নাশকতাকারী
নাশকতাকারীদের শনাক্ত করতে জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ চালানো, নাশকতাকারী ও দুর্বৃত্তদের তথ্য বা ছবি বা ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বুধবার (২৪ জুলাই) সংক্ষিপ্ত বার্তায় পুলিশ সদর দপ্তর জনসাধারণকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ভুয়া এএসপি গ্রেপ্তার, পুলিশ সদর দপ্তরের জাল চিঠি উদ্ধার
পাশাপাশি নাশকতার ছবি বা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও সহায়তা চেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তর তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরে ০১৩২০০০১২২২ অথবা ০১৩২০০০১২২৩ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: মামলাগুলো সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হত্যার রহস্য উদঘাটন করুন: পুলিশ সদর দপ্তর
৩ মাস আগে
নির্বাচনী নাশকতাকারীদের তথ্য দিলে লক্ষ টাকা পুরস্কার: আইজিপি
নাশকতামূলক কার্যক্রম বা নির্বাচন বিরোধী যেকোনো প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সব প্রস্তুতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, নাশকতাকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিলে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে এবং তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা মিটিং শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত আছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময় মাঠে থাকবে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু, নারী ও বয়স্কদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
তিনি আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে প্রার্থীদের প্রতিটি অভিযোগ আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে যাতে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।
নির্বাচনী সহিংসতার বিষয়ে আইজিপি বলেন, নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সবরকম সহিংসতা রুখতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। একই সঙ্গে আমি যশোরবাসী ও দেশবাসীকে আহ্বান জানাতে চাই আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আসুন, ভোট প্রয়োগ করুন, আমরা আপনাদের পাশে আছি।
এছাড়াও তিনি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করে বলেন, যদি কারও কাছে এমন কোন তথ্য থাকে কেউ নাশকতা করবে বা নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করবে, তাহলে আমাদের তথ্য দিয়ে সহোযোগিতা করবেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।
এর আগে আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
৯ মাস আগে
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
যারা অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ ও রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট অপসারণের আশ্রয় নেয়, তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তারা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে পরাজিত দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর প্রেতাত্মারা এখন এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মানুষ হত্যা করছে এবং আরও হত্যার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাচ্ছি। যেসব জায়গায় ফিশপ্লেট অপসারণ করা হয় সেখানে জনগণ এগিয়ে এলে এই ষড়যন্ত্রকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না।’
তিনি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এসব মানুষ কেবল ধ্বংস করতে জানে, তারা তৈরি বা গড়তে জানে না। তারা মানুষকে হত্যা করতে পারে, কিন্তু মানুষের জীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। তাদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের সময় অপরাধীদের হাতে নাতে ধরার জন্য সবাইকে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ট্রেন লাইনচ্যুত ও মানুষ হত্যায় রেললাইনের ফিশপ্লেট তুলে নিয়ে তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে।
তিনি বলেন, তারা কীভাবে গণতন্ত্রের কথা বলতে পারে, খুনিরা গণতন্ত্র দিতে পারে না, দেশের মানুষকে তা বুঝতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি বলেই আজকের বাংলাদেশ পরিবর্তিত বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের স্বাধীন দেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তারা শান্তিতে থাকবে এবং উন্নত জীবন পাবে। এটা আমাদের লক্ষ্য।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির নেত্রী তারানা হালিম প্রমুখ।
শহীদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও নুজহাত চৌধুরীর সন্তানেরাও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় থাকতে বাইরের কারো চোখ রাঙানি সহ্য করবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগকারীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে