পূর্ব-পশ্চিম
পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বহিরাগত চাপের কথা অস্বীকার করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিভক্ত বিশ্বের প্রেক্ষাপটেও ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এই পররাষ্ট্রনীতিতে অবিচল থাকবে বাংলাদেশ।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি)পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পূর্ব ও পশ্চিমের সব দেশই আমাদের সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।দিন শেষে তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার এবং আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল-গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে আ. লীগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব ধীরে ধীরে বিভক্ত হয়ে পড়ছে এবং এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এটি একটি চ্যালেঞ্জ।
বঙ্গভবনে নবনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতসহ ঢাকায় নিযুক্ত সব রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সবাই বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানাতে এসেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিটি দেশের নিজস্ব ‘দৃষ্টিভঙ্গি ও বিবরণ (পারসপেক্টিভ অ্যান্ড ন্যারেটিভ)’ রয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার সেই দৃষ্টিভঙ্গি ও বক্তব্যকে মূল্য দেয়।
নতুন ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়। এটি একটি চ্যালেঞ্জ।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বর্ণনা অনুযায়ী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য পাশ্চাত্য বা প্রাচ্য সব দেশের সঙ্গে কাজ করব। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বে বিশ্বাস করি, কারো সঙ্গে বৈরিতা করি নয়।’
তিনি বলেন, সরকার অর্থনৈতিক কূটনীতিতে মনোনিবেশ করবে এবং এই ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা জোরদার করবে।
মন্ত্রী জানান, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সংকট মোকাবিলায় বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স নিশ্চিত করতে তিনি কাজ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। আপনাদের সহযোগিতায় আমি সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এটি অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ এবং এখন বিশ্বের বিভিন্ন অংশে যুদ্ধ চলছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তারা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করব, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করব।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ই-পাসপোর্ট সেবায় ‘কল সেন্টার’ উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে