প্রত্যন্ত গ্রাম
প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবীদের জন্য বিশ্বমানের শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা হবে: পলক
ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবীদের জন্য দেশে বিশ্বমানের শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে গ্রামের দরিদ্র্য ছেলে-মেয়েদের অত্যাধুনিক ও বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে আগা খান একাডেমি ও আইসিটি বিভাগ একসঙ্গে নলেজ পার্টনারশিপ সমঝোতা স্মারক করা হবে। এছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) লিটারেসি ক্যাম্পেইন অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম আগা খান একাডেমিতে চালু করা হবে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরায় আগা খান একাডেমি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। চারটি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট সিটিজেন তৈরির জন্য প্রয়োজন স্মার্ট এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিকদের শুধু উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করাই আমাদের লক্ষ্য নয়, এর সঙ্গে তাদের সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, সমস্যা সমাধানকারী মানসিকতা, নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষা দেওয়াও আমাদের লক্ষ্য।’
তিনি বলেন, শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স সম্পর্কে উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্র, এটুআইয়ের মুক্তপাঠ, এডুহাবসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আগা খান একাডেমি ও আইসিটি বিভাগ নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তর অনেক চ্যালেঞ্জিং। শিক্ষা, প্রযুক্তি ও জ্ঞানের উপর নির্ভর করে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব এবং এই তিনটির উপর নির্ভর করেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
সরকারি-বেসরকারি সেবাকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে দেশে এআই পাওয়ার্ড গভর্নমেন্ট ব্রেইন তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান পলক।
তিনি বলেন, এআই এর নেতিবাচক ব্যবহার কমানোর জন্য এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা একটি এআই আইন করতে চাই। যেটা এখনো ড্রাফটিং পর্যায়ে আছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সরকারি সব সেবা পেপারলেস-স্মার্ট, সব লেনদেন ক্যাশলেস এবং সবগুলোকে ইন্টার-অপারেবল, ইন্টার-কানেক্টেড ও অটোমেটেড করা হবে।
আগা খান একাডেমিকে রোল মডেল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন সম্ভব। পাশাপাশি আইসিটি অ্যাজ এডুকেশন এবং আইসিটি ইন এডুকেশনের ইউজ কেসের ব্যাপারে কাজ করা সম্ভব। এআই অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম, ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ফান্ড এবং এডুকেশন ও নলেজ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার জন্য আগা খান একাডেমি ও আইসিটি বিভাগ একসঙ্গে কাজ করবে।
এসময় আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের বাংলাদেশে নিযুক্ত কূটনৈতিক প্রতিনিধি মুনির মি. মেরালি উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি হচ্ছে চট্টগ্রাম: পলক
৮ মাস আগে
বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে মুড়ির মোয়া
শীতের সকালে নাস্তার টেবিলে অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি মুড়ির মোয়া সব শ্রেণির মানুষের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণ।
শীত এলেই নতুন ধান থেকে মুড়ি তৈরি করে। আরও সেই মুড়ি থেকে গুড় দিয়ে মোয়াসহ বিভিন্ন নাস্তা তৈরিতে শুরু হয়ে যায় পরিবারের নারী সদস্যদের তোড়জোড়।
আরও পড়ুন: ‘মুড়ির টিন’ দিয়ে শুরু হলো কোক স্টুডিও বাংলা’র দ্বিতীয় সিজন
তবে এটি এখন আর শুধু ঘরে তৈরিতে সীমাবদ্ধ নেই। বাণিজ্যিকভাবে কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি হচ্ছে। এই মোয়া বিক্রি করে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে অনেকের।
কুড়িগ্রামে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতকালীন নানা ধরনের খাবার।
আখ ও খেজুর গুড় ঘন জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে সেখানে সাদা ধবধবে মুড়ি মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে সুস্বাদু মুড়ির মোয়া।
এটি গ্রাম-শহরের নানা বয়সী মানুষের শীতের দিনের মুখরোচক খাবার।
আরও এই মুখরোচক খাবারটি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করছেন জেলার উলিপুর উপজলোর থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তা নদীর পাড়ের গোড়াই পিয়ার গ্রামের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম-শাপলা বেগম দম্পতি।
তারা বাড়িতেই বাণিজ্যিকভাবে হাতে তৈরি করছেন মোয়া। তাদের তৈরি সুস্বাদু এই মোয়া স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজলোর হাট বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি ১০০ মোয়া বিক্রি হয় ৩০০ টাকায়। মেকানিক পেশায় থাকাকালীন সাইফুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তেমন ভারী কাজ করতে না পারায় ২০২০ সালে এনজিও ঋণ নিয়ে শুরু করেন মোয়া ব্যবসা।
এরপর দিন যতই যাচ্ছে তার মোয়ার পরিচিত ততই বাড়ছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আগে মেকানিক ছিলাম। কোমরের ব্যথার অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন বসে ছিলাম। পরে চিকিৎসার জন্য সেই কাজ ছেড়ে দিয়েছি। বেকার হয়ে পড়ি। প্রায় চার বছর আগে ২০২০ সালে নিজেই মোয়া তৈরি করে বাজারজাত করি।
তিনি আরও বলেন, এভাবে শুরু আমার এই ব্যবসা। মূলধন না থাকায় এনজিও ঋণের উপর নির্ভরশীল হই। চলতি বছর দুটো এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছি। আমার এখানে বর্তমানে মোয়া তৈরিতে বিভিন্ন বয়সী ২৮-৩০ জন নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এসব শ্রমিকরা নিজেদের সংসারের কাজ করে এসে দিন ২০০ টাকা মজুরিতে এখানে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে লক্ষাধিক মেট্রিক টন মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রত্যাশা
১১ মাস আগে