ফারিণ
ফারিণ-প্রীতম জুটির ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ একটি স্পর্শের গল্প।
জীবনের প্রয়োজনে দূরে যাওয়া আবার অনুভূতির আলোড়নে ফিরে আসার গল্প। পরস্পর থেকে হাজারও মাইল দূরে অবস্থানরত প্রেমিক–প্রেমিকার কষ্টের গল্প।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে চরকিতে চলছে মিনিস্ট্রি অব লাভ-এর দ্বিতীয় সিনেমা ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন প্রীতম হাসান ও তাসনিয়া ফারিণ।
দুই ঘণ্টা ২৪ মিনিটের এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন- সমাপ্তি মাশুক, খলিলুর রহমান কাদেরী, শিরিন আলম, শুভজিৎ ভৌমিক, শাহীন শাহনেওয়াজসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় একুশের বিশেষ আয়েজন
মুক্তির দুই দিনেই সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ নিয়ে বেশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া নেটিজেনদের মাঝে। এ ব্যাপারে পরিচালক শিহাব শাহীন বেশ উচ্ছ্বসিত।
গণমাধ্যমে পরিচালক বলেন, ‘ভালোবাসার গল্পে লং ডিস্ট্যান্স সম্পর্ক নিয়ে আমাদের এখান খুব কম কাজ হয়েছে। তাই ভালোবাসার এই দিকটা নিয়েই কাজ করেছি।’
তাসনিয়া ফারিণ অভিনয়ে এখন নিয়মিত মুখ। ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’-সিনেমার গল্প যেনো তার জীবনের সঙ্গে একদম মিলে যায়। দীর্ঘদিন লং ডিস্ট্যান্স রিলেশনশিপে থাকার পর কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছেন ভালোবাসার মানুষকে। কাজটি করতে গিয়ে বেশ ইমোশনালও হয়েছেন ফারিণ।
সিনেমাটি নিয়ে ফারিণ বলেন, ‘কাছে মানুষ আমার খুব ভালোবাসার একটা কাজ। শিহাব ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করাটা সব সময় ব্লেসিং-এর। দর্শক এখন সিনেমাটা দেখে পছন্দ করলে তবেই আমাদের সার্থকতা।’
প্রীতম হাসান গায়ক থেকে নায়ক হয়েছেন এই সিনেমায়।
অভিনয় নিয়ে তার পরিকল্পনা কী বা অভিনয়ে নিয়মিত হবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিনয়ে নিয়মিত হব কি না এটা ভাবার চেয়ে ভালো কাজ করার ভাবনা বেশি। অভিনয় তো খুব কম করা হয়। কম কাজই বেশি সময় নিয়ে করতে চাই। কাছের মানুষ দূরে থুইয়া আমার জন্য অন্যরকম ভালোবাসার কাজ। সিনেমাটা দেখে দর্শক আমাকে পছন্দ করছে, আমাদের কাজটা দেখছে এটাই প্রাপ্তি।’
সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক শিহাব শাহীন নিজেই ও সঙ্গে ছিলেন- জাহান সুলতানা।
আরও পড়ুন: বন্দরনগরীতে আসছে জয় বাংলা কনসার্ট
এবার দর্শক আমাকে নতুনভাবে পাবে: সজল
৯ মাস আগে
বিজয় দিবসে জোভান-ফারিণের ‘প্রেম ৭১’
বর্তমানে বড়পর্দা ও ওটিটি নিয়ে বেশ ব্যস্ত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তবে এরমধ্যে বিজয় দিবসের জন্য একটি নাটকে অভিনয় করলেন তিনি। জুটি বেঁধেছেন জোভানের সঙ্গে।
গল্পের সময়টা ১৯৭১। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। গ্রামের মানুষ দলে দলে বসত ভিটা ছেড়ে পালাচ্ছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাণভয়ে পাড়ি জমাচ্ছে সীমান্তের ওপারে।
আরও পড়ুন: রাফির পরিচালনায় শাকিব খানের ‘তুফান’
ফারিণও তার বাবার সঙ্গে দেশ ছাড়ার জন্য বেরিয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্তেও পাকবাহিনীর হাত থেকে রক্ষার জন্য ফারিণের বাবা মাথায় টুপি পরেছেন। যাওয়ার পথে জোভানের সামনে পড়ে তারা।
জোভান পীর বংশের ছেলে। সব সময় পাঞ্জাবি টুপি পরে থাকে। ফারিণকে দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে সে। জোভানের মা খুব কট্টর ধার্মিক। ধর্মের দোহাই দিয়ে তিনি পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের এলাকায় আসা পাকবাহিনীর সেবায় তিনি নিবেদিত। ছেলে জোভানকেও তিনি তার মতো করে চলতে কড়াকড়ি আরোপ করেন।
কিন্তু ছেলে তার সবকিছু মেনে নিতে নারাজ।
এদিকে, পথ চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে রাতে এক ভাঙা বাড়িতে আশ্রয় নেয় ফারিণ ও তার বাবা। প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে যেতে মন চায় না ফারিণের। সকালে কলপাড়ে পানি আনতে গেলে আবার জোভানের মুখোমুখি হয় সে। জোভান তার প্রেমে পড়ে যায়। ফারিণও একটা আকর্ষণবোধ করে। কিন্তু সে জানে ধর্মীয় কারণে তাদের সম্পর্ক সম্ভব নয়। তাই জোভানকে ফিরিয়ে দিতে চায়।
জোভান তাকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বিষয়টা বুঝতে পেরে তার মা এক রাতে পাকবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ফারিণদের বাড়িতে যায়।
এরপর কী হয় তাদের পরিণতি-দেখা যাবে টেলিফিল্ম ‘প্রেম ৭১’-এ।
শাহজাহান সৌরভের রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন সকাল আহমেদ।
এতে আরও অভিনয় করেন- এস এম মহসীন, সাবেরী আলম প্রমুখ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচার হবে টেলিফিল্মটি।
আরও পড়ুন: মোবারক হয়ে পর্দায় আসছেন মোশাররফ করিম
নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করলেন মাহি
১ বছর আগে