নির্বাচনী জনসভা
বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শেষ জনসভায় ভাষণ দিতে বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় ফতুল্লার মাসদাইরে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
জনসভার মঞ্চ তৈরিসহ সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে জেলা ও নগর আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের নাশকতা ঠেকাতে ৭ জানুয়ারি ভোট দিন: শেখ হাসিনা
ব্যানার, তোরণ ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের লিঙ্ক রোডসহ জনসভাস্থলের আশপাশের এলাকা। জনসভা উপলক্ষে সাজানো হচ্ছে শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স। জনসভার জন্য একদিকে মঞ্চ সাজানো হয়েছে। মঞ্চকে ঘিরে নিরাপ্ত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হচ্ছে। জনসভার জন্য নারী ও পুরুষের আলাদা বসার জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া জনসভার মাঠের বাইরেও নগরীর বিভিন্ন অঞ্চলে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মাইক (লাউড স্পিকার) লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করে জনসভার পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়েছে পুরো শহর।
জনসভাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবু রযেছেন সেখানে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
এ সময় শামীম ওসমান গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য নতুন বার্তা দেবেন এটাই সবার প্রত্যাশা। কারণ নারায়ণগঞ্জ হলো আওয়ামী লীগের জন্মস্থান। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নারায়ণগঞ্জের প্রত্যাশাও অনেক।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এ দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা ভালো কাজ করছে। তারা যেভাবে বলছে আমরা সেভাবে কাজ করছি। কিন্তু আমরা নিজেরাও নেত্রীর কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছি। আমি আশাবাদী এই সমাবেশটা নারায়ণগঞ্জের সর্বকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।
নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন নারায়ণগঞ্জের যেমন গুরুত্ব রয়েছে, তেমনি এই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের নেতা-কর্মীদেরও গুরুত্ব রয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে লাখ লাখ মানুষের জনসমাগম হবে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আগাম বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য চলছে মাইকিং। জনসভায় অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গিয়ে মাইকিং করছে নেতা-কর্মীরা। এদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
১০ মাস আগে
নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
৫ বছরে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরিশাল সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরিশাল।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বরিশালে সফর করছেন।
সকালে দলীয় প্রধান বরিশালে পৌঁছালে হাজার হাজার দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে স্লোগান দেন।
শেখ হাসিনা সেখানে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য নগর ব্যানার, পোস্টার ও পতাকায় সাজানো হয়েছে।
বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্যান ভরে যায়।
শেখ হাসিনা নৌকার আকৃতিতে সাজানো মঞ্চে ওঠার অনেক আগেই আশপাশের এলাকা, রাস্তা ঘাট ও ফাঁকা জায়গায় ভিড় ছড়িয়ে পড়ে।
সকাল থেকেই 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দিয়ে এবং রঙিন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে মিছিল করতে দেখা যায় নারীসহ অসংখ্য মানুষকে। তাদের অনেকে রঙিন টি-শার্ট, মাথায় টুপি, ড্রামসহ হেড ব্যান্ড, নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা পরেছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীরা রেহাই পাবে না: প্রধানমন্ত্রী
বড় ও ছোট দলে নারীদের হাসিমুখে অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশদ্বারের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বরিশাল থেকে প্রধানমন্ত্রী তার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন।
শনিবার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে এবং ঢাকায় ফেরার পথে মাদারীপুরের কালকিনিতে আরেকটি জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে
নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে রংপুরে প্রধানমন্ত্রী
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুরে পৌঁছেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
দিনব্যাপী সফরকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি দুপুরে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা এবং মিঠাপুকুর ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেবেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেহপুরে অবস্থিত তার বাসভবনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন।
তিনি স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন এবং তার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করবেন।
পীরগঞ্জ ও এর আশেপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং মানুষ তাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টার দিকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যান এবং এরপর সড়কপথে তারাগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন।
২০ ডিসেম্বর সিলেট-১ আসন থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরান (রা.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
এছাড়া, ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার মাঠ, ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, নেত্রকোণার জেলা স্টেডিয়াম ও রাঙ্গামাটি জেলার শেখ রাসেল স্টেডিয়াম এবং বরগুনা জেলার বামনা ও পাথরঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি।
২১ ডিসেম্বর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি জেলায় নির্বাচনী জনসভা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে স্বতন্ত্ররা আছেন: প্রধানমন্ত্রী
১০ মাস আগে