সিসিটিভি
সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোটে কোনো অনিয়ম দেখা যায়নি: ইসি রাশিদা
আজকের উপনির্বাচনের পরিবেশ ‘ভালো’ ছিল বলে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশিদা সুলতানা বলেছেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় তারা কোনো অনিয়ম লক্ষ্য করেননি।
তিনি বলেন, আমি ঢাকার বনানী বিদ্যানিকেতন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখেছি। এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম শনাক্ত হয়নি।
আরও পড়ুন: স্কাউটদের আইসিটিসহ আধুনিক প্রশিক্ষণ দিতে নেতৃবৃন্দের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণের পর সোমবার (১৭ জুলাই) আগারগাঁও এলাকায় নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা ভোটার সংখ্যা কম দেখেছি। এটা হতেই পারে, কারণ এটি একটি অভিজাত এলাকা। তাই ভোটাররা সেরকম আগ্রহী নাও হতে পারে। আমরা কারণগুলো পরে চিহ্নিত করব।
একজন সাংবাদিককে কেন্দ্র ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে এমন দাবির জবাবে রাশিদা সুলতানা বলেন, ‘একজন সাংবাদিকের সঙ্গে ফোন থাকায় প্রিসাইডিং অফিসার তাকে বের করে দেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে আমি যখন যাই তখন অনেক সাংবাদিককে দেখেছি।’
একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী উপনির্বাচন বর্জন করার বিষয়ে ইসি রাশিদা বলেন, ‘তিনি এটা শেষ পর্যন্ত দেখতে পারতেন। তিনি সকালে নির্বাচন বর্জন করেছিলেন এবং শেষে কি হয়েছে তা দেখতে পারেননি।’
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ইসি আলমগীর
সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ও ২ পৌরসভার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে ইসি
১ বছর আগে
উপ-নির্বাচনে সিসিটিভি মনিটরিংয়ের জন্য বাজেট নেই: ইসি
বাজেটের অভাবে বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য পাঁচটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য কোনো বাজেট নেই। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ দিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন সম্ভব নয়। এডিপির টাকা প্রকল্পে ব্যয় করা যেতে পারে। সিসি ক্যামেরার জন্য রাজস্ব খাত থেকে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের আর্থিক সাক্ষরতা বাড়াতে কাজ করছে বিএসইসি: অধ্যাপক শিবলী
তিনি আরও বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা কোনো সমাধান নয়।'
কমিশনার আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ ডিভাইসের কোনো প্রয়োজন দেখছে না। অনেক নির্বাচনে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না, তারপরও কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হবে। এতে ভারসাম্য থাকবে। ফলে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন হবে না।’
কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচনের জন্য প্রচুর সময় থাকায় কমিশন বৈঠক করে প্রয়োজনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বিএনপি এমপিদের পদত্যাগের পর শূন্য হয়ে যাওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন করবে ইসি।
ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন এবং ১৫ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সাতজন সংসদে সদস্যের (এমপি) মধ্যে পাঁচজন সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের মো. জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনের গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মো. আমিনুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে রুমিন ফারহানা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশিদ, যিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া স্পিকারের কাছে সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেননি।
একই দিনে ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান সাত সংসদ সদস্য।
সংসদ সচিবালয় তাদের পদত্যাগের পর সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া গণতান্ত্রিক চর্চা গড়ে উঠবে না: সিইসি
বিএনপির সংসদ সদস্যদের শূন্য আসন: ১৫ ডিসেম্বর উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারে ইসি
১ বছর আগে
নিহত বুলবুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দিচ্ছে শাবিপ্রবি প্রশাসন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে ছুরিকাঘাতে নিহত শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে এই টাকা বুলবুলের পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দেয়া হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসের বেশিরভাগ জায়গায়ই ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশিন ক্যামেরা (সিসিটিভি) আছে। যেসব জায়গায় এখনও ক্যামেরা নেই দ্রুত সেসব জায়গায় ক্যামেরা বসানো হবে।
এ সময় তিনি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় সন্তুোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুলিশ খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতোমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অতি দ্রুতই এই হত্যা রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।’
এই হত্যার ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।
পড়ুন: শাবি শিক্ষার্থী বুলবুল হত্যায় ৩ জনের সম্পৃক্ততা মিলেছে: পুলিশ
শাবিপ্রবিতে নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
২ বছর আগে
বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে ১০ ডিভিআর মেশিন উদ্ধার
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো থেকে ১১৮ সিসিটিভির তথ্য সংরক্ষণ করা ১০টি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিন উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
শনিবার (১১ জুন) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ডিভিআর মেশিনগুলো উদ্ধার করে।সিআইডি চট্টগ্রামের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ১১৮ টির মতো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল। সেগুলোর তথ্য ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিনে জমা হতো। এ রকম ১০টি ডিভিআর মেশিন উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীতিনি বলেন, আগুনের কারণে আইটি কক্ষটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে ডিভিআর মেশিনগুলোও পুড়ে গেছে। এর পরও পোড়া মেশিনগুলো জব্দ করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশকে দেয়া হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞ দিয়ে এখানে থাকা তথ্যগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করা হবে।
এদিকে, কন্টেইনার ডিপোর ভেতরে চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। ডিপো কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব লোকবল ও যন্ত্রপাতি দিয়ে এগুলো সরাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।গত ৫ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমকলকর্মীসহ ৪৬ জন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে ১০ হাজার গ্যাস সিলিন্ডার জব্দ
২ বছর আগে
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত তদন্ত দাবি
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার হাবীবুর রহমানের অকাল মৃত্যুর ঘটনাটি অবিলম্বে ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ মাধ্যমে প্রকৃত কারণ তুলে ধরার দাবি জানিয়েছেন তার সাংবাদিক সহকর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা ও পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ আয়োজিত এক শোকসভায় বক্তারা বলেন, হাবীবের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তিনি আসলেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটা হত্যাকাণ্ড। তিনি কিভাবে মারা গেছেন তা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে খুঁজে বের করতে হবে।
তারা বলেন, ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায় নি। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তদন্তকারী সংস্থা কোনা সাংবাদিক সংগঠন বা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যেখানে হাবীবুর রহমানকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে, সেখানের সিসিটিভি ক্যামেরা কেন নষ্ট ছিল? আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকেই খুঁজে বের করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবীবুর নিহত
গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাত দুইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিলে ‘মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়’ নিহত হন হাবীবুর রহমান। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার পর পারিপার্শিক অবস্থা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটি গত ২৩ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে ‘তদন্তের’ মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ প্রকাশ করার দাবি জানান।
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় ডিআরইউ নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও এ দাবি জানান।
উল্লেখ্য, হাবীবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ বিট কাভার করতেন।
শোকসভায় মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, হাবীবুর রহমান প্রতিভাবান সাংবাদিক ছিলেন। তার মতো সদালাপি ছেলে অকালে মারা যাবে তা মেনে নেয়া যায় না। তাকে নিয়ে শোকসভা করতে হবে কখনও ভাবিনি। ১২-১৩ বছর ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাংবাদিক ও হাবীবের পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা হতাশ হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় সাংবাদিক বান্ধব। তিনি সময় পেলেই সাংবাদিকদের সঙ্গে বসেন। প্রধানমন্ত্রী থাকতে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। যতদ্রুত সম্ভব আমরা হাবীবের স্ত্রী ও ভাইয়ের চাকরির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। একই সঙ্গে হাবীবের পরিবার যাতে দ্রুত আর্থিক সহায়তা পায় সেই ব্যাপারেও তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন।
সাংবাদিক হাবীবুর রহমানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাবীবুর রহমানের মৃত্যু নিয়ে তদন্তটা দ্রুত হওয়া উচিত। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবো। তারা যেন ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত করে বিষয়টি বের করেন।
এর আগে সভাপতির বক্তব্যে ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র পক্ষ থেকে সাধ্যমতো তার পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি আশা করবো ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফউজে এবং প্রেস ক্লাব হাবীবুর রহমানের পরিবারের জন্য একটি তহবিল তৈরি করার ব্যবস্থা নিবেন। একই সঙ্গে সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে হাবীবের স্ত্রী ও তার ছোট ভাইয়ের একটি চাকরির দাবি জানান তিনি।
শোকসভায় হাবীবুর রহমানের বাবা বলেন, ‘আমার বলার ভাষা নেই। আপনাদের সঙ্গে চলার পথে আমার ছেলে কোন বেয়াদবি করে থাকলে মাফ করবেন। বাবা হয়ে ছেলের লাশ কাঁধে নেয়া যে কি বেদনা এটা বলে বুঝানো যাবে না। আমি মনে করি না সে এ্যাক্সিডেন্ট করেছে, তাকে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে। আমার ছেলের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ’
হাবীবুর রহমানের স্ত্রী হাসি আক্তার রিমি বলেন, ‘হাবীবের মৃত্যু নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে এটা নিয়ে আমার একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। আপনারা আমার পাশে থাকবেন। হাবীব যে নেই এটা এখনও বিশ্বাস করতে পারিনা, হাবীবকে কেউ ভুলে যাবেন না।’
এছাড়াও শোকসভায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ (বাদল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ ও যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ বিট পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক উত্তম চক্রবর্তী ও অমরেশ রায় এবং সময়ের আলো পরিবারের পক্ষ থেকে সিটি এডিটর সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম।
সভায় ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, শাহেদ চৌধুরী ও মুরসালিন নোমানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও সৈয়দ শুকুর আলী শুভও বক্তব্য দেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
২ বছর আগে
নারীদের সুরক্ষায় কর্মস্থল-পাবলিক প্লেস সিসিটিভির আওতায় আনার অভিমত স্পিকারের
নারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মস্থলসহ পাবলিক প্লেসকেও সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার অভিমত দিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষণ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এসবের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে সাংসদদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: জীবনমানের উন্নয়নে সংসদীয় কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে: স্পিকার
তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষণ প্রতিরোধে পুরুষদের সংবেদনশীল ও সচেতন হতে হবে এবং পরিবারের ছেলে সন্তানদের বাল্যকাল থেকেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির শিক্ষা দিতে হবে। ধর্ষণ পরবর্তী করণীয় ঠিক করার পাশাপাশি ধর্ষণ প্রতিরোধে ইতোমধ্যে গৃহীত সকল পদক্ষেপের বাস্তবায়ন ও তদারকি করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সমাজে বড় সমস্যা: স্পিকার
২ বছর আগে
টেক্সাসে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ কিশোর নিহত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের একটি গ্যাস স্টেশনে বন্দুকধারীর গুলিতে তিন কিশোর নিহত এবং আরও একজন আহত হয়েছে। সোমবার দেশটির পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে।
গারল্যান্ডের ডালাস শহরের পুলিশ প্রধান জেফ ব্রায়ান বলেছেন, সোমবার বিকালে সন্দেহভাজন ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বন্দুকধারী একটি পিকআপ ট্রাকের থেকে বেরিয়ে দরজা থেকে গ্যাস স্টেশনের দোকানে গুলি চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী একটি ৪০ ক্যালিবার পিস্তল থেকে ২০ রাউন্ডের বেশি গুলি ছুঁড়ে।
আরও পড়ুন: কেনটাকিতে টর্নেডোর আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৭
হামলাকারীকে পালিযে যেতে সাহায্য করা ব্যক্তিকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতদের বয়স ১৪, ১৬ এবং ১৭ বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আহত ১৫ বছর বয়সী কিশোর দোকানের কর্মচারী যে গত সপ্তাহে কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার দুই রাজ্যে রেকর্ড করোনা শনাক্ত
২ বছর আগে
কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কুমিল্লার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্ণিত করা হয়েছে এবং উস্কানিদাতা হিসেবে কয়েকজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব প্রধানসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার একটি পূজা মন্ডপে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। গতকাল সকালে সেটি আমাদের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এটি কিভাবে হয়েছে সেটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। ইতোমধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে সারাদেশে এটা চলে যায়। সে প্রেক্ষিতে আমরা দেখেছি হৃদয় বিদারক কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে দেখলাম চারজন নিষ্পাপ মানুষ নিহত হলো। সিলেটের জকিগঞ্জ থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ঘটনা একের পর এক ঘটছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী এবং যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারারাত কাজ করেছেন। এখানেও আমরা বসেছিলাম যে করণীয় কি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে: তথ্যমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের মনে হয়েছে এটা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে কোনো স্বার্থান্বেশী মহলের কাজ।
এ সময় তিনি জানান, কুমিল্লায় সন্দেহ ভাজন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ আলাপের মাধ্যমে মনে করছি, অবশ্যই এটি তদন্ত সাপেক্ষ, আমরা শতভাগ নিশ্চিত নই। আমরা মনে করছি, এটা কোনো উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো স্বার্থান্বেশী মহল, কোনো চক্রান্তকারী-ষড়যন্ত্রকারীর কর্ম এটা। এটা আমরা তদন্ত শেষে সব জানাতে পারবো। এ জায়গায় আমরা অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছি। যারা এটা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, যারা ধর্মকর্ম করে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না। সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধন যেটা আমাদের দেশে আছে সেটা নষ্ট করার একটি প্রক্রিয়া বলেই আমরা মনে করছি। এ ধরনের ইস্যুকে কেন্দ্র করে যারা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন বা চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
যে সব জায়গায় এ ঘটনা ঘটছে যদি কেউ এতে উস্কানি দেন বা জড়িত থেকে ষড়যন্ত্র করেন তাকেও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত সভায় আমরা বলেছিলাম, পূজামন্ডপে সিসিটিভি বসাতে হবে এবং নিরাপত্তা বাহিনী সঙ্গে ভলান্টিয়ার থাকবে। অনেক মন্ডপেই তা করা হয় নি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কুরআন অবমাননা: ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন
সব মন্ডপ যেন সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসেন এবং তাদের নিজস্ব ভলান্টিয়ার তারা যেনো নিয়োগ করেন। প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সে আহ্বান করছি। সবাই যেন ধৈর্য সহকারে শান্তি বজায় রাখে। কোনো উস্কানিতে কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হয়।’
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয় সেগুলো যাতে কেউ না ছড়ায়। আমরা কোনো পূজামন্ডপ বন্ধের নির্দেশনা দেই নি। যারা গুজব ছড়িয়ে অপচেষ্টা করছেন তাদেরও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
মন্ত্রী বলেন, কুমিল্লায় কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সারাদেশেও অনেকেই যারা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল তাদের কয়েকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ভাংচুর হয়েছে, কয়েক জায়গায় হিন্দু বাড়িতে আক্রমণের প্রচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে।
এ সময় বিসর্জনের আগ পর্যন্ত সকল ধর্মের মানুষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ করছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরআন অবমাননা: চট্টগ্রামে ৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
৩ বছর আগে
পঞ্চগড়ে অভিনব কায়দায় ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
ঋণের টাকা উত্তোলন করে পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকের বাইরে বের হয়েই অভিনব ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন শিক্ষক ইয়াহিয়া খান। সোমবার বেলা ১১ টার দিকে পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকের সামনে এই অভিনব চুরির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ইয়াহিয়া খানের বাড়ি পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার পুরাতন পঞ্চগড় ধাক্কামারা এলাকায়। তিনি সদর উপজেলার আমলাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক তিনি থানা পুলিশ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। ঘটনার পর পরই আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: কথিত ছিনতাইকারী দম্পতি আটক
শিক্ষক ইয়াহিয়া খান সাংবাদিকদের জানান, পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকে ভোগ্যপণ্য ক্রয় ঋনের টাকা উত্তোলন করতে সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখায় যান। এরপর ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে চেক ইস্যু করে তিন লাখ টাকা উত্তোলন একটি ব্যাগে নেন। পরে ব্যাংক থেকে বের হয়ে তার মোটরসাইকেলে হ্যান্ডেলে টাকার ব্যাগ রাখার সাথে সাথেই একজন বয়স্ক লোক তাকে বলে যে আপনার গাড়ির নিচে টাকা পড়ে গেছে তুলে নেন। তিনি বলেন আমার কোন টাকা পড়েনি এসময় আরও এক অচেনা বৃদ্ধ লোক এসে বলে আমি বৃদ্ধ মানুষ আমার টাকাগুলো আপনার গাড়ির নিচে পড়েছে দয়া করে তুলে দেন। গাড়ি থেকে নেমে আমি ওই টাকাগুলো কুড়াতে যাই। টাকা তুলে দিয়ে গাড়িতে আসতেই দেখি আমার গাড়ির হ্যান্ডেলে থাকা তিন লাখ টাকার ব্যাগ ছিনতাই হয়ে যায়।এরপর তাৎক্ষনিক ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করেছি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ছিনতাইকারীর গুলিতে বিয়ানীবাজারের যুবক নিহত
ওই শিক্ষকের পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে তার একটি ঋন ছিল। সেই ঋন পরিশোধের জন্য তাকে সোনালী ব্যাংক থেকে ভোগ্যপণ্য ঋন আবেদনের পর আট লাখ টাকা ঋন পাস হলে আজ সেই ঋনের তিন লাখ টাকা উত্তোলন করতে যায়। কিন্তু কৃষি ঋনের সেই টাকা আর পরিশোধ করা হলোনা।
পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান আজকের অভিনব চুরির ঘটনাটি দুঃখজনক। টাকা উত্তোলোনের পর ব্যাংকের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। এরকম অভিনব কায়দায় টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। ব্যাংকের নিরাপত্তা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আটজন পুলিশ ও কয়েক জন আনসার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন তবে দুজন পুলিশ সদস্য ২৪ ঘণ্টাই ব্যাংকের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। অন্যরা পুলিশ ব্যারাকে অবস্থান করেন।তবে পুলিশ সদস্য শামিম হোসেন ঘটনার সময় ব্যাংকের প্রধান দরজায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল তার চোখ ফাঁকি দিয়ে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের অভিযানে ১০ ‘ছিনতাইকারী’ আটক
পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বেনজির আহমেদ জানান, সোনালী ব্যাংকের সামনে টাকা চুরির খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যাংক থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সাথে ফুটেজ আমরা পঞ্চগড়ের পাঁচটি থানাসহ আশে পাশের জেলাগুলোতে পাঠিয়েছি। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চুরির সাথে জড়িতদের ধরতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।
৩ বছর আগে
প্রতিটি খাদ্য গুদাম সিসিটিভির আওতায় আসবে: মন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার রবিবার জানিয়েছেন, প্রতিটি খাদ্য গুদাম সিসিটিভির আওতায় আনা হবে।
৪ বছর আগে