স্বাস্থ্য শিবির
উদয়ন স্কুলে দিনব্যাপী হেলথ ক্যাম্প আয়োজন ডিনেটের
ইউনিসেফ বাংলাদেশের কারিগরী সহায়তায় শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী হেলথ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে ডিনেট।
হেলথ ক্যাম্প আয়োজনের সহায়তায় আরও ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর (ডিজিএফপি), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লিখিত সব প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বৃহত্তম ও দ্রুত বর্ধনশীল কিশোর জনসংখ্যা থাকা বিশ্বের অন্যতম দেশ। তাই গত কয়েক বছরে সরকার বয়ঃসন্ধিকালের স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বেশকিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর ফলে, জাতীয় পর্যায়ে লক্ষ্য করা গেছে যে শহরের কিশোর-কিশোরীদের এই বিষয়ে জ্ঞান আদান-প্রদান অথবা সেবা চাওয়ার প্রবণতা গ্রামীণ কিশোর-কিশোরীদের চেয়ে তুলনামূলক কম।
সম্মিলিতভাবে ডিনেট ও ইউনিসেফ সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে উল্লিখিত গোষ্ঠির সুরক্ষার্থে শহরের কিশোর-কিশোরীদের জন্য ব্যাপকভাবে হেলথ ক্যাম্প করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রিম্যাচ্যুরিটির কারণে দেশে নবজাতক মৃত্যুর হার বেশি: ডা. নব কৃষ্ণ
এই হেলথ ক্যাম্প আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল- জাতীয় কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে শহরের কিশোর-কিশোরীদের অবগত করা, চিকিৎসকদের দ্বারা তাদের চক্ষু পরীক্ষাসহ কিছু মৌলিক শারীরিক পরীক্ষা করা, এমনকি উল্লিখিত বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি, বাল্যবিবাহ, স্বাস্থ্যবিধি ও মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি।
ডিনেটের ডাক্তারেরা কিছু প্রাথমিক মেডিকেল চেকাপ এবং সচেতনতা সেশন পরিচালনা করেন।
এরপরই একজন শিক্ষাবিষয়ক মনোবিজ্ঞানী একটি গ্রুপে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর কিছু পরামর্শ দেন।
এছাড়াও, ডিনেটের প্রতিনিধিরা জাতীয় কিশোর স্বাস্থ্য ওয়েবসাইটের একটি ওরিয়েন্টেশন প্রদর্শন করেন এবং অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের উত্তর দেন।
ডিনেটের যুগ্ম পরিচালক আসিফ আহমেদ তন্ময় এবং ডিজিএফপি’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এএন্ড আরএইচ) ডা. মো. মনজুর হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ জহুরা বেগম এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ডিনেটকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য এই ধরনের অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজন করা উচিত। যাতে তাদের মধ্যে সচেতনতা এবং পারস্পরিক সহমর্মিতা বৃদ্ধি পায়।
আসিফ আহমেদ তন্ময় বলেন, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যম থেকে শহর অঞ্চলে কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য নিয়ে তুলনামূলোক অনেক কম কাজ হয়। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের এই কর্মসূচি। যাতে করে শহর অঞ্চলের কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি কাজ করার ক্ষেত্র তৈরি হয়।
ডা. মো. মনজুর হোসেন বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১২ হাজার নারী জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার নারী মৃত্যুবরণ করেন। অথচ সময়মত টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা যায়। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করা উচিত।
আরও পড়ুন: নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করবে চক্ষু চিকিৎসক সমিতি ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমন্বিত কর্মপন্থা গ্রহণ ও বাস্তবায়নই হেলথ প্রমোশন: সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা
১১ মাস আগে