হাড় কাঁপানো
কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কমলেও অনুভূত হাড় কাঁপানো শীত
পৌষের শেষ ১০ দিন চলছে। ঘন কুয়াশার দাপট কিছুটা কম থাকলেও হাড় কাঁপানো শীতে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন পড়েছেন বিপাকে।
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমজীবি ও নিম্ন আয়ের মানুষজন প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না।
গত কয়েকদিন ধরেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হচ্ছে। এ অবস্থায় খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেককে উষ্ণতা নিতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রিতে নামায় দুর্ভোগে খেটে খাওয়া মানুষ
উলিপুর উপজেলা বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের রহিম মিয়া বলেন, ‘যতই শীত ও কুয়াশা হোক না কেন খড়ি নিয়ে প্রতিদিন হেঁটে শহরে আসতে হয় আমার। কারণ বিক্রি করতে না পারলে আমার সমস্যা। বর্তমানে ঠাণ্ডার কারণে যাওয়া আসাটা একটু কষ্ট হইছে।’
জেলার ধরলা ব্রিজ এলাকার অটোরিকশা চালক সুজন বলেন, ‘আজ কুয়াশা কম, সূর্যের দেখাও মিলছে। রোদ উঠলেও ঠাণ্ডা খুব বেশি মনে হচ্ছে আজ। হাত-পা বরফ হওয়ার মতো অবস্থা।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: শীত ও কুয়াশায় কাঁপছে কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কমে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
১০ মাস আগে