ডা. সামন্ত লাল সেন
মানুষের উপকারে আসবে এমন হাসপাতাল তৈরির কাজই আমি করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, মানুষের উপকারে আসবে এমন প্রকল্প বা হাসপাতাল তৈরির কাজই আমি করব।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা বিভাগীয় শহরে বার্ন ইউনিট, ক্যান্সার, কার্ডিয়াক, নেফ্রোলজির যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করাটা আমার লক্ষ্য। একজন দরিদ্র মানুষ রংপুর থেকে ডায়ালাইসিসের জন্য ঢাকা আসবেন, সেটা তো হয় না।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এমন প্রকল্প নিয়েই কাজ করব, যেটা শেষ করতে পারব। সেটা এখন থেকেই করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেটার সদ্ব্যবহার করতে পারলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।’
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) কর্তৃক আয়োজিত বিপর্যয়কর স্বাস্থ্য অভিঘাতের ফলে বাংলাদেশে দারিদ্র্য শীর্ষক সেমিনারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা কমিয়ে আনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি বিগত ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যসেবা বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক সব জায়গা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা যদি নিশ্চিত করতে না পারি, আমি ঢাকায় বসে যতই লেকচার দিই না কেন কোনও লাভ হবে না। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে ও প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করাটাকে আমি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি নিজে প্রত্যেক জায়গায় গিয়ে চেকআপ করি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখি মেশিন ঠিক আছে কিনা। আমি ওখানে গিয়ে দেখলাম হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিসের রোগী অনেক বেশি। আমি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, সব জায়গায় রোগীদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আমরা যদি ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিসের যথাযথ চিকিৎসা ও ওষুধ দিতে পারি তাহলে ঢাকা শহরে এত বড় বড় বিশেষায়িত হাসপাতালের দরকার হবে না।’
এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া সামান্য সর্দি জ্বর হলেই এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। এন্টি মাইক্রোবিয়াল রেসিস্টেন্ট ভয়ানক একটা জিনিস। এ প্রসঙ্গে আমি বলব ডিজি ড্রাগকে আরও শক্ত হতে হবে। ফার্মেসিতে গিয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এন্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে আমরা ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন সিস্টেম চালু করার চেষ্টা করছি। ইলেকট্রনিক প্রেসক্রিপশন সিস্টেম যদি চালু করা যায় তাহলে যথাযথ মনিটরিং করা সম্ভব হবে, ওষুধের যথেচ্ছ ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’
স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রী হবার মেয়াদ ছয় মাস। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে আমি অন্তত সাতটি সভা করেছি। রোগী ও চিকিৎসক উভয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা আমার দ্বায়িত্ব।’
স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা নিরসনে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপার জনমত তৈরি করতে হবে। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় ও সৃষ্ট জনমতের কারণে পাঁচ বেড থেকে ৫০০ বেডের বার্ন হাসপাতাল তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বার্ন হসপিটাল। একটা রোগীও বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে না। রোগীরা আইসিইউতেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন।’
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গবেষক ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ পারিবারিক আয় ব্যয় জরিপের ২০২২ (এইচআইইএস) ভিত্তিতে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডিএসের গবেষক, শিক্ষক শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: মেডিকেল কলেজগুলোতে উন্নত শিক্ষা দিলে সুদক্ষ চিকিৎসক তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য বিভাগের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৫ মাস আগে
মেডিকেল কলেজগুলোতে উন্নত শিক্ষা দিলে সুদক্ষ চিকিৎসক তৈরি হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোর মান বাড়লে ও উন্নত শিক্ষা দিলে আমরা আরও সুদক্ষ চিকিৎসক পাব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেডিকেল কলেজগুলো চিকিৎসক তৈরি করে। তাই মেডিকেল কলেজগুলোর সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে।’
আরও পড়ুন: বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রবিবার (১৪ জুলাই) দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মেডিকেল পেশাজীবী ও রোগীদের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া তৈরি শেষ পর্যায়ে আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা অনেকবার এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা করেছি। এই আইন রোগী ও ডাক্তার উভয়কেই সুরক্ষা দেবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ডাক্তারদের বিদ্যমান সব সাবজেক্টে পোস্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ডাক্তারদের জন্য সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টির উদ্যোগের কথা বলেন।
এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ. এফ. এম. নূরুউল্লাহর সভাপতিত্বে এই মত বিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য বিভাগের সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিজারিয়ান অপারেশনের সংখ্যা কমিয়ে আনার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
লোকবল না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চালানোর মতো লোক না থাকলে কোনো হাসপাতাল নতুন কোনো যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা দিয়ে মেডিকেলের যন্ত্রপাতি কিনছে। কিন্তু সেগুলো সংরক্ষণ বা পরিচালনার জন্য বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনো পদ নেই।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব যন্ত্রপাতি চালানোর মতো লোক আছে, শুধু সেসবই কেনা হবে।
রবিবার (৯ জুন) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে ‘বিএসআরএফ সংলাপ’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান মন্ত্রী। বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) এ সংলাপের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: প্রধান লক্ষ্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগে দেখব হাসপাতালে ওই যন্ত্র চালানোর মতো কোনো লোক আছে কি না। যদি থাকে তবে আমি কিনব, না হয় কিনব না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিস। আমি আমার যে হাসপাতাল তৈরি করেছি, সেখানেও একটা পোস্ট রেখেছি বায়োমেডিকেলের, আমরা এ বিষয়ে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি প্রাইমারি হেলথ কেয়ারকে ইমপ্রুভ করতে পারি, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মায়েদের যদি বোঝাতে পারি, তারা যেন হাসপাতালে এসে ডেলিভারি করায়, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে পারব বলে আমি মনে করি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাচ্চাদের পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে আজকে আমরা একটা মিটিং করলাম। আমরা যদি গ্রামে আঁচল নামে শিশুদের চাইল্ড কেয়ার করি, মায়েরা যখন কাজ করে তখন সেখানে বাচ্চারা থাকবে। এ বিষয়ে আরও কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেগুলো নিয়ে আমি কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে বলেছি, প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতালের ভবন, ডাক্তারদের থাকার ব্যবস্থা, ওটি- এগুলোকে যেন মানসম্মত করা হয়। তাহলে, তখন আমি ডাক্তারকে চাপ দিতে পারব।
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অনেক সমস্যা রয়েছে। আমি সেখানে গতকাল (শনিবার) গিয়েছিলাম। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল, অত্যাধুনিক একটি হাসপাতাল পড়ে আছে। আমরা এ সপ্তাহে এগুলো নিয়ে বসব।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী নিয়োগ হয়েছে কি না আমি জানি না, কাগজপত্র দেখে এ নিয়োগগুলো কেন স্থগিত হয়েছে, যারা নিয়োগ পেয়েছে তারা কেন কাজ করতে পারছে না, তা আমরা খতিয়ে দেখব। খতিয়ে দেখে দ্রুত এটির সুরাহা করার চেষ্টা করব।
ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপের আশ্বাস
ইচ্ছে মতো ওষুধের দাম না বাড়াতে সম্প্রতি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। ওষুধের দাম বাড়ানো বা না বাড়ানোর বিষয়ে স্বাস্থ্য আদালতকে নির্দেশনা দিতে হয়।
সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা কী- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এটার ব্যাপারে একটা বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। সেটা এ মুহূর্তে এখানে বলব না।
তিনি আরও বলেন, আমি একবার না কয়েকবারই বলেছি- ওষুধের দাম যেন না বাড়ে। সরকার যে খুচরা মূল্য বেঁধে দিয়েছে এর বাইরে গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি বলেছি। এটা আমি আরও গুরুত্ব সহকারে দেখব।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢামেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে যাতে কোনো বিবাদ না হয়: পরিচালককে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করার ক্ষেত্রে কোনো চাপে নেই, আবার অভিযান শুরু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করার ক্ষেত্রে কোনো চাপে নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, রমজান মাসে এবং দেশের বাইরে থাকায় অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কিছুদিন অভিযান বন্ধ ছিল। এখন আবার অভিযান শুরু হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জেনেভা ও লন্ডন ট্যুর নিয়ে রবিবার (২ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কোনো চাপের মধ্যে নেই। একদম স্পষ্টভাবে আমি বলি আমার উপর কোনো চাপ নেই।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি কারো কথাও শুনি না। এটা (অভিযান) বন্ধ ঠিক হয়নি, আমরা কিছুটা সময় দিয়েছি যাতে তারা সংশোধন হয়। আর একসঙ্গে বাংলাদেশের সব ক্লিনিক বন্ধ করে দিতে তো পারব না। আমি আবার শুরু করব।’
তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে আমি বন্ধ রাখতে বলেছি। আমার কাছে যতটুকু তথ্য আছে জেলা পর্যায়ে এটা চলছে। এটা বন্ধ হবে না।’
ডেঙ্গুর প্রস্তুতি বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রচুর স্যালাইন আছে। এখন একেবারে উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। আমাদের গাইড লাইনও আছে। সুতরাং অসুবিধা হবে বলে আমি মনে করি না। সবাই যদি সচেতন হয়, তাহলে ডেঙ্গু মোকাবিলা করা সম্ভব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চীন একটা হাসপাতাল বানিয়ে দিচ্ছে আমাদের। চট্টগ্রামে ১৫০ বেডের বার্ন হাসপাতাল। সেটা পাস হয়ে গেছে এবং তারা আগামী শনিবার বাংলাদেশে আসবে, আমার সঙ্গে মিটিং করবে। তারপর আমরা কাজ শুরু করব।
এর আগে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে সায়মা ওয়াজেদ অক্টোবর মাসের ৭ থেকে ১০ তারিখে পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী পর্যায়ের একটি সম্মেলন করার প্রস্তাব দেন। আমরা সানন্দে গ্রহণ করে বলি- সবাই রাজি হলে ৭ থেকে ১০ অক্টোবর স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের একটা সম্মেলন এখানে হবে। যে সম্মেলন হবে, সেখানে ১০টি দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এটা উদ্বোধন করবেন। সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।
আরও পড়ুন: ‘ভিটামিন এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন সফল করতে জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২০৪০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ তামাকমুক্ত হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৬ মাস আগে
চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেকক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে বাবার স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারে। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়ে ও ভালো চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়।
শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তি করা রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, `আজকে যারা এখানে আমার সামনে বসে আছেন, আমি সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলব। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মানসম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই, যেন এই দেশের লোকজন একদিন চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। এক্ষেত্রে প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, ধৈর্য ধরে তাদেরকে সেবা দেওয়া।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকরাই হলো ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। এটি শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটা হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা সেবা হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপরই নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসা সেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাব-আসব। সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেব। আমাদের সাধারণ মানুষ কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না, শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই কিন্তু তারা খুশি।’
বাংলাদেশি চিকিৎসকদের সক্ষমতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থেসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা কিন্তু পারেনি, পেরেছে বাংলাদেশের চিকিৎসকরাই। কাজেই আমি বিশ্বাস করি আমাদের চিকিৎসকরা কোনো দেশের তুলনায় কম নয়।
আরও পড়ুন: দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান বিশ্বের কোনো দেশের তুলনায় কম নয়। দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার মেধাবী চিকিৎসক বের হচ্ছে। তারা বেশিরভাগই উন্নত বিশ্বের ডাক্তারদের সমান দক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল এডুকেশন কনফারেন্স রুমে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সুযোগ দিলে তারা তাদের যোগ্যতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবেন।
চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে অসুবিধা থাকলে তা উপরের কর্মকর্তাকে জানাতে হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে তাদের অসুবিধার কথাগুলো বলতে হবে। আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের পিওন থেকে উপর পর্যন্ত সব জায়গায় ঘুরেছি। কোথাও না পেলে আমি একেবারে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চলে যেতাম। কিন্তু আমার কাজের জন্য যা প্রয়োজন তা আমি চাইতাম ও আদায় করতাম। এক দরজা থেকে অন্য দরজা ঘুরতে ঘুরতেই মাত্র পাঁচটি বার্ন বেড থেকে পাঁচশ বেডের বার্ন হাসপাতাল করেছি। আপনাদেরও নিজের কাজের জন্য এভাবে আন্তরিক হতে হবে, মনে দরদ দিয়ে রোগীর সেবা করতে হবে।’
চিকিৎসক শিক্ষকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যোগ্যতা সম্পন্ন চিকিৎসক সংখ্যায় কম বের হলেও সমস্যা নেই। আপনারা কোয়ান্টিটি দেখবেন না, দেখবেন কোয়ালিটির দিকে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক নেতারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভাগে বিভাগে আমরা ছুটে চলে যাচ্ছি কারণ বিভাগীয় স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো জেনে সেখানেই যাতে সমাধান করা যায়। আপনাদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো জানাতে হবে। আমরা চেষ্টা করব সব দাবি যাতে কম-বেশি পূরণ করতে পারি।
সিলেট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এনায়েত হোসেন জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের জন্য পিডি নিয়োগ দেওয়াসহ কিছু লোকবল নিয়োগ প্রয়োজন আছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় সিলেট সিভিল সার্জন অফিসে যান এবং সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের ৭ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা সামন্ত লাল সেন।
মন্ত্রী সকাল ৯টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।পরে সিলেটের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শিশির রঞ্জনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, সিলেট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক এনায়েত হোসেন, বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক এহতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ বিএমএ সিলেট শাখার সভাপতি ও সম্পাদক, স্বাচিপ সিলেট শাখার সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী চিকিৎসক নেতা ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযান জোরদার হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
রাজউক ও গণপূর্তকে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আগুনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটি আয়োজিত ২৩তম আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সেমিনার থেকে বের হওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। সামান্য একটা ভুলের জন্য ৪৬টা প্রাণ চলে গেল, এর থেকে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না। আমি মনে করি, এর বিরুদ্ধে অভিযান চলা উচিত। এই দুই প্রতিষ্ঠান আরও বেশি সতর্ক হলে অগ্নিকাণ্ড সামনের দিনে কমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালও থাকবে। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোকে নিয়ম মেনে ও সব শর্ত মেনে চলা দরকার।’
মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে সব ধরনের অনিয়ম বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলবে। অতীতে কী হয়েছে সেগুলো মনে রাখা যাবে না। ইচ্ছা করলেই অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না। অভিযান লাগাতার চলবে।
আরও পড়ুন: দেশে মেডিকেল ডিভাইস তৈরি করলে তা সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৯ মাস আগে
ভয়ভীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতি মুক্ত থেকে মানুষের সেবায় কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক নেতা নই, আমি নির্বাচনও করিনি। মানুষের সেবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি রোগীও মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, মানুষের সেবায় আমি আমার কাজ নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতি মুক্ত থেকে করে যাব।
এসময় জেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকলকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জেলার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে দিক নির্দেশনাও দেন তিনি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে আরেকটি সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মনোযোগের সঙ্গে পড়াশোনা করার মাধ্যমে প্রথমত ভালো চিকিৎসক হতে হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সৎ ও আদর্শিক মানসিকতা নিয়ে চিকিৎসা পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করতে হবে। আমরা শুধু হাজার হাজার ডাক্তার চাই না, আমরা চাই ভালো ডাক্তার, এই কথার অর্থ শিক্ষার্থীদের বুঝতে হবে।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু করা হবে বলে আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়কের ইউনিয়ন হসপিটাল লিমিটেড এবং ২৫০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বাঙালির ঐতিহ্য-সংস্কৃতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পরিদর্শনকালে বেসরকারি হাসপাতালটির বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
হাসপাতালটি তার লাইসেন্স এর পরিধি বহির্ভূতভাবে আইসিইউ, সিটি স্ক্যান মেশিন, অপারেশন থিয়েটার ও পোস্ট অপারেটিভ রুম সমূহ পরিচালনা করে আসছিল। বিধায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসপাতালটির বর্ণিত অংশ সমূহ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে অননুমোদিত আইসিইউ এবং পোস্ট অপারেটিভ রুমে ভর্তি থাকা রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করার নির্দেশনাও দেন।
পরে মন্ত্রী ২৫০ শয্যা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মহিলা মেডিসিন বিভাগ, সিসিইউ, শেখ রাসেল নবজাতক সেবা ইউনিটটিতে (স্ক্যানু) রোগী ও দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
মন্ত্রী হাসপাতালেই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য হাসপাতালের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এসময় তিনি জরুরি বিভাগ, আউটডোর ও ইনডোর রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
পরে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
এছাড়া রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে চিকিৎসা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবার চিত্র প্রত্যক্ষ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
১০ মাস আগে
এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, সব কেন্দ্রেই বিশেষ সতকর্তা নেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি প্রশ্নপত্র বহনকারী ট্রাঙ্কে একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লাগানো ছিল, যার মাধ্যমে অধিদপ্তর থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা নেওয়া কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়েছে।
সামন্ত লাল সেন বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেটসহ কারও কাছেই কোনোরকম মোবাইল যন্ত্রের ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। কোন মেডিকেল কোচিং গত এক মাস খোলা ছিল না।
মন্ত্রী আরও বলেন, পরীক্ষার আগের দিন ফেসবুকে কোনোরকম প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানোর সুযোগ দেয়নি গোয়েন্দা সংস্থা। এবারের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় যতরকম সতর্ক থাকা যায়, থেকেছি।
আরও পড়ুন: এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমি চাই দেশে সৎ ও উন্নত মানের ডাক্তার তৈরি হোক। নিজে সারাজীবন সৎ থেকেছি, এদেশের পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিটি ডাক্তারও সততা নিয়ে, স্বচ্ছতা নিয়ে মানুষের সেবা করবে- সেটাই চাই।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর এমবিবিএস ভর্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনয়ন, প্রকৃত শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অনিয়ম বন্ধ এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশনের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজে বিগত কয়েক বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণ এবং ডিজিটালাইজেশনের ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ হয়েছে এবং একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: দেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে
দেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, নার্সিং পেশাকে যুগোপযোগী করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। কানাডা সরকারের সহায়তা পেলে বাংলাদেশের নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাই কমিশনার এইচ. ই লিলি নিকোলাসের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান।
সাক্ষাৎকালে হাই কমিশনার কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও উচ্চমানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করাসহ স্বাস্থ্যখাত সংক্রান্ত নানান বিষয়ে আলোচনা করেন।
কানাডায় বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যাদের ভালো চিকিৎসার জন্য দক্ষ নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট দরকার।
কানাডার হাই কমিশনার ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে এই নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ হতে হবে বলে জানান তিনি।
এজন্য কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি উন্নত ও বিশ্বমানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন কানাডার হাই কমিশনার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ৯৫ হাজার শিক্ষিত নার্স আছেন, যারা বিশ্বের যেকোনো দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে তাদেরকে আরও বেশি দক্ষ ও বিশ্বমানের করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য আমাদের দক্ষ প্রশিক্ষকও দরকার হবে। এক্ষেত্রে কানাডা সরকার বাংলাদেশে যে উন্নতমানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন।
আলোচনায় কানাডা হাই কমিশনার বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশেষ করে প্রাইভেট মেডিকেলে অধিক সংখ্যক সিজারিয়ান শিশু জন্ম নেয় বলে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা, গ্রামের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করা প্রসঙ্গে বলেন।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ৪ হাজার ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামে থাকা মেয়েদেরকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদানসহ গ্রামীণ মায়েদের জন্য ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারি সিস্টেম সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে ২৪ ঘন্টা সার্ভিসের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে আস্থা নেই বলেই মানুষ দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
১০ মাস আগে