মোঃ সাহাবুদ্দিন
সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না প্রশ্ন আসিফ নজরুলের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র তার কাছে নেই বলে রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মিথ্যাচার বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি আরও বলেন, তার এ বক্তব্য শপথ ভঙ্গের শামিল এবং রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না- সেটা নিয়ে সরকার আলোচনা করবে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, 'রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি। এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং উনার শপথ লঙ্ঘনের শামিল। উনি নিজেই ৫ আগস্ট রাত ১১টা ২০ মিনিটে পেছনে তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী উনার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং উনি তা গ্রহণ করেছেন।'
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উপদেশমূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে উনার (রাষ্ট্রপতি) কাছ থেকে আপিল বিভাগের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়- এই পরিস্থিতিতে করণীয় কী আছে? এটার প্রেক্ষিতে তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের যিনি প্রধান বিচারপতি ছিলেন এবং অন্য বিচারপতিরা মিলে ১০৬ এর অধীনে একটা মতামত প্রদান করেন রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের ভিত্তিতে। সেটার প্রথম লাইনটি হচ্ছে, দেশের বর্তমান অদ্ভুত পরিস্থিতিতে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন...। তারপর অন্যান্য কথা।'
আরও পড়ুন: সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করায় ছাত্র-জনতার অভিযোগ নিরসনের উপায় হলো: আইন উপদেষ্টা
'এই রেফারেন্সটিতে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সব বিচারপতির সই আছে বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, 'এই যে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, এর প্রেক্ষিতে যে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই মতামতের ভিত্তিতে একটা নোট আমরা মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠাই। রাষ্ট্রপতি এই অভিমতটা দেখেছেন এবং গ্রহণ করেছেন। এরপর তিনি নিজেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছেন।'
আসিফ নজরুল বলেন, ‘একের পর এক কার্যাবলীর মধ্য দিয়ে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত উনি পুরো জাতির কাছে নিশ্চিত এবং পুনর্বার নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছেন এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। এখন প্রায় আড়াই মাস পরে যদি উনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র দেননি, এটা এক ধরনের স্ববিরোধিতা হয়, ওনার শপথ লঙ্ঘন হয়। এ পদে থাকার আর ওনার যোগ্যতা আছে কিনা, সে সম্পর্কে প্রশ্ন আসে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে আপনার যদি শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা না থাকে বা আপনি গুরুতর অসদাচরণ করেন, তখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনি থাকতে পারেন কি না সে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ সংবিধানে রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, 'এত কিছুর পর উনি (রাষ্ট্রপতি) এটা কীভাবে বলতে পারেন, সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। উনি যদি এই বক্তব্যে অটল থাকেন, তাহলে তার রাষ্ট্রপতি পদে থাকার যোগ্যতা আছে কি না সেটা, আমাদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় ভেবে দেখতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'জাতির সামনে বলা কথা নিয়ে যদি বিতর্ক সৃষ্টি করেন, সেটা তো অসদাচরণের পর্যায়ে পড়ে। তখন এই প্রশ্ন আসে আপনার মানসিক সক্ষমতা আছে কি না রাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে- এ প্রশ্নগুলো আসার সুযোগ তিনি তৈরি করে দিয়েছেন।'
এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখি পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তিরা যখন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ-আয়োজন করছে, তখন হঠাৎ করে তিনি আড়াই মাস পর এমন কথা কেন বললেন সেটা নিয়ে সমাজে প্রশ্ন আসতে পারে, প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক।'
এর আগে মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই।
সাক্ষাৎকারটি শনিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’- এ প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
১ মাস আগে
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনস্বার্থ বিষয়ে গুরুত্ব দিন: রাষ্ট্রপতি
রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জনকল্যাণ রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ও রাজনীতিবিদদের গৃহীত সব সিদ্ধান্তে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কে বা কারা এই সিদ্ধান্ত নিল সেটা বড় কথা নয়- জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কি না বা জনস্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না সেটাই বড় কথা।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জনস্বার্থকে ধ্বংস করা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির পরিচয় দেয়।
দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার গিমাডাঙ্গায় কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলের পর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার এই জনপ্রিয় উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। এটি ছিল তৎকালীন সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয় এবং জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে, এ ধরনের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনস্বার্থে সরকারের নেওয়া সব উদ্যোগ সফল করতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
দেশের জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিকের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও শিশুদের চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের আস্থার স্থানে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের উপযোগিতা ও সুনাম গ্রাম-শহর ছাড়িয়ে জাতীয় পর্যায়ে এমনকি বিশ্বজুড়েও ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম, আশ্রয় কেন্দ্র, সবার জন্য বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি, আমার খামার, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ মোট ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, 'কমিউনিটি ক্লিনিক' শিরোনামে জাতিসংঘের এই ঐতিহাসিক প্রস্তাব, 'শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্ভাবনী নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গৃহীত সব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সমন্বিত কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি জানান, বর্তমানে দেশে ১৪ হাজার ১৭৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মডেল হিসেবে কাজ করছে এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা দিচ্ছে।
এ সময় কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি) অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই) অ্যাওয়ার্ড এবং ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ডের মতো অনেক মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কার বাংলাদেশ অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং জাতিকে গর্বিত করেছে।
সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব এ কে এম নুরুন্নবী কবির, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি প্রভাষক মুক্তিযোদ্ধা ডা. আহমদ আল কবির এবং গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসকে 'দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে 'স্মার্ট কমিউনিটি ক্লিনিক-কমিউনিটি ক্লিনিক-গ্লোবালাইজেশন অব কমিউনিটি ক্লিনিক' শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
৬ মাস আগে
দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন: বিচারপতিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারকদের দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বিচারকদের বলেন, ‘আপনারা আরও সতর্ক থাকবেন ন্যায়বিচারপ্রত্যাশীদের যাতে দিনের পর দিন আদালত থেকে ফিরে যেতে না হয়।’
সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের সংবিধান কার্যকর হয় এবং এর আলোকে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উদ্বোধন করেন।
সুপ্রিম কোর্টকে জাতির গৌরবের প্রতীক এবং সব পেশার মানুষের আস্থার প্রতীক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, যেখানে তারা ন্যায়বিচার ও অধিকার রক্ষার জন্য আসে।
আইনজীবীরা বিচার ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া বিচার কার্যক্রম কোনোভাবেই অগ্রসর হতে পারে না।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিচারিক কাজে বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান প্রণয়নের সময় দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, যখনই প্রয়োজন আইনজীবীরা আদালতের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তাদের মতামত দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আদালতকে সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, সংবিধানের হেফাজতকারী এবং চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রের অন্য দুটি অঙ্গকে নিষিদ্ধ করতে পারে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘তবে এই দায়িত্ব অবশ্যই অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্রয়োগ করতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় তিনটি অঙ্গ-লেজিসলেটিভ, এক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়ালের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা অত্যন্ত অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে সামরিক শাসন জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করে গণতন্ত্রকে চিরতরে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্বৈরশাসকরা সফল হননি।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা তাদের পতনের আগে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী পাস করার জন্য সংসদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে তাদের সব অপকর্মকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তা অনুমোদন করেনি।’
সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেকোনো আইনকে খর্ব করতে সুপ্রিম কোর্ট সবসময়ই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে এবং বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে অভিভাবক হিসেবে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে ঐতিহাসিকভাবে আইনের শাসন নিশ্চিত করেছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক কমিটির সভাপতি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
১১ মাস আগে
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ: যুবাদের অভিনন্দন জানালেন রাষ্ট্রপতি
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
১১ মাস আগে
বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন রাষ্ট্রপতির
দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা।
এদিন বিকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের সবুজ লনে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।
বিকাল ৩টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের (সংসদ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্য এবং বিশিষ্ট নাগরিকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
শীর্ষস্থানীয় বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ উপলক্ষে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এসময় তারা আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ও অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় সালাম দেন।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে দেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইতেও সই করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দুর্নীতিবিরোধী সক্রিয় প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
১১ মাস আগে