ফজলুর রহমান
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন ফজলুর রহমান
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফজলুর রহমান।
ট্রাইব্যুনালের তলবে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হাজির হয়ে নিজের মন্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে তাকে সতর্ক করে দিয়ে আদালত অবমাননা প্রশ্নে জারি করা ‘কারণ দর্শাও নোটিশটি’ নিষ্পত্তি করে দেন ট্রাইব্যুনাল।
বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন।
আদালতে ফজলুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এ সময় ট্রাইব্যুনালে ফজলুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন গাজী এমএইচ তামীম। এ সময় ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামসহ অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে ফজলুর রহমানকে অ্যাকাডেমিক সনদ ও বার কাউন্সিলের সনদসহ সশরীরে উপস্থিত হয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল। সেই অনুযায়ী এদিন ফজলুর ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান।
তার আগে, গত ২৬ নভেম্বর ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। যেখানে গত ২৩ নভেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ‘মুক্তবাক: রাজনীতির তর্ক-বিতর্ক’ টকশোতে ফজলুর রহমানের দেওয়া বক্তব্যকে আদালত অবমাননাকর উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
গত ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সশরীরে ফজলুর রহমানকে হাজিরের নির্দেশ দিয়ে ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।
১২ দিন আগে
বিএনপির ফজলুর রহমানের দলীয় সব পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের দলীয় সব পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিএনপির একজন সহদপ্তর সম্পাদক ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফজলুর রহমানকে দেওয়া পদ স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট আপনার (ফজলুর রহমান) নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। আপনি নোটিশের লিখিত জবাব না দিয়ে সময় বর্ধিত করার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সময় আরও ২৪ ঘণ্টা বর্ধিত করা হয়। আপনি আজ নোটিশের যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয়।
‘তথাপিও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান বিবেচনা করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আপনার দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ তিন মাসের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হয়েছে।’
পড়ুন: মবস্টাররা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে: ফজলুর রহমান
চিঠিতে তাকে সতর্ক করে আরও বলা হয়, এখন থেকে আপনি টকশো বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলার সময় দেশের মর্যাদা ও দলের নীতিমালা যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় এবং দেশের জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে—সে বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকবেন।
এর আগে দলের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেন ফজলুর রহমান। তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা জানান, তিনি (ফজলুর রহমান) এই সংক্রান্ত চিঠির জবাবে লিখিতভাবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। বিশেষ বার্তাবাহক সেটা জমা দিয়ে এসেছেন। এখন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না।
নিজস্ব প্যাডে চার পৃষ্ঠার এই জবাবে দলের তরফ থেকে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, ফজলুর রহমান তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন বলে জানান তার সহধর্মিণী। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবর জবাবটি লেখা হয়েছে।
লিখিত জবাবে ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘আমার প্রিয় দল বিএনপির ক্ষতি হয়—এমন কোনো কথা বা কাজ আমি করিনি এবং করবও না। জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের বিচার-বিবেচনার প্রতি আমার সর্বোচ্চ আস্থা আছে। আমি আশা করি, সুবিচার পাব এবং দলের বৃহত্তর স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকব।’
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অনবরত ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ আগস্ট ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। ফজলুর রহমানের ঢাকার ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠানো হয় বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে।
রুহুল কবির রিজভীর সই করা এই নোটিশে বলা হয় যে, আপনি জুলাই-আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং আত্মদানকারী শহীদদের নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন—তা সম্পূর্ণরূপে দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।
‘এই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ে আপনার বক্তব্য জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আপনার বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের প্রয়াস বলে অনেকেই মনে করে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘এমনকি আপনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়ে কথা বলছেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীসহ ছাত্র-জনতার প্রায় দেড় হাজারের অধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ত্রিশ হাজারেরও অধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার এ ধরনের বীরোচিত ভূমিকাকে আপনি প্রতিনিয়ত অপমান ও অমর্যাদা করছেন।’
‘এই ধরনের উদ্ভট ও শৃঙ্খলাভঙ্গকারী বক্তব্যের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার যথাযথ কারণ দেখিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
১১৬ দিন আগে
ফজলুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে না সরকার: শফিকুল আলম
বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এএলএম ফজলুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে কোনোভাবেই একমত পোষণ করে না অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতাকে সম্মান করে।
এরআগে এক ফেসবুক পোস্টে ফজলুর রহমান বলেন, ‘ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেয়া। এব্যাপারে চীনের সাথে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ৭২৫ সেনা নেবে কাতার: শফিকুল আলম
তার দেওয়া এই ভাষ্য বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমর্তন করে না বলেও জানিয়েছেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সকল স্বার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতাকে সম্মান করে এবং অন্যদের কাছ থেকেও একই প্রত্যাশা করে।’
তিনি বলেন, বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এল এম ফজলুর রহমান গতকাল তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে যে মন্তব্য করেছেন তা তার ব্যক্তিগত অভিমত।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনোভাবেই তার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে না।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘মেজর জেনারেল ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত মতামতকে সরকারের মতামত হিসেবে বিবেচনা না করার জন্য আমরা সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
২৩৪ দিন আগে
বিডিআর বিদ্রোহের সুষ্ঠু তদন্ত করবে কমিশন: ফজলুর রহমান
জাতীয় স্বাধীন পূর্ণাঙ্গ কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আ ল ম ফজলুর রহমান বলেছেন '২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারিতে সংঘটিত বিডিআর বিদ্রোহের সুষ্ঠু তদন্ত করবে কমিশন।
তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত করতে বর্তমান সরকার জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠন করেছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করতে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।'
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিজিবি সদর দপ্তরের ঢাকা ব্যাটালিয়ন (৫ বিজিবি) এর সম্মেলন কক্ষে কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন 'আমরা এই দায়িত্বকে অতি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। আমরা আমাদের বুদ্ধির ওপর নির্ভর করে নিরপেক্ষভাবে যে তিন মাস সময় আমাদেরকে দেওেয়া হয়েছে তার ভেতরেই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমরা কোনো রকম পক্ষ নেবো না। কোনো কিছুতে আমরা প্রভাবিত হবো না।’
তিনি বলেন 'যেহেতু এটা একটা জাতীয় সমস্যা, হাজার বছরেও এরকম ঘটনা ঘটেনি। সামান্য সময়ে এত মানুষ নিহত হয়েছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানাতে চাই- যারা এই বিডিআর বিদ্রোহে নিহত হয়েছেন, নিগৃহীত হয়েছেন,বঞ্চিত হয়েছেন, সব কিছুকে আমরা নজরে নেবো। সহমর্মিতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে আমরা তাদের ক্ষতকে নিরাময় করার চেষ্টা করব।’
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, কিছু চিঠিপত্র আমাদেরকে লিখতে হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে আমরা জানিয়েছি যে আমাদের এখানে সাচিবিক সুবিধা দিতে হবে। অফিস দিতে হবে। 'আমাদের নিরাপত্তা, ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক ট্রান্সপোর্ট সুবিধা দিতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন 'আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো দেশকে দায়ী করতে চাই না। ৫ আগস্টের পর দেশ থেকে অনেকেই চলে গেছেন। প্রয়োজনে আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেসব দেশে টিম পাঠাব।'
৩৬০ দিন আগে
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে রবিবার রাতে অসুস্থবোধ করলে দ্রুত তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর ৪টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন।
আসরের নামাজের পর গেন্ডারিয়া ধুপখোলা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সরিষার তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়ার মধ্যে দিয়ে সিটি গ্রুপের কার্যক্রম শুরু হয় ফজলুর রহমানের হাত ধরে। প্রথম উদ্যোগ সফল হওয়ার পর সিটি গ্রুপ নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু করে। এ সময় মূলত উৎপাদন, শিল্পোদ্যোগ ও ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
মিল্লা সিটি মেয়রের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
নাদিহা আলীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও শেখ রেহানার শোক
৭২৬ দিন আগে
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে বাণিজ্যমন্ত্রীর শোক
সিটি গ্রুপ ও সময় টিভির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) শোকবার্তায় বাণিজ্যমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
টিপু মুনশি আরও বলেন, ফজলুর রহমান একজন সফল উদ্যোক্তা ছিলেন। বাংলাদেশের শিল্প-বাণিজ্য ও অর্থনীতির বিকাশ এবং একজন সফল শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে তার অবদান সবাই মনে রাখবে। একটি শিল্প সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সিটি গ্রুপ চেয়ারম্যান সারা জীবন নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের বিশুদ্ধতা ও গুণগত সেরা মান ধরে রাখার বিষয়ে তিনি ছিলেন আপোষহীন। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্য সুনামের সঙ্গে টিকে থাকবে এটাই ছিলো তার প্রত্যাশা। শুধু ব্যবসা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়েও সচেতন ছিলেন শিল্পপতি ফজলুর রহমান। তিনি হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অসংখ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার কর্মনিষ্ঠা, একাগ্রতা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, আজ ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
৭২৭ দিন আগে
সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন
সিটি গ্রুপ ও সময় টিভির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বাদ আসর গেন্ডারিয়া ধুপখোলা মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি অফিস করেছেন। পরে রাতে অসুস্থবোধ করলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের স্ত্রী মারা গেছেন
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সরিষার তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়ার মধ্যে দিয়ে সিটি গ্রুপের কার্যক্রম শুরু হয় ফজলুর রহমানের হাত ধরে। প্রথম উদ্যোগ সফল হওয়ার পর সিটি গ্রুপ নতুন নতুন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ শুরু করে। এ সময় মূলত উৎপাদন, শিল্পোদ্যোগ ও ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন
আ. লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ডা. এখলাস মারা গেছেন
৭২৭ দিন আগে