খাদ্য-পুষ্টি
বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সঙ্গে চারটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এই চুক্তিগুলো সই করা হয়।
চুক্তি চারটি হলো- টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স টু দ্যা ডাইভার্সিফাইড রেজিলিয়েন্ট এগ্রিকালচার ফর ইম্প্রোভড ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি প্রজেক্ট (রেইনস-টিএ), একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন (অ্যাক্সেস), জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ সাগর চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে: এফএও
চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে এফএও-এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি আর্নউ হ্যামিলার্স।
৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর।
সর্বমোট ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রাম (জিএএফএসপি) থেকে অর্থায়িত এবং এর তত্ত্বাবধানে আছে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)।
রেইনস এর কারিগরি সহায়তার বাজেট ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা জিএএফএসপি থেকে অর্থায়নকৃত একটি অনুদান। এর তত্ত্বাবধানে কাজ করছে ইফাদ এবং কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে এফএও।
বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতা ও সংকট নিরসন
একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন ( অ্যাক্সেস ) প্রকল্পটি জিএএফএসপি’র অধীনে ৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান পেয়েছে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে এফএও এবং উৎপাদক সংস্থাগুলোর একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক- সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি (এসবিকেএস)।
প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারে সহায়তা প্রদান
কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা প্রকল্পটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বাজেটে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের মধ্যে জলবায়ু-স্মার্ট, পুষ্টি-সংবেদনশীল কৃষি সম্পর্কে প্রচার করা এবং এর মাধ্যমে কৃষকদের জীবিকার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: তথ্য সভায় এফএও বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য উপস্থাপন
প্রকল্পটি এফএও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) এর একটি যৌথ উদ্যোগ, যা অর্থায়ন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ম্যাকগভর্ন-ডোল ফুড ফর এডুকেশন প্রোগ্রাম এবং সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) ও বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
ধানী জমির জন্য আঞ্চলিক প্রকল্প
জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা একটি আঞ্চলিক প্রকল্প। এটি বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে বাস্তবায়িত হবে; এবং এর অর্থায়ন করছে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বাজেটের এই প্রকল্প একটি নতুন মিশ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সহায়তা করবে। এটি জলবায়ু-সহনশীল ধানী জমি, মূল্য শৃঙ্খল এবং জীবিকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। এশিয়া মহাদেশের ধানী জমির অভিযোজন এবং সহনশীলতা বৃদ্ধিতে এটি সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও সহায়তা করবে।
এফএও’র সহকারী প্রতিনিধি (কর্মসূচি) নূর আহমেদ খন্দকার বলেন, ‘বিশেষ করে পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সহনশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতা।’
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে