ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
লালমনিরহাট সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্ত থেকে খালেক মাহমুদ (১৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করে বিএসএফ।
খালেক উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের টংভাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে খালেকসহ কয়েকজন যুবক বাড়াইপাড়া সীমান্ত এলাকায় যায়। এসময় ভারতের নিলাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে বাকিরা পালিয়ে যেতে পারলেও খালেককে আটক করে বিএসএফ। কী কারণে তাকে বিএসএফ আটক করেছে তা এখনো জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে সীমান্তে সতর্কতা বাড়াবে বিজিবি-বিএসএফ
এ বিষয়ে খালেকের বাবা রমজান আলী বলেন, আমার ছেলে কেন, কার সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় গেছে আমি জানি না। শুনেছি আমার ছেলেকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। পরে গরু ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে খোঁজ খবর নিয়ে জেনেছি যে তাকে রাত ১২টায় ভারতের মাথা ভাঙ্গা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে বিএসএফ।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের মানসিক সমস্যা আছে। মাঝে মাঝে সে মানসিক সমস্যায় পড়ে কী করে না করে সে নিজেও জানে না। আমার ছেলে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
এ বিষয়ে টংভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনে খালেকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিংগীমারী বিজিবি ক্যাম্পের ইনচার্জ নাসির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি-৬১ তিস্তা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
১১ মাস আগে