ভিটামিন
অফিসে কাজের ফাঁকে হালকা ক্ষুধা মেটাতে পুষ্টিকর শুকনো খাবার
খুব সকালে নাস্তার পর দীর্ঘক্ষণ না খাওয়া অবস্থায় থাকলে দুপুরের খাবারের আগেই মস্তিষ্ক পাকস্থলি থেকে ক্ষুধার সংকেত পেতে থাকে। একই ব্যাপার মধ্যাহ্ন ভোজ আর রাতের খাবারের মাঝের সময়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই উপোসের সময়টা যখন মানসিক বা শারীরিক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই খাদ্য গ্রহণের তাড়না একটু বেড়ে যায়। কর্মক্ষেত্রে একটানা দীর্ঘক্ষণ কাজ করার কারণে প্রত্যেকেই হালকা ক্ষুধার পাশাপাশি কর্মস্পন্দন ফিরে পাওয়ার তাগিদ অনুভব করেন। তাই এই হালকা ভোজে এমন কিছু থাকা প্রয়োজন যা শুধু ক্ষুধাই মেটাবে না, সেই সঙ্গে নতুন উদ্যমে কাজে যোগ দেওয়ার শক্তিও যোগাবে। তাই চলুন, অফিসে কাজের ফাঁকে ক্ষুধা নিবারণের জন্য কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
অফিসে ব্যস্ততার ফাঁকে হালকা ক্ষুধা নিবারণের জন্য ১০টি স্বাস্থ্যকর খাবার
শুকনো ফল
প্রোটিন, ভিটামিন ই, রাইবোফ্ল্যাভিন, ট্রেস খনিজ ও স্বাস্থ্যকর চর্বিতে ভরপুর বাদাম সবচেয়ে জনপ্রিয় শুকনো ফলগুলোর একটি। নিয়মিত বাদাম খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং সারাদিন ধরে শক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই উপযোগিতার নেপথ্যে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন এবং চর্বিগুলো। ক্যালরি কম হওয়ায় বেশি খাওয়াতেও স্থূলতার আশঙ্কা নেই।
সর্বাধিক প্রচলিত চীনাবাদাম অপেক্ষা কাজু, পেস্তা, আখরোট ও কাঠবাদামের গুণাগুণ আরও বেশি। এগুলোর রয়েছে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ক্ষমতা, যা হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। কেক, বিস্কুট, ফল বা অন্যান্য মিষ্টিজাত খাবারে স্বাদের আলাদা মাত্রা যোগ করতে ব্যবহৃত হয় বাদাম।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
ভারী খাবারের বিকল্প হিসেবে সুপরিচিত শুকনো ফলটি হচ্ছে খেজুর। এতে আছে কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি-৬, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং কপার। শরীরকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সতেজ রাখতে আকারের বিবেচনায় খেজুরের কোনো জুড়ি নেই। এই ছোট্ট ফলটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
বীজ
স্বাদের বিচারে খুব একটা এগিয়ে না থাকলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে এটি একটি সর্বোৎকৃষ্ট খাবার। চিয়া, শন, তিল, সূর্যমুখী ও কুমড়ার বীজ শরীর গঠনের জন্য সাধারণ খাদ্যাভ্যাসে রাখা হয়। এগুলো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, উদ্ভিদজাত প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং সহজে হজমযোগ্য ফাইবার সমৃদ্ধ। এই পুষ্টিগুলো যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে কর্মোদ্দীপনা ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট। অল্প পরিমাণে বেশি ক্যালরি থাকাতে স্বল্প আহারেই কয়েক ঘণ্টা ভরপেট অনুভূতি পাওয়া যায়।
অন্যান্য সুস্বাদু খাবার বা সালাদের সঙ্গে মেশানো হলে আরও মুখরোচক হয়ে ওঠে। তবে সেক্ষেত্রে ক্যালরির পরিমাণে সতর্ক থাকা দরকার।
আরো পড়ুন: স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য যেসব খাবার উপকারী
আপেল
কোলেস্টেরল কমানো নিয়ে যারা চিন্তায় থাকেন, তাদের ডেস্কে সর্বদা আপেল রাখা উচিত। এর বহিরাবরণে থাকে ফেনোলিক নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ, যা দেহের কোষগুলোর কার্যক্ষমতা ও রক্ত প্রবাহকে সমুন্নত করতে সহায়তা করে। স্বাদ আরও বাড়াতে আপেলের সঙ্গে মাখন বা দই মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
গাজর
কাজ ও খাওয়া একসঙ্গে করতে চাইলে গাজর হতে পারে স্বাস্থ্যসম্মত পছন্দ। এই সবজি বিটা-ক্যারোটিন, ফাইবার, ভিটামিন কে-১, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। হজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, চোখ, হৃদপিণ্ড, ত্বক ও হাড়ের স্বাস্থ্য বাড়ানোতে গাজরের ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিদিন কাজের পাশাপাশি গাজর খাওয়ার অভ্যাস গড়লে কোলেস্টেরলের মাত্রা, রক্তচাপ এবং ওজন নিয়ে আর ভয় থাকবে না।
ছোলা-মুড়ি
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলোর মধ্যে খুব কমই এমন রয়েছে, যেখানে একটির নাম বললে সঙ্গে সঙ্গেই অপরটির নাম চলে আসে। কেবল সহজলভ্যই নয়, স্বতন্ত্রভাবে দুটি খাবারেই রয়েছে যথেষ্ট পুষ্টি।
ছোলাতে আছে ফলেট, খাদ্য আঁশ, আমিষ, ট্রিপ্ট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রন। এতে থাকা ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুরেটেড, যা রক্তের চর্বি কমাতে অংশ নেয়। এর পটাসিয়াম, ভিটামিন 'সি' এবং ভিটামিন বি-৬ পুষ্টি উপাদান হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। এছাড়াও ছোলার রয়েছে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য সারানোর ক্ষমতা। এছাড়া ছোলা বয়ঃসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভালো রাখতেও সাহায্য করে। ছোলায় থাকা ফলিক এসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে অ্যাজমার প্রকোপ কমিয়ে দেয়। এতে থাকা পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে।
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
অন্যদিকে, মুড়ির পুষ্টিগুলো হলো নিয়াসিন, ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, ফাইবার, আয়রন, থিয়ামিন ও রাইবোফ্ল্যাভিন। এতে সোডিয়াম ও অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম থাকায় রক্তচাপ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে না। তবে এই উপকার শতভাগ পেতে হলে মুড়িতে তেল ও লবণ মেশানো যাবে না। তবে ছোলা-মুড়ির সঙ্গে বাদাম ও শসা যোগ করা যেতে পারে। অন্যান্য কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারের মতো এটিও শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে।
ওটমিল বিস্কুট
ময়দা, চিনি, ডিম, তেল, চর্বি ও মাখনের সমন্বয়ে তৈরি এই বিস্কুটের প্রধান উপাদান ওটস। তবে কিশমিশ, চকলেট বা বাদামের সন্নিবেশে স্বাদ ও পরিবেশনে দারুণ মাত্রা যোগ হয়। কোনো কোনো ব্র্যান্ড কলা, বাদাম, মাখন ও ওমেগা -৩ সমৃদ্ধ শন ও চিয়া বীজের মতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েও তৈরি করে থাকে।
ওটমিল কুকির ওট্স যেহেতু একটি সম্পূর্ণ শস্য, তাই এর মাধ্যমে ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়। ফাইবারে গুণাগুণের মধ্যে রয়েছে হজমের উন্নতি ও ওজন কমানো।
কার্বোহাইড্রেট দীর্ঘস্থায়ী শক্তি সরবরাহ করে, ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যে কোনো কাজে সক্রিয় থাকা যায়।
আরো পড়ুন: ওমেগা-৩ ডিম কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি?
অধিকাংশ বিস্কুটের মত এটিও প্রোটিন সরবরাহের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর পেশি গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ উপাদানে ভরপুর।
পপ কর্ন
শুধুমাত্র অফিসেই নয়, কাজের যে কোনো বিনোদনের মূহূর্তে সেরা নাস্তা পপ কর্ন বা খৈ ভাজা। প্রধান কাঁচামাল ভূট্টা হওয়ায় ভূট্টার সব পুষ্টিই পাওয়া যায় এতে। অর্থাৎ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্কে পরিপূর্ণ।
পপ কর্ন রক্ত সঞ্চালন ও হজম উন্নত করতে এবং হৃদরোগ, স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।
ডার্ক চকলেট
এই মিষ্টান্ন খাবারটি মূলত শুকনো ফলের ভান্ডার। তবে বেশি পরিমাণে থাকে বিভিন্ন ধরনের বাদাম। অধিকাংশ ডার্ক চকলেটের প্রতি দেড় আউন্সে থাকে ১৯০ ক্যালরি, ১২ গ্রাম ফ্যাট, ২৪ গ্রাম কার্ব, ৩ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম ক্যালসিয়াম, এবং ২০৩ গ্রাম পটাসিয়াম। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রদাহ, ডায়াবেটিস এবং জীবাণু প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী।
আরো পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
তবে কেনার সময় ডার্ক চকলেটের মোড়কে লিপিবদ্ধ উপাদানগুলো ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত। অনেক সময় এগুলোতে কৃত্রিম রাসায়নিক অ্যাল্কালি প্রসেসিং থাকে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টকে সরিয়ে দেয়।
সিদ্ধ ডিম
স্বল্প পরিমাণে হলেও মানবদেহের প্রয়োজনীয় সবগুলো পুষ্টি একসঙ্গে পেতে হলে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে সিদ্ধ ডিম। ৫০ গ্রামের একটি বড় ডিমে ৬ গ্রামেরও বেশি প্রোটিন থাকে। চর্বিহীন এই প্রোটিন অনেক বেশি ক্যালোরি না দিয়েও দীর্ঘক্ষণ যাবৎ পাকস্থলি পরিপূর্ণ রাখবে, যা ওজন কমানোর জন্য সহায়ক। অন্যান্য পুষ্টিগুণগুলো হলো লোহা, ক্যালসিয়াম, কোলিন, ভিটামিন এ, বি-৬, বি-১২ এবং ডি।
এতে থাকা লুটেইন এবং জেক্সান্থিনে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সক্ষম।
চিড়া
স্বল্প আহারে অধিক স্বাস্থ্যগুণের অধিকারী হওয়ার জন্য অন্যতম সুষম খাদ্য চিড়া। প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ এই খাবার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, কেননা পাকস্থলি নিঃসৃত অ্যাঞ্জাইম ফাইবার শোষণ করতে ও ভেঙে ফেলতে পারে না।
আরো পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
একদিকে ক্যালোরি, চর্বি ও চিনির পরিমাণ যথেষ্ট কম, অন্যদিকে খনিজ ও ভিটামিনের মাত্রা বেশি। এই কারণে চিড়া শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি পুড়িয়ে ওজন কমানোর প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
শেষাংশ
অফিসের নিত্যদিনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে এই শুকনো খাবারগুলো শুধু ক্ষুধাই মেটাবে না, পাশাপাশি পূরণ করবে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা। তন্মধ্যে ডেস্কে হাতের কাছেই রাখা যেতে পারে ওটমিল বিস্কুট, ডার্ক চকলেট, বাদাম, পপকর্ন ও কিছু ফলমূল। জনপ্রিয় সান্ধ্যকালীন খাবার ছোলা-মুড়িকে কর্মদিবসের কোনো কোনো দিনে সিদ্ধ ডিমের সঙ্গে বদলে নেওয়া যায়। উপরন্তু, সুষম খাবার হিসেবে উৎকৃষ্ট সংযোজন হতে পারে গাজর, বীজ, বা চিড়া। সর্বোপরি, ফলমূল, গাজর, বাদাম, চিড়া, ছোলা বা বীজের মধ্যে থেকে পছন্দ মতো যেকোনো সন্নিবেশে সালাদ বানিয়েও তৈরি করা যায় মুখরোচক খাবার।
আরো পড়ুন: চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
৩ মাস আগে
সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু
সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনের মাধ্যমে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে নিপসম অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকা কেন্দ্র (ইপিআই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে আগামী শুক্রবার সকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। একযোগে দেশের সব জেলায় শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।
নাটোর-
২ লাখ ৪৮ হাজার শিশুকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নাটোরে শুরু হয়েছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন।
মঙ্গলবার সকালে নাটোর শহরের ফুলবাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঞাঁ।
তিনি জানান, জেলার মোট ১ হাজার ৩৮৮টি স্থানীয় কেন্দ্র ও তিনটি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা খাওয়ানো হবে।
ঝালকাঠি-
ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পৌরমেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩২৬ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৭১১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
এদিকে জেলার চারটি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে মোট ৮২৪টি কেন্দ্রে শিশুদের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচির আওয়াতায় ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়।
মাগুরা-
মাগুরায় ৯৩৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস মাগুরা পৌরসভা ও সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে পৌরসভা কার্যালয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, জেলার চারটি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় মাগুরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শামিম কবির জানান, কর্মসুচি সফল করতে মাগুরা জেলার চার উপজেলা ও একটি পৌরসভায় ৯৩৯টি কেন্দ্রে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১২ হাজার ৬৬৭ শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৫ হাজার ৬৮১ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
চার দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খাওয়ানো হবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মাগুরায় ৩৯১ জন স্বাস্থ্য কমী ও এক হাজার ৮৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবক সেবা প্রদান করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-
অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মুল ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সিভিল সার্জন ডা. একরামুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর আওতায় মঙ্গলবার জেলার ৯ উপজেলার ৩০৬ টি ওয়ার্ডে দুই হাজার ৪৩৩ টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।
এর মধ্যে- ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ২৬৫ জন শিশুকে একটি করে নীল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী চার লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ শিশুকে একটি করে লাল টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ সহ স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বছরে দুই বার এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা-
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খুলনায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি শিশুকে।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর ২ নম্বর কাস্টমঘাটস্থ আমিরাবানু বেগম নগর মাতৃসদন প্রাঙ্গণে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর মৃত্যুঝুঁকি কমায়।
তিনি আরও বলেন, তাই শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো খুবই জরুরি। ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রত্যন্ত এলাকা, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাটসহ প্রতিটি স্থানে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
অভিভাবকদের টিকা কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে আসার আহ্বান জানান মেয়র।
এছাড়া খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা ও দুইটি পৌর সভায় মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৪ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২২ হাজার ৮৭৯ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ১১৫ জন।
কর্মসূচি সফল করতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের চারটি জোনে ৭১০টি কেন্দ্রে ৬২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ১ হাজার ৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।
এছাড়া খুলনা জেলার দুইটি পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনসহ ৯টি উপজেলায় ৬৮টি ইউনিয়ন এবং ২০৪টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬৪১টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৮২ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।
নড়াইল-
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নড়াইল পৌরসভার ও সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে নড়াইল পৌর সানফ্লাওয়ার প্রিপারেটরি স্কুলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী।
সকাল ৮ থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
এ বছর নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভায় ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৯৩ হাজার ৫০০ শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ১১ হাজার ৬২২ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৮১ হাজার ৮৭৮ শিশুকে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এসময় শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হয়।
ঝালকাঠি-
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠির আশা সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার ৮৯ হাজার ৩৭ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩২৬ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৭১১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
এছাড়া জেলার চারটি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে মোট ৮২৪টি কেন্দ্রে শিশুদের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসুচির আওয়াতায় ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমান টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ায়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন অফিসের এমও ডা. মোস্তাফিজুর রহমানসহ ঝালকাঠি স্বাস্থ্য বিভাগ ও আশা সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আরও পড়ুন:
১ বছর আগে
আজ থেকে শুরু হলো ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন
আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হলো ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। দেশের সব ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস (নীল ও লাল রঙ) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীর নিপসম সেন্টারে শিশুদের জন্য ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে সাড়ে ৩ লাখ শিশুকে
এ উপলক্ষে নিপসম সেন্টারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সভায় জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে আগামী চার দিন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের সব ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এবারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ শিশুর ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো নিশ্চিত করা। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ শিশুকে নীল রঙের এবং ১১-৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আজ ১২ ডিসেম্বর থেকে আগামী শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৪ দিন চলবে এই ক্যাম্পেইন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:
শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকাদানে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। টিকাদানে আমাদের সফলতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। করোনার সময়েও বাংলাদেশ একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে বিশ্বে আলোচিত হয়েছে। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে৷ এবার ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য আমরা ২ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে টার্গেট করেছি। এজন্য আমাদের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই টিকাদান প্রক্রিয়ায় এবার ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে।’
এই টিকা খাওয়াতে কেউ যেন গুজবে কান না দেয় সেজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল একেবারেই নিরাপদ ও অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের অন্ধত্ব দূর করার পাশাপাশি বামনত্ব প্রতিরোধ করে। এই টিকা দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সব ধরনের মৃত্যুহার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে এবং হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজনিত কারণে মৃত্যু রোধ করে।
তিনি বলেন, এই টিকা জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশের ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে খাওয়াতে হবে। টিকা খাওয়াতে শিশুদের ভরাপেটে নিয়ে আসতে হবে। ৬ মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এই টিকা খাওয়ানো যাবে না।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীরসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
চাঁদপুরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে সাড়ে ৩ লাখ শিশুকে
চাঁদপুরের আট উপজেলায় ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৫১ হাজার ২৮৮ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সেমাই খেয়ে অসুস্থ ৮, ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ৩ জন
এতে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর জেলার আট উপজেলার দুই হাজার ৩৩২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় গত রাউন্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ হাজার ৩৬৬ জন।
তিনি বলেন, শিশুর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৮২ জন। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ০৭ ভাগ। এছাড়া গত রাউন্ডে ১২ থেকে ৫৯ বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ ১২ হাজার ৯৪১ জন।
তিনি আরও বলেন, শিশুর সংখ্যা তিন লাখ ৯ হাজার ৭৪৩ জন। অর্জনের হার ৯৮ দশমিক ৯৭ ভাগ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও চাঁদপুরে ভূমিকম্প আতঙ্কে দ্রুত বের হওয়ার সময় আহত ৩০
চাঁদপুরে শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
১ বছর আগে