জনপ্রশাসনমন্ত্রী
সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবকিছু করতে প্রস্তুত: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোটার বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ার পর সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবকিছু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কমিশন গঠন করা হবে কি না- জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আদালতের বিষয় আদালতে সমাধান হোক। এই সমাধানের পর যদি আরও কিছু আলোচনা করতে হয় সেটি আলোচনা করার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যা করা লাগে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোটার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী বিভাগের অংশ। এটি এখন আদালতে রয়েছে। বিচার বিভাগে কোনো বিষয় থাকলে সেটি বিচার বিভাগেই নিষ্পত্তি করতে হয়।'
বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেটি যেখানে নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন সেটি সেখানে নিষ্পত্তি করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কথা শুনে আদালত যে রায় দিয়েছে, এখানে কিন্তু সুযোগ রয়ে গেছে, প্রধান বিচারপতি সেই আহ্বান জানিয়েছেন। আদালত হচ্ছে সেই জায়গা যেখানে আপনার কথা শুনে আসলে কী করতে হবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।'
তিনি আরও বলেন, ‘কোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলন-সংগ্রাম করে, ব্যারিকেড দিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করা, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা- এটি অনুচিত ও অযৌক্তিক।'
কিছু কুচক্রী, কোনো পরামর্শদাতা বা কারো ইন্ধনের কারণে পানির মতো একটি সহজ জিনিসকে জটিল করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ হোসেন।
কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে শিক্ষার্থীরা যেন ভিন্ন জায়গায় না যায় সে বিষয়ে সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা কারো দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যথাযথ জায়গায় যাবেন। আপনাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। আমি মনে করি সুন্দরভাবে সেটি সমাধান হওয়া সম্ভব।'
একটি গোষ্ঠী দেশের উন্নয়নের সমালোচনা করে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
কারা শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, 'যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, যারা সেই সময়ে দেশে লুটপাট করেছে, যারা দেশে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছে, তারা চাচ্ছে না। তারা বসে আছে যেকোনো বিষয়কে পুঁজি করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে।'
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘৪৩তম বিসিএসে মাত্র ১৭ শতাংশ নারীরা সুযোগ পেয়েছেন। ৪০তম বিসিএসে ৫৯ জেলা থেকে পুলিশে একজন নারী ও চাকরির সুযোগ পাননি। ১৭টি জেলায় নারী-পুরুষ কেউই সুযোগ পায়নি। এরকম যদি হয়, তাহলে একটা অসমতা তৈরি হয়। কোটার সংস্কার দরকার। কোটা কতটুকু থাকবে সেটা আলোচনা হতে পারে।’
উল্লেখ্য, বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করে সরকার। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি হাইকোর্ট সেই পরিপত্র বাতিল করে। এতে ফের কোটা বাতিলে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে তারা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেছে। যার কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। এরমধ্যে কোটা বাতিলের রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে আপিল বিভাগ। এরপরও আন্দোলন থেকে সরে আসেনি শিক্ষার্থীরা।
৪ মাস আগে
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে নিয়োগ প্রমাণিত হলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
সরকারি কর্মকমিশন থেকে ফাঁস হওয়ার প্রশ্নে কর্মকর্তাদের নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গাড়িচালক আবেদ আলীর ফাঁস করা প্রশ্ন নিয়ে নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নেবে- জানতে চাইলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, 'পিএসসি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তারা তাদের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা থেকে করবে। সংসদে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। বিষয়গুলো প্রমাণ হতে হবে এবং সেটার জন্য প্রচেষ্টা চলছে।'
সরকার এ বিষয়ে কঠোরভাবে নজরদারি করছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'এটি খুবই শক্তভাবে সরকার দেখছে। সিআইডি এটার ওপর স্পেশাল ফোকাস করছে।’
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের চাকরিবিধি অনুযায়ী কেউ যদি শঠতা বা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কিন্তু চাকরিতে আসতে হবে। পিএসসি ও কিছু নিয়মকানুন রয়েছে সেগুলোর ব্যাপার আছে। বিষয়টি কিন্তু সবার মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। গভীর মনোযোগের সঙ্গে আমরা বিষয়টি দেখছি।'
বিষয়টি আগে প্রমাণিত হতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিষয়টি প্রমাণিত হতে হবে, যে এটি আদৌ সঠিক কি না। যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রমাণিত হবে- যে ড্রাইভার এ কথা বলছে, সে সত্য বলছে নাকি মিথ্যা বলছে। ততক্ষণ কিছু প্রমাণিত নয়।’
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, 'যে ড্রাইভার এ কথা বলছেন, সেই ড্রাইভারকে দেখলাম অন্য একটা দলের স্লোগান দিচ্ছেন। সে একটি দলের ষড়যন্ত্রের ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না। সে তো একটা দলের হয়ে কাজ করছে, সরকারের ইমেজ নষ্ট করার জন্য। অনেকগুলো বিষয় কিন্তু এখানে আছে। অনেকদিন আগে সে কাজের কারণে চাকরিচ্যুত হয়েছে।'
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যারা মাঠে সরকার পতনের আন্দোলন করে তেমন একটা দলের হয়ে, সে সরকারের উন্নয়নের কাজে বাধা দিতে চায়, তাদের হয়ে স্লোগান দিচ্ছে। আসলে সে কোন এজেন্ডা নিয়ে কথা বলছে, সেটি একটি বিষয়। তবে সত্য না মিথ্যা সেটি সরকারের পক্ষ থেকে অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে অনুসন্ধান চলছে।'
৪ মাস আগে
কোটা ছাড়াই বিসিএসে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে সিভিল সার্ভিসে নিয়োগে নারীরা পিছিয়ে নয়, বরং এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী।
এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)।
সংলাপে বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার পদ খালি: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
‘বিসিএসে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে’- বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংবাদের প্রসঙ্গে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, 'সংবাদে এসেছে, তবে আপনারা যদি আমাদের পরিসংখ্যান দেখেন, বুঝতে পারবেন এ রকম কিছু হয়নি যে নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছেন বরং নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন।'
তিনি আরও বলেন, '৩৫তম বিসিএসে নারী কর্মকর্তা রয়েছেন ২৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে নারী ২৮ জনের মতো। ৩৬তম বিসিএসে আমরা দেখেছি নারী কর্মকর্তা ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ। ৩৭তম বিসিএসে দেখেছি ২৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ৩৮ তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। ৪০তম বিসিএসে দেখেছি নারীদের হার ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। সর্বশেষ ৪১তম বিসিএসে ২৬ দশমিক ৭১ শতাংশ নারী প্রার্থী পদায়নের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।'
বিশেষ বিসিএসের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, '২৯তম বিশেষ বিসিএসে নারী ছিলেন ৪৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। চিকিৎসক নিয়োগে ৪২তম বিশেষ বিসিএসে নারী ছিলেন ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।'
ফরহাদ হোসেন আরও বলেন,'দশ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের পরেও নারীরা আগের মতোই নিয়োগ পাচ্ছেন। এখানে কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। ৪০তম বিসিএস থেকেই কিন্তু নারীদের কোনো কোটা নেই।'
কোটা না থাকলেও বিসিএসে নারীদের উত্তীর্ণ হওয়ার হার কমেনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই তথ্যটা (নিয়োগ পাওয়ার হার কমেছে) আসলে সঠিক নয়। প্রত্যেকটি বিসিএস থেকে ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ নারী সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। সেটি কিন্তু তারা ধরে রেখেছেন সেখানে কোনো ব্যত্যয় নেই।'
আরও পড়ুন: গত ১০ বছরে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন সরকারি কর্মকর্তা: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
প্রশাসনে মন্ত্রণালয়-বিভাগের ৫৮ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী সচিব- জানিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, 'নারীদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্মসচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপসচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব রয়েছেন ৬৫৮ জন।'
তিনি আরও বলেন, '৬৪ জেলার মধ্যে নারী জেলা প্রশাসক রয়েছে ৭ জন, নারী ইউএনও ১৫১ জন, নারী বিভাগীয় কমিশনার রয়েছেন একজন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রয়েছেন ৮৮ জন।'
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, নারীরা কোনো ক্ষেত্রেই পিছিয়ে যাচ্ছে না বরং সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। ক্যাডার সার্ভিস ছাড়াও সবমিলিয়ে সরকারি চাকরিতে ২৯ শতাংশ নারী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএসআরএফ’র সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক
৫ মাস আগে
সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার পদ খালি: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।
মন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সব সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে ২৯ শতাংশ নারী কাজ করছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২ জুন
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (বিসিএস) নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৮৪ জন সচিবের মধ্যে ১১ জন নারী। অতিরিক্ত সচিব রয়েছেন ৭৫ জন, যুগ্ম সচিব রয়েছেন ১৬৪ জন, উপসচিব রয়েছেন ৩৯৪ জন।’
তিনি আরও বলেন, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ৬৫৮ জন। এ ছাড়াও ৬৪ জেলার মধ্যে জেলা প্রশাসক হিসেবে ৭ জন নারী এবং ইউএনও হিসেবে কর্মরত ৫১ জন নারী। এসিল্যান্ড হিসেবে ৮৮ জন কর্মরত। এছাড়াও একজন নারী বিভাগীয় কমিশনার আছেন।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, বিগত ১০ বছরে প্রথম থেকে নবম গ্রেডের ৩৫১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। এরমধ্যে গুরুদণ্ড পেয়েছেন ৪১ জন, লঘুদণ্ড পেয়েছেন ১৪০ জন। সবমিলিয়ে শাস্তি পেয়েছেন ১৮১ জন। আর ১৭০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে নীতিমালা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যথাযথ নীতিমালা অনুসরণ করেই পদোন্নতি ও পদায়ন করা হয়। আমাদের এখানে একটা শৃঙ্খলা চলে এসেছে।
তিনি বলেন, যখন আমরা পদোন্নতি দেই, একটা প্রশ্ন আসে- পদের চেয়ে পদোন্নতির সংখ্যা বেশি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আমাদের অনেক কিছু খেয়াল করতে হয়। আমাদের খেয়াল রাখতে হয়-বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশে অধ্যয়নরত থাকেন। সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপের অধীনে। বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরতদের বিষয় তো রয়েছেই। তারপর একটি বিষয় রয়েছে-কিছু সংখ্যক মানুষ থাকে যারা অসুস্থ থাকেন। সেটি বাদেই আমাদের পদোন্নতি দিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন পদে যখন পদোন্নতি দিচ্ছি, তখন কিন্তু যে পদ আছে সেই পদের চেয়ে বেশি দিতে হয় যৌক্তিক কারণে। কিছুদিনের মধ্যেই বা ছয় মাসের মধ্যেই বেশ কিছু কর্মকর্তা পিআরএলে চলে যাচ্ছেন। তারপরে বেশ কিছু আমাদের রিজার্ভে রাখতে হয়। কারণ হচ্ছে- যদি কেউ অসুস্থ হয়ে যায়, সেই জায়গাটি পূরণ করার জন্য।
সংলাপে বিএসআরএফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে মাছের ঘের, পুকুরসহ ৭৬০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব: শরীয়তপুরে বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
৫ মাস আগে
মানুষের সেবায় বছরে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
বাজেটের একটি বিরাট অংশ অসহায় দরিদ্র মানুষের সেবায় ব্যয় করা হয় বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় প্রতি বছর ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা অসহায় দরিদ্র মানুষের সেবায় ব্যয় করা হয়।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত, হৃদরোগ এবং থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এই আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ১০৪ জন রোগীকে ৫২ লাখ ও শহর সমাজসেবা কল্যাণ সমিতির আওতায় ৬১ জন রোগীকে ২ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সমাজসেবা, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমাজের অসহায়, দরিদ্র, বিধবা, বয়স্ক, স্বামী পরিত্যক্ত, অসুস্থসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে অর্থ সহায়তা করা হয়ে থাকে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মেহেরপুর পুলিশ সুপার এএসএম নাজমুল আহসান, মেহেরপুর সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাত্তার আলোক কুমার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোমান, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ডা.কাজী নাজিব হাসান।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি।
৭ মাস আগে
প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি জনপ্রশাসনমন্ত্রীর
প্রকল্প শেষে গাড়ি জমা না দিলে আগামী দিনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
পদোন্নতি পেয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী নিয়োগ পাওয়ার পর প্রথম দিন রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্যাডার বৈষম্য নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে: আইনমন্ত্রী
একই সঙ্গে শুরুতেই মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোর জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) যুগোপযোগী করা হবে বলেও জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা ১৫ বছরের পুরোনো গাড়িগুলো পরিবর্তন করতে চাচ্ছি। আরেকটি চ্যালেঞ্জ, যেটি আমি করতে পারিনি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প যখন শেষ হয়ে যায়, সেই প্রকল্পের গাড়িগুলো পরিবহন পুলে এসে পৌঁছানোর কথা, কিন্তু বিভিন্ন কারণে গাড়িগুলো এসে পৌঁছায়নি। এবার আমরা খুবই কঠোর পদক্ষেপ নেব।
তিনি আরও বলেন, আইএমইডি থেকে আমরা জানব কতগুলো প্রকল্প আছে, সেই প্রকল্প কবে শেষ হয়েছে, গাড়িগুলো কোথায় আছে, সেই গাড়িগুলো আমাদের পরিবহন পুলে জমা দিতে হবে। বিষয়টি এবার আমরা খুব শক্তভাবে দেখার চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
ক্যাডার বৈষম্য রয়েছে তা নিরসনে কী পদক্ষেপ নেবেন- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ক্যাডার বৈষম্যের বিষয়গুলো আমরা এরই মধ্যে যথার্থভাবে দেখার চেষ্টা করেছি। সামনের দিন এগুলো নিয়ে আমাদের কাজ করার সুযোগ থাকবে। আমরা চাইব বৈষম্য যাতে শূন্যতে আসে। এ বিষয়ে আমরা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অর্গানোগ্রাম যুগোপযোগী নয়- এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা অর্গানোগ্রামগুলো পরিবর্তন করছি। এগুলো পরিবর্তন করতে হলে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব আসতে হয়।
তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ৪-৫ জন করে অতিরিক্ত সচিব আছেন। কিন্তু সেখানে হয়তো পদ আছে দুটি। তাই সেখানে আমাদের বেশি করে পদায়ন করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আমরা এবার প্রথম দিকেই মন্ত্রণালয়গুলোকে আহ্বান জানাব বাস্তবতার নিরিখে তারা যাতে আমাদের কাছে তাদের অর্গানোগ্রামে কী পরিবর্তন দরকার যুগোপযোগী করে সেটি যাতে বাস্তবভিত্তিক হয়, সেভাবে আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠালে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা অর্গানোগ্রামটাকে আপডেট করব।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, সেটি করতে পারলে আমরা তখন প্রোপার অ্যাসেসমেন্টটা করতে পারব, কোন জায়গায় কত লোক লাগবে এটা আমরা প্রথমে শুরু করব ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান জোরদার করবে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে