উপস্থিতি
ভোটার উপস্থিতির যে কোনো সংখ্যাই গ্রহণযোগ্য: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভোট গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য কত শতাংশ ভোট লাগবে সে বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ, প্রবিধান বা বাধ্যবাধকতা নেই।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। ইসি যে কোনো শতাংশ ভোটে সন্তুষ্ট হবে।’
সোমবার(২০ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর ফসল কাটা, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অনুপস্থিতির কারণকে অপ্রত্যাশিত ভোটার উপস্থিতির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: পাবনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ১০
তিনি আরও বলেন, ‘এটা নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থা বা অনাস্থার বিষয় নয়। পছন্দের প্রার্থী না পাওয়া এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভোটার উপস্থিতি কমে গেছে। তবে কত শতাংশ ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে, সে বিষয়ে ইসির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’
তিনি উল্লেখ করেন, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সহিংসতামুক্ত করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশ নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। বিশ্বব্যাপী নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে এবং এটি আমাদের দেশের জন্য অনন্য কোনো সমস্যা নয়।’
তিনি আও বলেন, জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে উদ্বুদ্ধ করতে লিফলেট বিতরণ করছে বিএনপি। এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার এবং তারা তা করতেই পারে। তবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বরেও সতর্ক করেন ইসি।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি
৭ মাস আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে তা এখন দেশের অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনিম বলেন, গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে ১০ লাখের বেশি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা নাগরিক আমাদের কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার তাদের উদারভাবে গ্রহণ করে আশ্রয় দিয়েছে। এই উদারতা আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি বড় আকারের বোঝা হিসেবে পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় অশনির বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বছরে আমাদের এই খাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় গুলশানে এজ গ্যালারি বে’স এজওয়াটারে ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘থ্রু দ্য লেন্স অব হোপ: রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আনফোল্ডেড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শরণার্থীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও বিদেশি সাহায্য কমে আসার কারণে খরচের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর পাশাপাশি শরণার্থীদের আগমনের কারণে স্থানীয় চাকরির বাজারেও প্রভাব পড়েছে, শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমের মূল্য কমেছে। ফলে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো ধরনের সমাধানে না আসা পর্যন্ত এই সমস্যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে রেখেছে। শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবসনের সিদ্ধান্ত এখনও অনিশ্চিত থাকায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ যেমন মাদক ও মানব পাচার।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করলেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হলো নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবসন নিশ্চিত করা। আইআরসির এমন একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করছি, যার মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা সংস্থা, ইউএসএইড ও বিশ্বনেতারা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি সব দাতা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে, যা রোহিঙ্গা জাতি এবং এই সমস্যা দ্বারা প্রভাবিত স্থানীয় জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে পরিণত
১০ মাস আগে
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এবং সেখানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বহির্বিশ্বের একটি অংশ এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, “আজও এই সংকটকালে বাংলাদেশের আমন্ত্রিত হওয়া এবং নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন’- এমন জোরালো বিবৃতি দেওয়ার সাহস আগে কোনো নেতাই দেখাতে পারেননি।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশের আদর্শ ও সার্বভৌমত্বে আঘাত এবং মুক্তিযুদ্ধে আঘাত করার অভিযোগের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিবেক আছে- এমন কেউ এটা উচ্চারণ করতে পারে না। এ যেন পাগলের অসংলগ্ন প্রলাপ।
বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যা চিরন্তন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের রাজনীতিতে মিথ্যাচার অপরিহার্য। এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা।
দ্রব্যমূল্য বাড়ছে- সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগে মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এমনকি তাদের কোনো নেতা-কর্মীও নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কথা বলার চেষ্টা করছেন তারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, আবার কিছু পণ্যের দাম কমছে। বাজারের ওঠানামা সবসময়ই থাকে।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে বলে সরকার এখানে কোনো উদাসীনতা দেখায়নি। প্রতিটি সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্ত রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় সজাগ। মিয়ানমারে বিরাজমান অস্থিতিশীলতার ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
‘আমরা এজন্য প্রস্তুত আছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে’ বলে আশ্বস্ত করেন ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ রোধে বন ও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করা হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
১০ মাস আগে
ভোটার উপস্থিতি দেখেই জনগণের ইচ্ছা বোঝা যায়: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের সহায়তায় বর্তমান সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনা মনে করেন, তিনি তার প্রভুদের পৃষ্ঠপোষকতায় ক্ষমতায় থাকবেন। সেসব দিন শেষ হয়ে গেছে।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে দেশের জনগণ 'বিজয়ের লক্ষণ' দেখিয়েছে। ‘আপনাদের (সরকারের) উচিত এর থেকে জনগণের চাওয়া বোঝা।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনা করে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
আরও পড়ুন: আ. লীগের নতুন 'কৃষ্ণতম মেকি সরকার': রিজভী
রিজভী বলেন, জনগণ এখন আন্দোলনে নেমেছে এবং এই কর্মসূচি সফল করতে আগামী দিনগুলোতে তারা রাজপথে থাকবে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং স্বৈরাচারী নেতাদের উৎখাত করার ইতিহাস বাংলাদেশের রয়েছে উল্লেখ করে রিজভী ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ‘শেখ হাসিনার ভাগ্যও এর চেয়ে আলাদা হবে না। শেখ হাসিনার সরকারও ভেসে যাবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার পদ্মা সেতু ও ফ্লাইওভারকে উন্নয়নের নিদর্শন হিসেবে দেখছে, ‘যেখানে দরিদ্র মানুষ তাদের সন্তানদের নিজেদের ভরণপোষণের জন্য বিক্রি করে দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, জনগণ আবার রাস্তায় নামবে, তাদের দাবি আদায় করবে এবং তাদের অধিকার পুনরুদ্ধার করবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্কের একটি বক্তব্যের বিরোধিতা করায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র যেন 'কসমেটিক' না হয়।
আইনমন্ত্রী দাবি করেছেন, তুর্কির বক্তব্য পুরোপুরি ভুল তথ্য প্রাপ্তি থেকে হতে পারে।
তিনি বলেন, 'তিনি (হক) মিথ্যা বলতে পারেন বলেই আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী। তিনি যদি সত্য বলতে পারতেন, তাহলে আওয়ামী লীগ তাকে মন্ত্রী করত না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর শান্তিনগরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এসময় সেখানে, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারাও ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি: রিজভী
বিএনপির নতুন কর্মসূচি আসছে: রিজভী
১১ মাস আগে
ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হারকে যে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন যে ভোট দানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, তাহলে তা যাচাই করতে এবং আমাদের সততা পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে স্বাগত জানাই।’
আরও পড়ুন: ভোট দিয়ে সংসদ-সরকার গঠনে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান সিইসির
সোমবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।
দিনের মাঝামাঝি সময়ে বা ভোট শেষ হওয়ার ঠিক পরে যে হার দেখা গেছে, তা অবশ্যই বাস্তবের সঙ্গে মিলবে না।
সিইসি জানান, চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচনে মোট ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সিইসিসহ অন্যদের আমন্ত্রণ জানাল রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন
রবিবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা ২২২টি আসনে জয়লাভ করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়লাভ করেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টি মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী হয়েছে এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এই তিনটি দলের একক প্রার্থী তাদের নিজ নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন।
নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন স্থগিত করায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে রবিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা সিইসির
১১ মাস আগে
ভোটার উপস্থিতি কতটা জরুরি?
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাত্রারেখায় দাঁড়িয়ে আছে। দাপ্তরিক কাজ শেষ। এখন প্রার্থীদের রিং এ ফেলে বক্স অন বলার অপেক্ষা।
নিরাপত্তার চাদরে আবৃত হয়ে নির্বাচন কমিশন কমান্ড পোস্ট থেকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছে। তারা তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন যে আঁটঘাট বেঁধে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন করেই ছাড়বেন। তারা বলেছিল, কে এল না এল তাতে কিছু আসে যায় না। নির্বাচন হবেই।
নির্বাচন কমিশন আবার আমেরিকার কথার তোয়াক্কা করবে না বলে মাঝে মাঝে জানান দেয়। আবার ভয় যে পায় তা মাঝে মাঝে সিইসির বক্তব্যে বেফাঁস বেরিয়ে আসে। রাজনৈতিক দলগুলো তৈরি। উৎসবমুখর না হলেও বিরস মুখে ক্ষুদ্র দলগুলো সরকারি দল থেকে দুয়েকটা আসন প্রাপ্তির সুযোগ খুঁজছে। সরকারি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা সংশয়ে আছে। মাঠ পর্যায়ে জনপ্রিয়তা থাকলেও তাদের নির্বাচনী ফসল ঘরে তুলে আনার সম্ভাবনা কতটুকু? সরকার ও সরকারি দল কতটুকু ক্ষমতাশালী তা বিদ্রোহী প্রার্থীরা নিজেরাই ভালো জানেন কারণ বিগত ভোটারবিহীন নির্বাচনগুলোর কুশীলব তারাই ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগ প্রসঙ্গে চীনের বাংলাভাষী প্রতিভা প্রশিক্ষণের কৌশল সম্পর্কিত গবেষণা
তাহলে ভোটের মাঠে থাকছে সত্তরোর্ধ্ব একটা রাজনৈতিক দল, কিছু নামসর্বস্ব দল, কিছু নেতা সর্বস্ব লোভী ও সরকারি দলের বিদ্রোহীরা। তাহলে একটা বৃহৎ দল কার সঙ্গে নির্বাচন লড়তে যাচ্ছে? এ লড়াই কি তাদের জন্য সন্মানজনক? মর্যাদাপূর্ণ? দেশের গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক?
এ বৃহৎ দলের একটাই প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপিকে হামলা-মামলা ও রাজনৈতিক কৌশলে নির্বাচনের বাইরে রাখা হয়েছে। ইসলামী কিছু দল এমনকি বাম দলগুলোও নির্বাচনে যাচ্ছে না। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া কোনো সাহসিকতার কাজ নয়। দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতাও পাবে না। তার কি কোনো বিকল্প নেই?
ধরে নিলাম সব ঠিক চলছে। ভালোমন্দ মিলিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাজসজ্জা তৈরি। দল আছে, প্রার্থী আছে, পরিচালনাকরিরাও প্রস্তুত। তারপরও ভোটার উপস্থিতির শঙ্কা। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যাবেন এটাই আশা। কিন্তু ভোটাররা কাকে ভোট দিতে যাবেন।
একটা দলেরই যোগ্য প্রার্থী আছে, বিপরীতে যারা আছে তারা কি গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় রাজনৈতিক দল? তাহলে একমাত্র বৃহৎ দলের যোগ্য প্রার্থীরাই জিতবেন। তাদের মাঝে মন্ত্রী, এমপি সবাই সিংহাসনে আসীন। এসব যোগ্যদের জেতানোর জন্য সবাই একাট্টা। নির্বাচনটা গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
ভোটার হাজির করার দায়িত্ব কারোই নয়। ভোটারের নিজের দায়িত্ব এটা। দেশের সুনাগরিক এ দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য। সবাই সুনাগরিক নয়। তাহলে ভোটারদের কষ্ট করে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার দরকার আছে? এর চেয়ে নিজের জীবন জীবিকার জন্য দিনটি ব্যয় করা উত্তম।
নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজেদের সাফল্য জাহির ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের নেতিবাচক দিক তুলে ধরেন। ক্ষমতায় বহাল সরকার, এমপি-মন্ত্রীদের কোনো সমালোচনা বা নেতিবাচক কথা বললেই সাইবার আইনে ফেঁসে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা। তাহলে নির্বাচনটা সেভাবে প্রভাবিত হবে না বলে নিশ্চয়তা কেউ দেবে? এটা ধরে নেওয়া যায় যে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে দ্বিধান্বিত হবেন।
নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। উৎসব মুখর ভোট হবে, এমপি-মন্ত্রীদের সুযোগ-সুবিধা ও সম্পদ বৃদ্ধি ঘটবে। জিন্দাবাদ মূর্দাবাদ করে কর্মীরা ক্লান্ত হয়ে খালি হাতে ঘরে ফিরবে। কোনো কিছু কি জনগণের ভাগ্যে যাবে?
(বি.দ্র. ইউএনবির সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামত নাও মিলতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো দায়ভার ইউএনবি নেবে না।)
আরও পড়ুন: চীনে আঞ্চলিক ও দেশীয় অধ্যয়নের উন্নয়ন
ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের জরুরি জলবায়ু তহবিল প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে