এটি আমাদের স্বস্তি দিয়েছে যে কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা ভোটারদের আশ্বস্ত করেছে এবং তাদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উৎসাহিত করেছে।’
তিনি রাজধানীর আগারগাঁও ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ইসি বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোনো ধরনের অসহযোগিতা পাইনি। ভোটাররা কোনো বাধা ছাড়াই কেন্দ্রে আসেন। প্রার্থীরা সহযোগিতা করছেন এবং কোনও বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হয়নি।’
দুই সিটিতে সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ শুরু হয় এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচন: অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে ভোটার থাকলে বিকাল ৪টার পরও ভোট চলবে।
এই প্রথম ঢাকার ইসি মিলনায়তনের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম থেকে দুই সিটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে।
আহসান বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব মনিটরিং টিমের কাছ থেকে মাঠপর্যায় থেকে রিপোর্ট পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বরিশাল গেছেন, যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান দশজন কর্মকর্তাসহ খুলনায় গেছেন। আমি তাদের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা খুবই ইতিবাচক, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন।’
ভোটে ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সমস্যামুক্ত হয়েছে। আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি।’
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
বরিশাল সিটি নির্বাচন: এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, ধীরগতিতে ভোটগ্রহণের অভিযোগ
১ বছর আগে