শরিক
নির্বাচন নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে নতুন করে সংলাপ শুরু করল দলটি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি ও লেবার পার্টির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে দলটির। পর্যায়ক্রমে শরিক দল ও জোটগুলো এই আলোচনায় অংশ নেবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য এ বিষয়ে বলেছেন, দেশের দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক অবস্থা, আগামী নির্বাচন, সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং প্রধান উপদেষ্টার সম্ভাব্য নির্বাচনি রোডম্যাপের বিষয়ে জোটের শরিকদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে। সবার পরামর্শের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করা হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সুযোগ পেলে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করবে বিএনপি: তারেক
বিএনপির এই নেতা বলেন, নিজেদের ঐক্য আরও জোরদারের দিকে মনোনিবেশ করার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে জোটের শরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কথা বলার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্তদের ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নামের একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চলমান প্রচেষ্টা নিয়েও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার ২০২৬ সালে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করার চেষ্টা করতে পারে, যাতে ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’ নিজেদের সংগঠিত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়।’
‘কেউ রাজনৈতিক দল গঠন করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে, অন্তর্বর্তী সরকার ও রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় যদি কোনো দল গঠিত হয়, তাহলে আমাদের আপত্তি আছে। সংস্কারের বাহানায় একটি দলকে সংগঠিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নির্বাচনে বিলম্ব করার বিরোধিতা করি আমরা।’
এর আগে, বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।
তার এক দিন পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ইঙ্গিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিএনপির
১ দিন আগে
জাতীয় পার্টি ও শরিকদের সঙ্গে ৩২টি আসন ভাগাভাগি আওয়ামী লীগের
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে মোট ৩২টি আসন ভাগাভাগি করেছে।
৩২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬টি আসন জাপার জন্য এবং বাকি ছয়টি আসন ১৪ দলীয় জোটের তিনটি শরিকদের জন্য ছেড়ে দিয়েছে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) নগরীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এসব কথা জানান।
৩২টি আসনে তার দলের প্রার্থী প্রত্যাহারের বিষয়টি ইসিকে জানাতে এসেছিলেন বিপ্লব।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে তিনটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দুটি এবং জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) সঙ্গে একটি আসন ভাগাভাগি করছে আওয়ামী লীগ।
রবিবার আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন থেকে তাদের প্রার্থী তুলে নেয় এবং দলটি এর আগে ৩২টি আসনের মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী দেয়নি।
জাপার জন্য ছেড়ে দেওয়া ২৬টি আসন হলো ঠাকুরগাঁও- ৩, নীলফামারী- ৩ ও ৪, রংপুর- ১ ও ৩, কুড়িগ্রাম- ১ ও ২, গাইবান্ধা- ১ ও ২, বগুড়া- ২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী- ১, বরিশাল- ৩, পিরোজপুর- ৩, ময়মনসিংহ- ৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ- ৩, মানিকগঞ্জ- ১, ঢাকা- ১৮, হবিগঞ্জ- ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২, ফেনী- ৩, চট্টগ্রাম- ৫ ও ৮ এবং নারায়ণগঞ্জ- ৫।
আরও পড়ুন: ইসির আপিল শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৭৫ প্রার্থী
১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা ছয়টি আসন হলো বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, কুষ্টিয়া-২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪।
২৬টি আসনে জাপা প্রার্থীরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে হোসেন মুকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের), কুড়িগ্রাম-১ আসনে একেএম মুস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-১ আসনে আবদুর রশিদ সরকার, বগুড়া-২ আসনে শরীফুল ইসলাম জেন্নাহ, বগুড়া-৩ আসনে মো. নুরুল ইসলাম তালকুদার, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ (মুক্তি), ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক (চুন্নু), মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-১ আসনে শরিফা কাদের, হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আবদুল মোনেম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মো. আবদুল হামিদ, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে মো. সোলায়মান আলম শেঠ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান।
জাসদের তিন প্রার্থী হলেন- বগুড়া-৪ আসনে একেএম রেজাউল করিম তানসেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন।
এছাড়া, বরিশাল-২ আসনে রাশেদ খান মেনন ও রাজশাহী-২ আসনে ফজলে হোসেন বাদশা এবং পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন (মঞ্জু)।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার জিএম কাদেরের
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
১ বছর আগে
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
তিনি বলেন, জোটের জন্য সাতটির বেশি আসন ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের পূর্ণ প্রচেষ্টা চালাবেন। দেশে একটি ভালো নির্বাচন হবে এবং কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না।
কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচন বানচালের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করছে বলেও মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়: কাদের
১ বছর আগে