বিজিএমইএ পরিচালক
২০২৪ সালে ‘প্রত্যাশিত’ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে পারে: বিজিএমইএ পরিচালক
২০২৪ সালে প্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়তে পারে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখতে পারি, নতুন পণ্য ও বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে পারি তবে আমরা কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তার কারণে ২০২৪ সালের গতিপথ অনুমান করা কঠিন। সরবরাহ শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ও মুদ্রাস্ফীতির মতো কারণগুলো এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
রুবেল বলেন, উপরন্তু, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে হ্রাস এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জসহ অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ওপর চাপ রয়েছে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে শিল্পের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৩ সালে পোশাক খাতের বৈশ্বিক পরিস্থিতি ২০২২ সালের মতো ভালো ছিল না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী পোশাক রপ্তানি ৫৭৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
রুবেল বলেন, ‘ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে পোশাক আমদানি ইতোমধ্যে কমে গেছে। সম্মিলিতভাবে মূল্যায়ন করা হলে বাংলাদেশের প্রধান দু’টি বাজার 'আমাদের প্রবৃদ্ধিতে' কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারেনি।’
রুবেল বলেন, অপরদিকে অপ্রচলিত বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপ্রচলিত বাজারের প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
১১ মাস আগে
টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশ টেকসই ফ্যাশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এখানে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত ২০৬টি সবুজ কারখানা রয়েছে। ৭৬টি প্ল্যাটিনাম-রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড-রেটেড সুবিধার কারখানা রয়েছে, এর মাধ্যমে পরিবেশগত বিষয়ে দেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
গত ছয় মাসে ১৬টি প্ল্যাটিনাম এবং ৮টি গোল্ড সার্টিফিকেশনসহ ২৪টি নতুন কারখানা সংযোজনের মাধ্যমে এই প্রবৃদ্ধি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিজিএমইএ'র পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ সম্প্রসারণের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বিজিএমএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের মুকুটে আরও ২টি প্লাটিনাম রেটেড লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশকে ২০৬টি লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা আবাসস্থলে পরিণত করেছে। এবারে সাফল্যটি আমাদের জন্য আরও বিশাল। গাজীপুরের এস. এম. সোর্সিং পোশাক কারখানাটি ১০৬ স্কোর করেছে; এই স্কোর ইউএসজিবিসি অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কোর। এর অর্থ হলো- গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেডের (ইউনিট-৪) রেকর্ডও (স্কোর-১০৪) ছাড়িয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল স্বীকৃতি। লিড প্রত্যয়িত দ্বিতীয় কারখানাটি হলো গাজীপুরের নাইস কটন লিমিটেড। এটি ৮১ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
বিশ্ববাজারকে পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনের দিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
রুবেল স্থায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতির গুরুত্বকে উল্লেখ করে আরও বলেন, শুধু প্রশংসার জন্য নয়, শিল্পের স্থায়ী সাফল্য ও কার্যকারিতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই অর্জনের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হলো, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি এলইইডি সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৪টি এখন বাংলাদেশে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি একটি মাইলফলক যা সম্ভবত আরও বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্ব আকর্ষণ করবে। এটি টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রুবেল আরও বলেন, বাংলাদেশে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার উত্থান পরিবেশগত স্থিতিশীলতার প্রতি পোশাক শিল্পের অবিচল নিষ্ঠা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
১ বছর আগে