লক্ষ্যে
অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে ইউএনডিপি ও নরওয়ে
সবার জন্য শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে তুলতে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই করেছে নরওয়ে এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশে অবস্থিত নরওয়ে দূতাবাসে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৫ সাল পর্যন্ত থাকবে।
দুই সংস্থার পক্ষ থেকে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার এবং ইউএনডিপি'র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এই চুক্তিতে সই করেন।
নরওয়ে ও ইউএনডিপি ২০২১ সাল থেকে ইউএনডিপির প্রকল্প ‘পার্টনারশিপ ফর এ মোর টলারেন্ট ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ (পিটিআইবি)’ বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ভুল তথ্য ও বিদ্বেষের প্রচার প্রতিরোধ করে একটা সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে ইউএনডিপির সঙ্গে ফ্রান্সের ১.২ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এস্পেন রিক্টার বলেন- ‘ইতিবাচক মতবাদ তৈরির মাধ্যমে একটি সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পিটিআইবি প্রকল্পটি কাজ করে যাচ্ছে।’
ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার সহযোগিতার জন্য নরওয়েকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘নরওয়ের সঙ্গে আমাদের এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা তরুণ ও নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে কাজ করছি। নরওয়ের সঙ্গে চলমান এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল সাক্ষরতা বিষয়ে কাজ করব, যা এসডিজি লক্ষ্য ১৬ অর্জনে অবদান রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে ইউএনডিপি
২ মাস আগে
ন্যাম সম্মেলন: অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির আহ্বান ঢাকার
অভিন্ন বৈশ্বিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
উগান্ডার কাম্পালায় ন্যামের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে দেওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য তুলে ধরে এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা ও কার্যকর অর্থনৈতিক সহযোগিতার নীতির ওপর জোর দিয়েছিলেন, যা ৫০ বছর পরও প্রাসঙ্গিক।
ফলাফল নথি, কাম্পালা ঘোষণা ও ফিলিস্তিন বিষয়ক ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার মধ্য দিয়ে ন্যামের দুই দিনব্যাপী মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ১৮ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। ১৯ ও ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে ওই ঘোষণা ও নথিগুলো গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে চায় রাশিয়া, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে আলোচনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত অগ্রগতির কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে তার পদযাত্রা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে তাকে পুনঃনির্বাচিত করেছেন।
তিনি স্বল্পোন্নত দেশ ন্যাম দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে সহায়তার জন্য এবং পরিণত হওয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যামের অভ্যন্তরে কার্যকর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র সচিব ফিলিস্তিন বিষয়ক ন্যাম মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটির বৈঠকে যোগ দেন এবং ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও নিপীড়ন থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের মুক্তির জন্য বৈধ অধিকার ও ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের প্রতি বাংলাদেশের দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত কৌশল ব্যবহার করতে আন্দোলনের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর: ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি যাচ্ছেন হাছান মাহমুদ
৯ মাস আগে