দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
এনডিআই-আইআরআই স্বীকার করেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী দুই মার্কিন সংস্থা এনডিআই ও আইআরআইয়ের প্রতিবেদন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এনডিআই ও আইআরআই যে রিপোর্ট দিয়েছে সেখানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে, অন্যান্য সময়ে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব নির্বাচনের তুলনায় এবার কম সহিংসতা হয়েছে।’
রবিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে জোট না করলে বাংলাদেশের জেনোসাইড অনেক আগেই স্বীকৃতি পেত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে যে সমস্ত নির্বাচন এর আগে হয়েছে বা আমাদের উপমহাদেশে যে নির্বাচন হয়, সেই তুলনায় এ নির্বাচনের মান অনেক উন্নত ছিল। একটি সুন্দর ও ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, 'এনডিআই ও আইআরআই তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। আমরা সেটা দেখছি। কিন্তু দেশে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বিএনপিসহ তার মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা শুধু নির্বাচন বর্জন নয় নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে। সুতরাং তাদের রিপোর্টে এবং যারা এ নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশে তাদের এ বিষয়টাও বলতে হবে।'
আরও পড়ুন: দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যেই 'গণতন্ত্র মঞ্চ' পুলিশের ওপর চড়াও হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যে নির্বাচন প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে এবং শুধু প্রতিহত নয়, নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য সহিংসতা করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়গুলোও তো আসতে হবে।
সরকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণ করার বিষয় নয়। তারা প্রতিবেদন দিয়েছে, আমরা প্রতিবেদনটা দেখছি এবং আমরা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বা অন্য কেউ যে সমস্ত পর্যবেক্ষণ দিচ্ছে সেগুলো আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
কুমারখালীতে সংঘর্ষে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ!
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সহিংসতায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে দায়িত্বরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানালেও অস্বীকার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেরকালোয়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু: সহকর্মী
গুলিবিদ্ধ দুই ভাই ওই এলাকার মৃত কেঁদো শেখের ছেলে মো. জিয়ার হোসেন (৪৫) ও আলতাফ হোসেন (৫০)।
তারা বর্তমানে ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা দুজনই জেলে।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, ছররা গুলিবিদ্ধ দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা আশঙ্কামুক্ত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বের কালোয়া গ্রামের সাবেক মেম্বর আব্দুল খালেকের সঙ্গে মৃত কেঁদো শেখের ছেলেদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সামাজিক দ্বন্দ্ব চলে আসছে। পদ্মা নদীতে মাছ ধরা, যেকোনো নির্বাচনসহ বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে বেরকালোয়ারা মোড়ে দুপক্ষ আগ্নেয়াস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এ বিষয়ে আহতদের ছোট ভাই ইয়ারুল আলী অভিযোগ করে জানান, সাবেক মেম্বর খালেক ও তার দুই ছেলে রিপন এবং লিটনের সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। তারা নিয়মিত জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি করে। এসব নিয়ে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ওই গ্রুপের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছে। বিরোধের জেরে বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় প্রতিপক্ষ তাদের উপর হামলা চালায়। সকালেও তার দুই ভাইকে গুলি করে আহত করেছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে ২ সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৫, আহত ২৫
তার দাবি, নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। অতীতের ঘটনায় কয়েকটি মামলা চলমান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মেম্বরের ছেলে রিপন আলী মুঠোফোনে জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের উপর হামলা করেছিল। সেজন্য তারাও প্রতিপক্ষকে পাল্টাধাওয়া দিয়েছিলেন। সে সময় কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তবে গোলাগুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এলাকাবাসী জানায়, সকালে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন তারা। অতীতেও কয়েকবার সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গুলিবিদ্ধ
গোলাগুলির ঘটনা অস্বীকার করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতা ও সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৯ মাস আগে
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: ঢাকায় ২০ আসনের ৪টি হাতছাড়া আ.লীগের
ঢাকার সংসদীয় ২০টি আসনের দখল ধরে রাখতে পারেনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে থাবা বসিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আর একটিতে জোটকে ছাড় দিতে হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া ঢাকা ১৯টি আসনের তিনটিতে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরমধ্যে দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান লড়েছিলেন ঢাকা -১৯ আসনে।
২০ টি আসনের বেসরকারি ফলে ঢাকা-৪, ঢাকা-৫ এবং ঢাকা-১৯ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে নাস্তানুবুদ করে নিজ দলেরই মনোনয়ন বঞ্চিতরাই।
ঢাকা-৪ আসনে ৭৭টির কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফলাফলের ভিত্তিতে জয়ী হয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন, তিনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৭৭৫ ভোট। নৌকা প্রতীকের সানজিদা খানম পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৭৭ ভোট।
ঢাকা-৫ আসনের ১৮৭ কেন্দ্রের ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের মশিউর রহমান মোল্লা। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৩১ ভোট। আর নৌকার প্রার্থী হারুনর রশীদ (মুন্না) ৫০ হাজার ৩৩৪ ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামাতের নির্বাচন ম্লান করার অপচেষ্টা উচ্ছ্বাসে পরিণত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা-১৯ আসনের ২৯২ কেন্দ্রের ফলাফলে ট্রাক প্রতীকের সাইফুল ইসলাম ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নৌকা প্রতীকের ডা. মো. এনামুর রহমান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৩৬১ ভোট। ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ) পেয়েছেন ৭৬ হাজার ২০২ ভোট।
ঢাকার যেসব আসনে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ
ঢাকা-১: সালমা বনাম সালমান এফ রহমান
সংসদীয় এই আসনটির ১৮৪টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালমান এফ রহমান ১ লাখ ৫০ হাজার ৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০ ভোট।
ঢাকা-২: আসনে কামরুল বনাম হাবিবুর
আসনটির ১৯৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মো. কামরুল ইসলাম ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের ডা. হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৩৫ ভোট।
ঢাকা-৩: নসরুল হামিদ বনাম মনির সরকার
এ আসনটির ২২৬ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের নসরুল হামিদ ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। লাঙল প্রতীকের মো. মনির সরকার পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৮ ভোট।
ঢাকা-৬: সাঈদ খোকন বনাম রবিউল আলম
নৌকার প্রার্থী সাঈদ খোকন ৬১ হাজার ৭০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিনার প্রতীকের মো. রবিউল আলম মজুমদার পেয়েছেন ১ হাজার ১০৯ ভোট।
ঢাকা-৭: সোলাইমান সেলিম বনাম সাইফুদ্দিন
আসটির ১২৫ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোলাইমান সেলিম ৬৩ হাজার ৮১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন পেয়েছেন ৭ হাজার ৩০৮ ভোট।
আরও পড়ুন: নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও কম ভোটে জয় আ.লীগের
ঢাকা-৮: বাহাউদ্দিন নাছিম বনাম জুবের আলম
বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী মো. জুবের আলম খান পেয়েছেন ৮৮০ ভোট।
ঢাকা-৯: সাবের হোসেন চৌধুরী বনাম আবুল
১৬৯টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী ৯০৩৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙল প্রতীকের কাজী আবুল খায়ের পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৪ ভোট।
ঢাকা-১০: ফেরদৌস বনাম শাহজাহান
এ আসনে ১১৯টি কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ফেরদৌস আহমেদ ৬৫ হাজার ৮৯৮ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির হাজি মো. শাহজাহান পেয়েছেন ২ হাজার ২৫৭ ভোট।
ঢাকা ১১: ওয়াকিল বনাম শামীম
আসটির ১৬২ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৮৩ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে বিজয় নিশ্চিত করেছন। লাঙল প্রতীকের শামীম আহমেদ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৭৪৭ ভোট।
ঢাকা-১২: আসাদুজ্জামান বনাম খোরশেদ
১৪০ কেন্দ্রের সবগুলোর ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ৯৪ হাজার ৬৮৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী খোরশেদ আলম খুশু ২ হাজার ২১৯ ভোট পেয়েছেন।
ঢাকা-১৩: আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক বিজয়ী হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
ঢাকা-১৪: নিখিল বনাম লুৎফর
আসনটির ১৬৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাইনুল হোসেন খান ৫৩ হাজার ৫৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী কেটলি প্রতীকের মো. লুৎফর রহমান ১৭ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের সাবিনা আক্তার তুহিন পেয়েছেন ৯ হাজার ৩৯২ ভোট।
ঢাকা-১৫: কামাল আহমেদ মজুমদার বনাম শামসুল
আসনটির ১৩৩ কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার ৩৯ হাজার ৬৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির শামসুল হক লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪ ভোট।
ঢাকা-১৬: ইলিয়াস আলী মোল্লা বনাম
আওয়ামী লীগের ইলিয়াস আলী মোল্লা বিজয়ী হয়েছেন। ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ ৬৫ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দিন রবিন ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৪ ভোট। দুজনের ভোটের ব্যবধান প্রায় ৫৯ হাজার।
ঢাকা-১৭: আরাফাত বনাম আইনুল হক
নির্বাচনের ১২৪টি কেন্দ্রের ফল পাওয়া গেছে। ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। নৌকা প্রতীক নিয়ে মোহাম্মদ এ আরাফাত পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৫৯ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কুলা প্রতীক নিয়ে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী মো. আইনুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৩৮০ ভোট।
ঢাকা-১৮: খসরু বনাম শেরীফা কাদের
আসনটির ২১৭ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে। কেটলি প্রতীকের মো. খসরু চৌধুরী ৭৯ হাজার ৮৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের এস এম তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯০৯ ভোট। লাঙল প্রতীকের শেরীফা কাদের পেয়েছেন ৬ হাজার ৪২৯ ভোট।
ঢাকা-২০: বেনজির বনাম মোহাদ্দেছ
আসনটির ১৪৯ কেন্দ্রের সবগুলোর ফল পাওয়া গেছে।নৌকার প্রার্থী বেনজীর আহমদ ৮৩ হাজার ৭০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাদ্দেছ হোসেন কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৬১৩ ভোট।
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
৯ মাস আগে
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন ৩৪৭ প্রার্থী, প্রতিদ্বন্দ্বী ১৮৯৬ জন
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৪৭ জন প্রার্থী নিজেদের ইচ্ছায় মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। রবিবার বিকাল ৪টায় প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯৬ জন বৈধ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন , 'মোট ৩৪৭ জন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। এখন বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬ জন।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭টি রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাঁচজন প্রার্থীর প্রার্থিতা স্থগিত রয়েছে।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি ও শরিকদের সঙ্গে ৩২টি আসন ভাগাভাগি আওয়ামী লীগের
রিটার্নিং কর্মকর্তারা সোমবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করবেন। এরপর প্রার্থীরা ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট দুই হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১ হাজার ৯৮৫ জনের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের করা আপিল নিষ্পত্তি সম্পন্ন হওয়ায় প্রায় ২৭০ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
এছাড়াও, কমিশন পাঁচ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে। যাদের মনোনয়নপত্র আগে রিটার্নিং কর্মকর্তারা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর
১০ মাস আগে