মন্ত্রিপরিষদ সচিব
নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশিদ
ড. শেখ আব্দুর রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে আগামী দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন সই করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৪ অক্টোবর বা যোগদানের দিন থেকে তার দুই বছরের চাকরির মেয়াদ গণনা করা হবে।
সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী ড. রশিদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২ মাস আগে
মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মেয়াদ শিগগিরই শেষ হচ্ছে, আলোচনায় ৪ প্রার্থী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মেয়াদ এ বছরই শেষ হতে যাচ্ছে। এরপর কারা এ পদে আসছেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে অক্টোবরে এবং মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে জুলাইয়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, এসব শীর্ষ পদ পূরণের জন্য নতুন মুখ বেছে নেওয়া হতে পারে।
মুখ্য সচিব পদের জন্য বর্তমানে চারজন সচিব বিবেচনায় রয়েছেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
তবে এসব পদে সচিব নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বর্তমানে শীর্ষ এ দুটি পদে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ১৯৮৬ (৮ম) ও ১৯৮৭ (৯ম) ব্যাচের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের চুক্তি নবায়ন করা না হলে নবম ও দশম বিসিএস ব্যাচ থেকে নতুন নিয়োগ আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার চুক্তির মেয়াদ জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এবং মাহবুব হোসেনের সঙ্গে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে চুক্তি শেষ হবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদগুলোতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকে নিরুৎসাহিত করেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সচিব পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে আর প্রয়োজন দেখছি না। তবে প্রশাসনের কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কারিগরি পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার।
জানা যায়, প্রশাসনের শীর্ষ দুটি পদে সাধারণত জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা হয়। এবারও তেমনটি হলে ৩-৪ জনের মধ্যে থেকেই দুজন উঠে আসতে পারেন। নবম ব্যাচের দুজন সচিব নিয়মিত চাকরিতে আছেন।
তারা হলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
তবে মুনিরুছ সালেহীনের আগামী ২৮ আগস্ট অবসরে যাওয়ার কথা। মেজবাহ উদ্দিনের চাকরির মেয়াদ আছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশাসনের অনেকে বলছেন, সব ঠিক থাকলে মেজবাহ উদ্দিনেরই মন্ত্রিপরিষদ সচিব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মুখ্য সচিব পদের জন্য আলোচনায় আছেন দশম ব্যাচের মোস্তফা কামাল ও জাকিয়া সুলতানা। দুজন ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর একই প্রজ্ঞাপনে সচিব হন। তাদের মধ্যে মোস্তফা কামাল আগামী বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ও জাকিয়া সুলতানা ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। তবে এই পদে মোস্তফা কামালের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে।
তিনি প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন’র বর্তমান সভাপতি। আর জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসরণ করা না হলে ১৩ ব্যাচের কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সালাহ উদ্দিন মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
তবে নতুন করে আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ চান না প্রশাসনের বেশিরভাগ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর ওপর: মন্ত্রী
সচিবালয়ে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশাসনের কেউই চান না, শীর্ষ পর্যায়সহ সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হোক। তাদের মতে, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জনপ্রশাসন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও টানা ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে সরকার পরিচালনা করছেন। প্রশাসনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় তার নখদর্পণে। তাই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আর প্রয়োজন নেই।
আবার অনেকে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও মুখ্য সচিব দুজনই চুক্তিতে কর্মরত। তারাও কিন্তু একসময় নতুন মুখ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সুতরাং, নতুনেরাও সুযোগ পেলে পুরোনোদের মতো সংশ্লিষ্ট পদে যোগ্যতার প্রমাণ দেবেন। তাই সিনিয়র সচিবদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা, যোগ্যতা ও মেধায় যারা এগিয়ে, তাদেরই এসব পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত বলে শীর্ষ স্থানীয় আমলারা মনে করেন।
সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান ইউএনবিকে বলেন, সচিব পদে চুক্তিতে একটি নিয়োগ হলে, চার স্তরে পদোন্নতি থেমে যায়। এতে অতিরিক্ত সচিব যেমন সচিব হতে পারেন না, তেমনি যুগ্ম সচিবও অতিরিক্ত সচিব হতে পারেন না। একইভাবে উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবেরাও বঞ্চিত হন। তাই শুধু প্রশাসন নয়, সব ক্যাডারেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়মিত কর্মকর্তাদেরই নিয়োগ দেওয়া উচিত।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রায় অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ আইনের খেলাপ না হলেও চুক্তির সংস্কৃতি থেকে সরে আসার সময় হয়েছে। চুক্তি হলে তার পরবর্তী ব্যাচের সদস্যরা সচিব থেকে বঞ্চিত হন।
আরও পড়ুন: আমলাদের সন্তানের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তা সরকারের নেই
৬ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন। সভা শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে নজরদারির ক্ষেত্রে একটা সুনির্দিষ্ট এরিয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনেক সময় দ্রব্যমূল্যের জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে চাঁদাবাজির প্রসঙ্গ আসে, সংবাদ ছাপা হয়। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে শক্তহাতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন
মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে বলেছেন। বিশেষ করে ছিনতাই, কিশোরগ্যাং বা এ রকম যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করে নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
আরও পড়ুন: আগামী রোজা পর্যন্ত দেশে কোনো খাদ্যসংকট হবে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
১০ মাস আগে
ঈদের ছুটি একদিন বাড়িয়ে মোট ৪ দিন
ঈদুল আজহার ছুটি ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চার দিন বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তিনদিনের ঈদের ছুটি ছিল।
কিন্তু এখন ২৭ জুনকে ঈদের ছুটিতে অন্তর্ভুক্ত করে চারদিনের ছুটি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ঈদের আগে ছুটি কাটাতে গ্রামে যাওয়া মানুষদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকারের একটি নির্বাহী আদেশে ২৭ জুনকেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
গত ঈদুল ফিতরের ছুটির মতোই ঈদুল আযহার আগের দিন ছুটির দিনে যাত্রীদের ভিড় কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে: বাংলাদেশে ২৯ জুন ঈদুল আজহা
ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
১ বছর আগে
রমজানে ডিসিদের কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ সরকারের
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেছেন, আসন্ন রমজানে সরকার জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বাজার মনিটরিং করতে এবং প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
তিনি বলেন, আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে ডিসিরা কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করবেন এবং বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে আইন প্রয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ১ কোটি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
সোমবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, সব সময়ের জন্য এটা বলা আছে যে রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে হচ্ছে, আমাদের এখান থেকে হচ্ছে; জেলা পর্যায় থেকেও হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বিষয় নিয়ে গতকাল দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে আড়াই ঘন্টার বেশি বৈঠক হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন, তাদের কার্যকর করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রমজান এখনও শুরু হয়নি। গতকাল বৈঠকে প্রস্তুতি মূলক নির্দেশনাই আমরা দিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে একটি মনিটরিং থাকবে। আর বাজারে যদি একেবারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, সেখানে যেন আমরা আইন প্রয়োগ করতে পারি সে বিষয়ে প্রত্যেক জেলা প্রশাকদের বলা আছে। তারা খুব কঠোরভাবে এটা মনিটরিং করবেন।
আরও পড়ুন: রমজান মাসে অফিসের সময়সূচি নির্ধারণ
রমজানকে সামনে রেখে টিসিবির ৫টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু
১ বছর আগে
সাংবাদিককে গালমন্দ করে ওএসডি হলেন টেকনাফের ইউএনও
কক্সবাজারের স্থানীয় এক সাংবাদিককে ফোনে গালমন্দ করার অভিযোগে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরুকে তার পদ থেকে প্রত্যাহার করে বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই তাকে ওএসডি করে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছি। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগীয় কমিশনারদের তাদের শিষ্টাচার ও আচরণ নিয়ে আলোচনা করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসতেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এদিকে রবিবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসন খসরুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত ইউএনও সাংবাদিক সাইদুলকে ফোন দেন। ফোন কলে তিনি গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বাড়ি তৈরি নিয়ে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন কেন লিখেছেন-এই প্রশ্ন তোলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনও’র গাড়িচাপায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কলটির একটি অডিও রেকর্ড সমালোচনার ঝড় তোলে। পরে শুক্রবার কক্সবাজারের ডিসি সাংবাদিক ও ইউএনওর সঙ্গে বৈঠক করেন বিষয়টি সমাধানের জন্য।
ইউএনও-র কর্মকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী নজরে আনায় রবিবার হাইকোর্ট বলেছেন, ‘‘রং হেডেড পারসন’ ছাড়া কেউ এভাবে বলতে পারে না।’
আদালত বলেন, যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। রং হেডেড পারসন ছাড়া কেউ এভাবে বলতে পারে না। যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা কোনো ভাষা হতে পারে না। দেখা যাচ্ছে, ইউএনও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এর অর্থ তাঁর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে স্বীকার করে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন বোয়ালমারীর ইউএনও-নাজির
২ বছর আগে
সাম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, একই সাথে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের এসব বিষয়ে জনসাধারণের সচেতনতা বাড়াতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গণভবন থেকে ভিডিও কন্ফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: জয়পুরহাটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার ১
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কুমিল্লার ঘটনা সম্পর্কে হয়তো দ্রুতই কিছু জানা যাবে।
তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মের অবমাননার বিষয়ে কোনো মুসলমানকে ধ্বংসাত্মক কাজ করার অধিকার দেয় না। এটা ইসলামে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
সচিব বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করতে পারি এবং সরকারের কাছে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার এবং তাদের শাস্তির দাবি করতে পারি।’
আরও পড়ুন: রংপুরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রংপুরে হিন্দুপল্লীতে আগুন: আটক ৪২
৩ বছর আগে
প্রতি ৫ বছরে পৌরসভা নির্বাচন আয়োজনে আইন অনুমোদন
প্রতি পাঁচ বছরে পৌরসভা নির্বাচন কঠোরভাবে অনুসরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধনী) আইন, ২০২১ এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, কখনও কখনও দেখা গেছে কিছু কিছু পৌরসভার চেয়ারম্যান তাদের মেয়াদ শেষে পরবর্তী নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতে যান।
তিনি বলেন, ‘এভাবে কিছু চেয়ারম্যান পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে এমনকি ১৫-১৬ বছর তাদের পদে বহাল থাকেন। বিদ্যমান আইনের একটি সুযোগ নিয়ে তারা এই সুবিধা গ্রহণ করেন। এভাবে পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তারা চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকেন।’
‘এই প্রথা বন্ধ করার জন্য সরকার ২০০৯ সালের আইনের সংশোধন করেছে,’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আরও পড়ুন: বিএনপি আগামী নির্বাচন বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রস্তাবিত আইনটি সম্পর্কে সচিব বলেন, ‘পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সরকার সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্য থেকে প্রশাসনিক কাজে অভিজ্ঞ বা অন্য কোন যোগ্য ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবে।
তিনি বলেন, নিযুক্ত প্রশাসক সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য এই পদে থাকতে পারবেন এবং এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হতে হবে।
বৈঠকে নতুন পৌরসভার তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য যোগ্যতা নির্ধারণ হিসেবে ওই এলাকার প্রতি কিলোমিটারে ন্যূনতম ২ হাজার জনগণ থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমান আইনে প্রতি কিলোমিটারে ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ জনগণ থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
পড়ুন: শিক্ষা কাঠামো আধুনিক হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় জিয়াকে আসামি করতে চেয়েছিলাম: শেখ হাসিনা
৩ বছর আগে
শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার দাবি গার্মেন্টস মালিকদের
শিল্প কারখানা খুলে দিতে সরকারের কাছে আবারও অনুরোধ জানিয়েছে গার্মেন্টস মালিকরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সাথে বৈঠক করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এই দাবি জানান।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা সব ব্যবসায়ী পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। এই লকডাউনে সব ধরনের শিল্পকে যেন কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়। এটাই আমরা উনার কাছে অনুরোধ করতে আসছি।
আরও পড়ুন: করোনাতেও কৃষি মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯৮ শতাংশ
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে আমরা এই অনুরোধটা করেছি। উনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন এবং এই সিদ্ধান্তটা খুব তাড়াতাড়ি দেবেন। এই করোনা পরিস্থিতি সংক্রমণ মৃত্যু সবকিছু মাথায় রেখে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে সরকারের বিবেচনা করবে আমরা আশা করছি।
পড়ুন: খুলনা বিভাগে করোনায় আরও ৪১ মৃত্যু
বিশ্বে করোনায় ৪১ লাখ ৮৬ হাজারের অধিক প্রাণহানি
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। এটি আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
৩ বছর আগে
‘কঠোর লকডাউনে’ মুভমেন্ট পাশ থাকবে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশকে টহলে রেখে কঠোর লকডাউন পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এবার কোনো মুভমেন্ট পাশ থাকবে না। জরুরি সেবা ছাড়া কেউ বাইরে যেতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এই সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় একদিনে রেকর্ড ৮৩৬৪ জন শনাক্ত, মৃত্যু ১০৪
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, লকডাউন সংক্রান্ত সরকারের আদেশের বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার একটি প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত খুব কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি।’
তবে যারা জরুরি সেবায় যুক্ত তারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে বলে সচিব জানান।
আরও পড়ুন: লকডাউনকে ‘তামাশা’ বললেন ফখরুল
সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ সববাহিনী লকডাউনে টহলে নিয়োজিত থাকবে উল্লেখ করে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ (বিধিনিষেধ) লঙ্ঘন করলে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
এই শীর্ষ আমলা বলেন, ‘মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে আসন্ন লকডাউন চলাকালীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় গত বছরের মতো দরিদ্রদের, বিশেষ করে শহর বেশি সমস্যাগ্রস্তদের সহায়তার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
লকডাউন নিয়ে গত শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বৈঠক হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য আরও বৈঠকে বসবেন এবং আগামীকাল বা পরশুদিন একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকারের আদেশের বিষয়টি জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘কঠোর লকডাউন’ পালনে সেনাবাহিনী থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কিছু বাস্তব কারণে সরকার ৩০ জুনের আগে কঠোর বিধিনিষেধে যেতে পারছে না। তাই, কঠোর লকডাউন ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কঠোর লকডাউন ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে কোভিড সংক্রমণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে এসময় আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
৩ বছর আগে