নির্বাচন কমিশনার
২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি: আনোয়ারুল ইসলাম
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নলী কৃষ্ণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক নেতা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহযোগিতারও আহ্বান জানান।
কমিশনার আরও বলেন, ‘সবার প্রত্যাশা পূরণের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: এনআইডির তথ্য ফাঁস: ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তথ্যের প্রমাণ পেয়েছে ইসি
চলমান নির্বাচনী সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনো পরিবর্তন রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা বলেছেন। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন হালনাগাদ করার কারণে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী কারচুপির সম্ভাবনা দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেন এই কমিশনার।
এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুস আলী, মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৩৪ দিন আগে
নির্বাচন ব্যবস্থায় আস্থা ফেরাতে কাজ করছে কমিশন: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেছেন, ‘মানুষ যাতে নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে, সেটাও নিশ্চিত করা হবে। ইতোপূর্বে ভোটার তালিকার তথ্য নিয়ে সমালোচনা ছিল। ইসি ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু করেছে।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় যাতে নির্ভূলভাবে তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করা যায়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সঠিক তথ্য সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে নওগাঁয় তথ্য সংগ্রকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে কমিশনার এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক ঐক্যমত্য প্রক্রিয়ার বিষয়। এ ছাড়াও বিচারিক একটা বিষয় রয়েছে যদি আদালতে গড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়। তফসিল ঘোষণা পর যেসব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থাকবে তখন সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, পুলিশ সুপার সফিউল সারোয়ার, নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক টিএমএ মমিন ও জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মোত্তালিবসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
৪২ দিন আগে
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ বিষয়ে দায়মুক্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগ নিয়ে দেশের কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না মর্মে দেওয়া ‘দায়মুক্তির বিধান’ কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাশেদ খান মেননের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
এই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট রিট দায়ের করা হয়। রিটে দায়মুক্তি দেওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- আব্দুল্লাহ সাদিক, জিএম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক ও একেএম নুরুন নবী।
রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন ২০২২ এর ধারা ৯ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ধারা ৯ এর মাধ্যমে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিচার বিভাগের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যা সংবিধানের ২৬, ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদ ও ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতি এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি। এই ধরনের দায়মুক্তি সম্পূর্ণভাবে অসাংবিধানিক। দেশের তিনটি বিভাগ রয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিভাগ। আইন সভা আইন পাস করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে না। কারণ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংবিধানের মৌলিক কাঠামো। ৯ ধারার মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। রিট আবেদনে আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে বিবাদী করা হয়।’
২০১৪-২০১৮ সালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ নিয়ে দেশের কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না বলে ২০২২ সালে দায়মুক্তির বিধান সম্বলিত ওই আইন করা হয়।
আইনের ৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদানের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতঃপূর্বে গঠিত অনুসন্ধান কমিটি ও তাদের সম্পাদিত কার্যাবলি এবং সেই অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ বৈধ বলে গণ্য হবে এবং সেই বিষয়ে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে কমিশন গঠন
২০১ দিন আগে
নির্বাচন কমিশনারদের বেতন-সুবিধা সংক্রান্ত আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
বেতন নির্ধারণ করে 'প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের (পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা) আইন, ২০২৪' এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার(২০ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ মন্ত্রিসভা কমিটির
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, সিইসির বেতন হবে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা এবং নির্বাচন কমিশনারের বেতন হবে ৯৫ হাজার টাকা। বেতনের পাশাপাশি ৫০ শতাংশ বিশেষ ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা পাবেন তারা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘এতে মূলত সিইসি ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সুযোগ-সুবিধা ও বেতন নির্ধারণ করা হয়। প্রস্তাবিত আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আগের আইন অনুসরণ করা হয়েছে।’
বিদ্যমান আইনটি ১৯৮৩ সাল থেকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেহেতু সামরিক শাসনামলে প্রণীত আইন পরিবর্তনের জন্য উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা রয়েছে, তাই খসড়া আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২৭ সালের মধ্যে রপ্তানি ১১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণের খসড়া নীতিমালায় মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন
মহেশখালীতে মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে আইনের খসড়ায় মন্ত্রিসভার অনুমোদন
৩০০ দিন আগে
সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান: ইসি রাশেদা সুলতানা
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান; দল বা প্রার্থী বুঝে নয়, অপরাধ বুঝেই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে প্রার্থীই আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন, কমিশন তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে। এ কার্যক্রম আরও জোরদার হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে কমিশন সচেষ্ট রয়েছে। ভোটারেরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ইসি।
এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি।
সভায় কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠের নানা ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুরের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ২০৭৭৩ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে: ইসি
একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
৪৪৩ দিন আগে
একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আহসান হাবিব খান।
তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি জায়গায় দায়বদ্ধতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। কোনো কেন্দ্রে একটিও যদি জাল ভোট হয়, সেই কেন্দ্র বন্ধ হবে। কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার সাসপেন্ড হবে। কোনো ক্রমেই কোনো অস্বচ্ছতা, অসততা ও অসতর্কতাবশেও এসব ভুলকে অ্যাক্সেপ্ট করা হবে না।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভোলার চারটি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ইসি বলেন, গণতন্ত্র, সংবিধান, দেশ ও অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে। এছাড়া কোনো উপায় নেই। শতভাগ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। আমাদের, বিদেশিদের নির্বাচন কমিশনের (ইসি), সরকারের এবং আমার টিমের; সবার উদ্দেশ্য এক। অবাধ ও সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন।
আরও পড়ুন: শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
তিনি বলেন, অতীতকে আমরা পরিবর্তন করতে পারব না। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা কিভাবে সুন্দরের দিকে এগিয়ে যেতে পারি সেটাই আমরাদের বিবেচ্য বিষয়।
জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রার্থী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. জমিল হাসান।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভোলার জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামানসহ সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ভোলার চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে ইসি
জাতীয় নির্বাচন: হবিগঞ্জের ডিসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির
৪৪৬ দিন আগে
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে: ইসি আনিছুর
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, তাদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। যিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙবেন তার বিরুদ্ধেই অ্যাকশন নেওয়া হবে। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে। ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্টু করতে প্রশাসনে অনেক রদবদল করা হয়েছে। এটা কোনো পাতানো নির্বাচন নয়।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা বিদেশি কোনো চাপে নেই। বরং দেশি-বিদেশি প্রায় ২ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আবেদন করেছে এবং সব দূতাবাসও নির্বাচন মনিটরিং করবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটারেরা কোনো প্রকার বাধা ছাড়া ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন। কেউ ভোট দানে বাধা সৃষ্টি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে বলেন, এখন আর নির্বাচনে আসার সুযোগ নেই। নির্বাচনী ট্রেন ছেড়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমেদ ছিদ্দীকী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
কারচুপি ঠেকানো রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব: সিইসি
৪৪৮ দিন আগে
ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো ব্যত্যয় হবে না। সবার প্রতি একটাই নির্দেশনা অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন। এটি জাতির জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার প্রার্থী এবং নির্বাচন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা ও মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, কে কোন পদের সেটা বড় কথা না। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করছে। তারা কোনো দলের কর্মচারী না। সংবিধানের ১২৬ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা আছে যে- নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেওয়া। নির্বাচন কমিশনার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যে কোনো দায়িত্বে পাঠাতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে বিজিবি, র্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে নামবে। এবার ব্যালট পেপার ভোটকেন্দ্রে সকালে যাবে। ব্যালট পেপার যে অংশটুকু ভোটারকে দেওয়া হবে সেই পেপারটিতে ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সিল থাকতে হবে। এটি ছাড়া যদি কেউ ভোট দেয় সেই ভোট বাতিল ও অবৈধ বলে গণ্য করা হবে। এগুলো নির্বাচনী বিধিমালায় নতুন সংযোজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর: দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন কমিশনারদের প্রধানমন্ত্রী
আচরণবিধি প্রশ্নে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আইনে আছে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ও ইউনিয়নে একটি করে প্রার্থীর অফিস থাকবে। এর বেশি থাকলে সেগুলো স্থানীয় রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে হবে। তাছাড়া প্রচারণার সময়সীমা রাত ৮টা পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এরপর কেউ প্রচারণা চালালে ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো রকম ছাড় দেওয়া যাবে না।
আনিছুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল দিয়ে কোনো প্রচারণা চালানো যাবে না। সেজন্য চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেলের বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা হবে। কাগজপত্র না থাকলে সেগুলোকে আটক করা হবে।
কোনো রকম যানবাহন দিয়ে মহড়া দিতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
ব্রিফিংয়ের সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন ও ৬০ বিজিবির ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ভুয়া নির্বাচন কমিশনার গ্রেপ্তার
৪৫০ দিন আগে
সব প্রাথীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণ-বিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসি আহসান হাবিব খান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইসি বলেন, আজকের মতবিনিময় সভার উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকল প্রার্থীকে একইভাবে দেখা এবং কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করার বিষয়ে সবার সামনে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার ইসি তা করছে: কমিশনার রাশেদা
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আশা ও প্রত্যাশা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য আমরা উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করব এবং নিরাপত্তা প্রদান করব, যাতে করে নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে সব ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসে নিজের ভোট যাকে খুশি তাকে দিতে পারেন।
ইসি বলেন, ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করবে। নির্বাচন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে-নির্দ্বিধায় ও নিরাপত্তার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারেন সেজন্য প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর রাখা হয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঈনুল হক, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচনে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটানির্ং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে: সিইসি
৪৫১ দিন আগে
বিএনপি ভোটে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি আসবে না, সেটি তাদের ব্যাপার।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সবাই আসবে এটি স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি তার কথা রাখবে: জাপা
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
এছাড়া, এখনও বিএনপির নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকার কথা বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। যদি তারা আসে তাহলে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সবাই আসবে এটা স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, কোনো আসনকে হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক আসনই গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি খারাপ হতে সময় লাগে না। তাই ব্যাপক প্রস্তুতি রাখা হবে।
যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তাহলে ভোটের তারিখ পেছানো হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। ইসি মনে করে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সবার আসা উচিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি সদর দপ্তর কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আলম, ডিজিএফআইয় কক্সবাজারের কর্নেল জিএস মোরশেদ আহমদ চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সৈকত শাহীহ, কক্সবাজার এবং বান্দরবানের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে ইসিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়
কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জেবিআইসি’র সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সমঝোতা স্মারক সই
৪৭৪ দিন আগে