মো. আব্দুর রহমান
৭১’র পরাজিত শক্তিরা ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘৭১ এর পরাজিত অপশক্তিরা নতুন কায়দায় ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল। এই দেশে নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস করে কেউ যদি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে তাহলে সেটা হবে দিবালোকের স্বপ্ন। এছাড়া ক্ষমতায় যেতে চাইলে আগামী ২০২৯ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্ভাবনার এই বাংলাদেশকে কেউ হত্যা করতে চাইলে তা বরদাশত করা হবে না। মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, সেতু ভবনে অগ্নিসন্ত্রাস করে, সরকারি স্থাপনা ধ্বংস করে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শুক্রবার (২ আগস্ট) ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘রায়ের পর আন্দোলনকারীদের উৎসব করা উচিৎ ছিল। কারণ তাদের দাবির চেয়েও তারা বেশি পেয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকে আন্দোলনের ওপর ভর করে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ৭১- এর পরাজিত অপশক্তিরা দেশবিরোধী স্লোগান দিয়ে সরকারি স্থাপনা ও সম্পদ ধ্বংস করেছে। অর্থাৎ কোটা আন্দোলন নয় বরং তাদের ইস্যু ছিল সরকার পতনের আন্দোলন। তারা সরকার পতন করতে চেয়েছিল। তারা শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে নৈরাজ্য করে ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল।’
তিনি বলেন, ’৭১- এর পরাজিত অপশক্তিরা নতুন কায়দায় ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল। বিদেশ থেকে অর্থের যোগান দিয়ে এবং বিশ্বব্যাপী গুজব ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবেই নয় বরং এ দেশ হবে পৃথিবীর উন্নত দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। আমরা এ উন্নয়নকে ধুলায় লুটিয়ে যেতে দেব না। এছাড়া দেশের সংকটকালে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও তৃণমূল ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রতিটি কর্মীকে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
বিশেষ বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও মেয়র সেলিম রেজা লিপনসহ নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
পদ্মা সেতু প্রতিবাদের ভাষা, বাঙালির উন্নয়নের প্রতীক: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৩ মাস আগে
পদ্মা সেতু প্রতিবাদের ভাষা, বাঙালির উন্নয়নের প্রতীক: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ শুধু পদ্মা সেতুই নয়, এই সেতু আজ প্রতিবাদের ভাষা ও বাঙালি জাতির উন্নয়নের প্রতীক।’
ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম সংশোধিত) কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু দিয়েই শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে, বিশ্ব মোড়লের ধার এই বাঙালি জাতি কখনো ধারে না, কখনো ধারবেও না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ফরিদপুরবাসীর স্বপ্ন পূরণের রাস্তা সুগম হবে খুব শিগগিরই। শেখ হাসিনা ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে টেপাখোলা লেক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এই লেককে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠবে ফরিদপুরের নতুন উপশহর। এছাড়া ফরিদপুরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন খুব শিগগিরই পূরণ হতে চলেছে। আমি এখনই তা প্রকাশ করতে চাই না।’
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ফরিদপুর—২ আসনের সংসদ সদস্য আয়মন আকবর চৌধুরী লাবলু, ফরিদপুর—৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, ফরিদপুর—৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ঝর্ণা হাসান, এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল হাসান, ফরিদপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামান খান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী বাকাহিদ হোসেন, টেপাখোলা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক সাজ্জাদ আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ, পৌর মেয়র অমিতাভ বোস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালে ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বাংলাদেশের: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৪ মাস আগে
খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি। এলক্ষ্যে সরকার দেশে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসাধারণের প্রয়োজনীয় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ এবং এ খাতকে রপ্তানিমুখী করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (এলডিপিপি) উল্লেখযোগ্য যা ডেইরি সেক্টরের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নবান্ধব বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো সমৃদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠন।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ সব জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
শনিবার (১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) অডিটোরিয়ামে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪’ ও ‘ডেইরি আইকন সেলিব্রেশন’ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত খামারিদের অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে যেমন দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছেন তেমনি আপনারা নিজেদেরও সমৃদ্ধ করেছেন। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি এসময় খামারিদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, দুধ শুধু একটি আদর্শ খাবারই কেবল নয় বরং মেধাবী জাতি গঠনে দুধ পান অপরিহার্য। তাই নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পরবর্তীতে এ ধরনের অনুষ্ঠান পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় করা হবে এবং সে অনুষ্ঠানে খামারিরা প্রধান স্টেকহোল্ডার হবেন। তিনি গুড়াদুধ আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য অধিকহারে শুল্ক আরোপের বিষয়ে খামারিদের দাবিকে সাধুবাদ জানান এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খামারিদের আশ্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, দেশে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এ বছর ডেইরি খামার ক্যাটাগরিতে ২৬টি, পশুখাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ৯টি, দুধ/মাংস প্রক্রিয়াকরণ ক্যাটাগরিতে ১১টি এবং খামার যান্ত্রিকীকরণ ক্যাটাগরিতে ৫টিসহ মোট ৫১ টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি পুরষ্কারের মূল্যমান এক লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশের দুগ্ধ খাতের ৫১ জন সফল খামারি ও উদ্যোক্তার হাতে এসময় মন্ত্রী ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে খামারিদের এ ধরনের সম্মাননা প্রদান তাদের দুগ্ধ উৎপাদনে আরও উৎসাহিত করবে এবং ফলে এ সেক্টরের উন্নতি উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে মন্ত্রী এসময় মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: পশুর জন্য নিরাপদ উপায়ে প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৫ মাস আগে
জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ শুরু ১১ মার্চ
‘ইলিশ হলো মাছের রাজা, জাটকা ধরলে হবে সাজা’ এ স্লোগানকে প্রতিপাদ্য করে আগামী ১১ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
তিনি বলেন, জাটকা সংরক্ষণে হাট-বাজার ও আড়তে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া প্রতিবছরের মতো এবারও জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি হচ্ছে জাটকা
কর্মসূচির মধ্যে থাকবে- ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, মাছের আড়ত, বাজারসহ জনাকীর্ণ স্থানে জাটকা সংরক্ষণের গুরুত্ব ও এ সংক্রান্ত আইন বিষয়ে প্রচার কার্যক্রম, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভিডিও চিত্র প্রদর্শন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপনের লক্ষ্যে ‘ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটি’র সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাটকা ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
মন্ত্রী আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নৌকা বাইচ, হা-ডু-ডু, সাঁতার ইত্যাদি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন, জাটকা সমৃদ্ধ এলাকায় ভিডিও চিত্র প্রদর্শন ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, মৎস্যজীবী ও জেলেপল্লিতে সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণে পথ নাটক, আঞ্চলিক ও লোক সংগীত পরিবেশন এবং জাটকা রক্ষায় জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব সৈয়দ মো. আলমগীর, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাটকা ধরায় ৭ জেলে আটক, কারেন্ট জাল ও জাটকা জব্দ
৮ মাস আগে
গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা গ্রহণ করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। ইলিশ যেমন আমাদের গৌরবের জায়গা, তেমনি ইলিশ জাতীয় অর্থনীতিতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও একটা বড় ক্ষেত্র।
তিনি বলেছেন, তাই এটিকে লালন-পালন, পরিচর্যা ও বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পরিকল্পনা নিয়ে সামনে এটিকে আরও বেশি উৎপাদন বাড়ানো এবং এটিকে সত্যিকার অর্থে বড় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেই আমরা এগোতে চাই।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর মূল্যায়ন ও ভবিষ্যৎ করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা কথা জানান।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ২০০১-২ সালের চেয়ে ইলিশ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। এ প্রবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা, সদিচ্ছা ও একটি জাতিকে গড়ে তোলার প্রয়াসের জন্যই এটি হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের উৎপাদন ৫ লাখ ৭১ হাজার টন।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দেশে ইলিশের অভায়শ্রম কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সে জায়গাগুলো থেকে উত্তরণ করা দরকার।
তিনি আরও বলেন, ইলিশের বিচরণ পথ সুগম ও নিরাপদ করতে হবে। তা না হলে ইলিশের উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রকৃত জেলেদের একটা সুনির্দিষ্ট তালিকা করা জরুরি।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ ছাড়া মৎস্যজীবী বিভিন্ন সংগঠনকে দায়িত্ব নিয়ে সুষ্ঠুভাবে তা পালনের মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, জাটকা নিধন বন্ধ করতে হবে এবং কেউ অবৈধ জাল ব্যবহার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পাশাপাশি অভয়াশ্রম সম্পৃক্ত এলাকার জেলে ও মৎস্যজীবীদের নিয়ে সামাজিক ক্যাম্পেইন করতে হবে। মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে তাদের জন্য ভিজিএফের পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের উদ্যোক্তাদের চেয়েও দ্বিগুণ লাভ করার মানসিকতা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী। দাদন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে ইলিশ আহরণে সম্পৃক্ত জেলেদের রক্ষার উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীতা তুলে ধরেন মন্ত্রী।
বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ততা থাকা সত্ত্বেও মধ্যসত্ত্বভোগীদের জন্য ইলিশের দাম অনেক শ্রেণির মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিতকরণের প্রক্রিয়া চলছে এবং এ অসাধু ব্যবসায়ী যারা কারসাজি করে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
পরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩ এর প্রতিবেদন শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
৯ মাস আগে
দ্রব্যমূল্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। সব পণ্যই উৎপাদন এবং মজুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এরপরও দাম বেশি কেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাংস, ডিম এবং মাছের মূল্য কেন বেশি, এসব কেন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে এক সপ্তাহ আগে থেকে ন্যায্যমূল্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাছ, মাংস ডিম ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হবে।
মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে ভর্তুকি দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে এসব পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। রমজানের কয়েকদিন আগে থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।
বস্তি এলাকা এবং কিছুটা দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় এ কার্যক্রম চলবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
মন্ত্রী বলেন, আমি একটা সম্পূর্ণ নতুন জায়গায় এসেছি। এই জায়গাটা নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠেনি। সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার একটি পরিপূর্ণ অংশ এই মন্ত্রণালয়টি।
তিনি বলেন, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে পুষ্টিজনিত খাবারের ব্যাপারটি এই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জড়িত। সেই ক্ষেত্রে এই জায়গাটিতে কিছু মৌলিক কাজ আছে, সেগুলো আমাদের করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, আমরা এখন সারা পৃথিবীতে তৃতীয় অবস্থানে আছি। আমরা যাতে আরও বেশি দূর যেতে পারি, এমনকি আমাদের অবস্থান, আরও উন্নততর পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে চাই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান
তিনি বলেন, আজ আমরা মাছে ও গবাদিপশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় যে এক কোটি পশু কোরবানি হয়, সেটার জন্য বাইরে থেকে আমদানি নির্ভরতা একেবারেই নেই।
তিনি বলেন, এতে দুটো জিনিস হয়েছে। এসব গরু-ছাগল আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রে সীমান্ত হত্যাটা হতো। যেহেতু বাইরে থেকে গবাদিপশু আনা বন্ধ হয়েছে, সেহেতু সীমান্ত হত্যাটাও কমে গেছে, নেই বললেই চলে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এখন ডেইরিতে আরও কিছু কাজ করার প্রয়োজন। আমাদের দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে আরও কিছু কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মা ইলিশ ও বাচ্চা ইলিশ ধরার যে প্রবণতা ছিল, সেগুলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সেটার সুফল পেয়েছি। এ বিষয়টি অব্যাহত রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের যে প্রণোদনা দেওয়া হয়, সেটা একটু বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব। যাতে তাদের প্রণোদনা বাড়িয়ে মাছ ধরার নিষিদ্ধের সময়টা আরেকটু বাড়ানো যায়। তাতে আমরা আরও সমৃদ্ধ হব।
আরও পড়ুন: প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিনিয়োগ সহায়ক নীতি প্রণয়ন করছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
১০ মাস আগে
রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ বাড়িয়ে তা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সুন্দর জীবনযাপনে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মন্ত্রী বলেন, এ মন্ত্রণালয় এখন যেখানে আছে তার থেকে ভালো অবস্থানে উত্তরণ ঘটানো এবং এখান থেকে দেশের ১৮ কোটি মানুষ যাতে সুবিধা পায়, সেটি নিশ্চিত করার দিকেই আমাদের দৃষ্টি থাকবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
এসময় সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের কাছে আমিষ সহজলভ্য করার উপর গুরুত্বারোপ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
তিনি বলেন, বিশেষ করে রমজান সামনে রেখে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ বিক্রির প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। যাতে এসব পণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে এবং এসব পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রপ্তানি পণ্য হিসেবে চিংড়ির মানোন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
এসময় তিনি, মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাকে আরও উন্নত করা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
১০ মাস আগে