এ প্লাস
সারাদেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু
সারাদেশে ভিটামিন ‘এ’প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনের মাধ্যমে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে নিপসম অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকা কেন্দ্র (ইপিআই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া মঙ্গলবার থেকে আগামী শুক্রবার সকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। একযোগে দেশের সব জেলায় শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।
নাটোর-
২ লাখ ৪৮ হাজার শিশুকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্য নিয়ে নাটোরে শুরু হয়েছে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন।
মঙ্গলবার সকালে নাটোর শহরের ফুলবাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু নাসের ভূঞাঁ।
তিনি জানান, জেলার মোট ১ হাজার ৩৮৮টি স্থানীয় কেন্দ্র ও তিনটি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা খাওয়ানো হবে।
ঝালকাঠি-
ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পৌরমেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩২৬ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৭১১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে।
এদিকে জেলার চারটি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে মোট ৮২৪টি কেন্দ্রে শিশুদের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচির আওয়াতায় ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়।
মাগুরা-
মাগুরায় ৯৩৯টি কেন্দ্রে ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস মাগুরা পৌরসভা ও সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে পৌরসভা কার্যালয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, জেলার চারটি উপজেলা ও একটি পৌরসভায় মাগুরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৪৮ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শামিম কবির জানান, কর্মসুচি সফল করতে মাগুরা জেলার চার উপজেলা ও একটি পৌরসভায় ৯৩৯টি কেন্দ্রে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১২ হাজার ৬৬৭ শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৫ হাজার ৬৮১ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।
চার দিনব্যাপী এ ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খাওয়ানো হবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে মাগুরায় ৩৯১ জন স্বাস্থ্য কমী ও এক হাজার ৮৭৬ জন স্বেচ্ছাসেবক সেবা প্রদান করছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-
অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মুল ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সিভিল সার্জন ডা. একরামুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর আওতায় মঙ্গলবার জেলার ৯ উপজেলার ৩০৬ টি ওয়ার্ডে দুই হাজার ৪৩৩ টি কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।
এর মধ্যে- ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ৫৫ হাজার ২৬৫ জন শিশুকে একটি করে নীল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী চার লাখ ৬২ হাজার ২৮৯ শিশুকে একটি করে লাল টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
উল্লেখ্য অন্ধত্ব প্রতিরোধ সহ স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বছরে দুই বার এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা-
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, খুলনায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজারের বেশি শিশুকে।
মঙ্গলবার সকালে নগরীর ২ নম্বর কাস্টমঘাটস্থ আমিরাবানু বেগম নগর মাতৃসদন প্রাঙ্গণে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুর মৃত্যুঝুঁকি কমায়।
তিনি আরও বলেন, তাই শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো খুবই জরুরি। ভ্রাম্যমাণ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রত্যন্ত এলাকা, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাটসহ প্রতিটি স্থানে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
অভিভাবকদের টিকা কেন্দ্রে শিশুদের নিয়ে আসার আহ্বান জানান মেয়র।
এছাড়া খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা ও দুইটি পৌর সভায় মোট ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৪ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ২২ হাজার ৮৭৯ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুর সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ১১৫ জন।
কর্মসূচি সফল করতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের চারটি জোনে ৭১০টি কেন্দ্রে ৬২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ১ হাজার ৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।
এছাড়া খুলনা জেলার দুইটি পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনসহ ৯টি উপজেলায় ৬৮টি ইউনিয়ন এবং ২০৪টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৬৪১টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ২৮২ জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবেন।
নড়াইল-
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) নড়াইল পৌরসভার ও সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে নড়াইল পৌর সানফ্লাওয়ার প্রিপারেটরি স্কুলে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী।
সকাল ৮ থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
এ বছর নড়াইল জেলার তিনটি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভায় ছয় থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৯৩ হাজার ৫০০ শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ১১ হাজার ৬২২ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৮১ হাজার ৮৭৮ শিশুকে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এসময় শিশুর বয়স ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হয়।
ঝালকাঠি-
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঝালকাঠির আশা সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাইয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার ৮৯ হাজার ৩৭ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ১০ হাজার ৩২৬ জন শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭৮ হাজার ৭১১ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
এছাড়া জেলার চারটি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভা নিয়ে মোট ৮২৪টি কেন্দ্রে শিশুদের জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসুচির আওয়াতায় ক্যাপসুল খাওয়োনো হয়। এছাড়া ভ্রাম্যমান টিম জেলার বিভিন্ন স্থানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ায়।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিভিল সার্জন অফিসের এমও ডা. মোস্তাফিজুর রহমানসহ ঝালকাঠি স্বাস্থ্য বিভাগ ও আশা সমন্বিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আরও পড়ুন:
১০ মাস আগে
আজ থেকে শুরু হলো ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন
আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হলো ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। দেশের সব ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রসমূহে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস (নীল ও লাল রঙ) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীর নিপসম সেন্টারে শিশুদের জন্য ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে সাড়ে ৩ লাখ শিশুকে
এ উপলক্ষে নিপসম সেন্টারে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সভায় জানানো হয়, মঙ্গলবার থেকে আগামী চার দিন প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দেশের সব ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এবারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৫০০ শিশুর ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো নিশ্চিত করা। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ শিশুকে নীল রঙের এবং ১১-৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আজ ১২ ডিসেম্বর থেকে আগামী শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ৪ দিন চলবে এই ক্যাম্পেইন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:
শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকাদানে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। টিকাদানে আমাদের সফলতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। করোনার সময়েও বাংলাদেশ একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে বিশ্বে আলোচিত হয়েছে। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে৷ এবার ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য আমরা ২ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে টার্গেট করেছি। এজন্য আমাদের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই টিকাদান প্রক্রিয়ায় এবার ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে।’
এই টিকা খাওয়াতে কেউ যেন গুজবে কান না দেয় সেজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল একেবারেই নিরাপদ ও অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের অন্ধত্ব দূর করার পাশাপাশি বামনত্ব প্রতিরোধ করে। এই টিকা দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সব ধরনের মৃত্যুহার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে এবং হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজনিত কারণে মৃত্যু রোধ করে।
তিনি বলেন, এই টিকা জাতির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশের ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে খাওয়াতে হবে। টিকা খাওয়াতে শিশুদের ভরাপেটে নিয়ে আসতে হবে। ৬ মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এই টিকা খাওয়ানো যাবে না।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীরসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
দেশব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
চাঁদপুরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে সাড়ে ৩ লাখ শিশুকে
চাঁদপুরের আট উপজেলায় ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৫১ হাজার ২৮৮ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে সেমাই খেয়ে অসুস্থ ৮, ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ৩ জন
এতে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর জেলার আট উপজেলার দুই হাজার ৩৩২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় গত রাউন্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৮ হাজার ৩৬৬ জন।
তিনি বলেন, শিশুর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৮২ জন। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ০৭ ভাগ। এছাড়া গত রাউন্ডে ১২ থেকে ৫৯ বয়সী শিশুর লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ ১২ হাজার ৯৪১ জন।
তিনি আরও বলেন, শিশুর সংখ্যা তিন লাখ ৯ হাজার ৭৪৩ জন। অর্জনের হার ৯৮ দশমিক ৯৭ ভাগ।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা ও চাঁদপুরে ভূমিকম্প আতঙ্কে দ্রুত বের হওয়ার সময় আহত ৩০
চাঁদপুরে শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
১০ মাস আগে