চতুর্থ ইনিংস
ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়
দেশের মাটিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সফরকারীদের বিপক্ষে ১৫০ রানের বড় জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
এদিকে স্পটলাইট স্বাগতিক বাংলাদেশের দিকে ছিল কারণ নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের প্রথম হোম জয় নিশ্চিত করতে তাদের প্রয়োজন ছিল মাত্র তিন উইকেট।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্টে শান্তর সেঞ্চুরিতে ২০০ রানের লিড পেল বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনে চার উইকেটের পাশাপাশি পঞ্চম দিনে আরও দুটি উইকেট শিকার করে ৭৫ রানে ছয় উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম।
এই শক্তিশালী পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ ১৫০ রানের দুর্দান্ত জয় দিয়ে ম্যাচটি শেষ করে। ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিউ জিল্যান্ড ১৮১ রান করে।
তাইজুলের ১৮৪ রানে ১০ উইকেট নিয়েছেন। এক টেস্টে ১০ বা তার বেশি উইকেট অর্জনের ঘটনা তাইজুলের দ্বিতীয়বার। ২০১৮ সালে একই ভেন্যুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করেন তিনি।
এই জয় বাংলাদেশকে নতুন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলে নিয়ে গেছে।
এই ম্যাচে বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব। আঙুলের ইনজুরির কারণে ছিটকে যান টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেই সঙ্গে অনুপস্থিতির দলে রয়েছেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
এদিকে সাকিবের অনুপস্থিতিতে বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেস্ট দলের উপর এই দায়িত্ব পড়ে। যিনি টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরি করে দুর্দান্ত অভিষেক ঘটান।
আরও পড়ুন: সিলেট টেস্ট: নিউ জিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
এই সেঞ্চুরিটি নিউ জিল্যান্ডের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য নির্ধারণের ভিত্তি তৈরি করেছিল। এমন একটি দল যারা টেস্ট জয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে কখনও সফলভাবে ৩২৪ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৯৪ সালে শেষবার তারা ৩২৪ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছিল।
চতুর্থ ইনিংসে ৩৩২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামে তারা। ৩০ রানে তিন উইকেট হারানোর প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয় নিউ জিল্যান্ড।
ড্যারিল মিচেল ৫৮ রান করে স্থিতিশীল হন এবং টিম সাউদি বাংলাদেশের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের মুখে ৩৪ রান করেন। তবে তারা ছাড়া নিউ জিল্যান্ডের অন্য কোনো ব্যাটসম্যানই উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি।
এই ম্যাচে তাইজুলের ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্স টেস্টে তার ১৩তম পাঁচ বা ততোধিক উইকেট, যা সাকিবের পরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা।
প্রথম ইনিংসে টস জিতে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৮৬ রানের জুটিতে ৩১০ রান তোলে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়ই ৫০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করতে পারেননি। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে গ্লেন ফিলিপস চার উইকেট নেন।
জবাবে নিউ জিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান করে সাত রানের সামান্য লিড অর্জন করে। কেন উইলিয়ামসন দুর্দান্ত খেলে সেঞ্চুরি করেন। তাইজুল প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেন।
শেষ ইনিংসে শান্তর সেঞ্চুরি, মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। সফরকারীদের পক্ষে এজাজ প্যাটেল নেন চার উইকেট।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে লিড নিল বাংলাদেশ। আগামী ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ।
আরও পড়ুন: নিউ জিল্যান্ড সফরের জন্য বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা
১১ মাস আগে