জোরালো
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
এশিয়ার দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারে। আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সম্পদ বিনিময় হচ্ছে ‘সাপ্লাই চেইনের’ সংকট সমাধানের অন্যতম মাধ্যম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করা। এখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের মধ্যে পূর্ব এশিয়ার একাধিক বন্ধু দেশ আছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছেন। ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ উদ্যোগ সফল হলে নারী ক্ষমতায়নসহ রপ্তানিযোগ্য পণ্যে বৈচিত্র্য আনা সম্ভব হবে। দেশের মূল রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প ছাড়াও চামড়া, ফার্মাসিউটিক্যাল ও হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
৯ মাস আগে
টেকসই উন্নয়ন অর্জনে সংহতি-ঐক্য ও জোরালো সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার
টেকসই উন্নয়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোকে পারস্পরিক সংহতি ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
উগান্ডার কাম্পালায় জি-৭৭ (জি-৭৭) ও চীনের জেনারেল ডিবেট অব দ্যা থার্ড সাউথ সামিটে তিনি এ আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তন, যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, ঋণ সংকট এবং ক্রমবর্ধমান সংরক্ষণবাদের কারণে চলমান বৈশ্বিক সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,চীন এবং জি-৭৭ সদস্য দেশগুলোকে অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতাকে কাজে লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে: জয়শঙ্কর
তিনি ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রদত্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের কথা স্মরণ করে বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর বার্তা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি স্বচ্ছ ও অধিকতর ন্যায়সঙ্গত বিশ্বের জন্য পাঁচটি জরুরি বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যেমন- এসডিজি বাস্তবায়নে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ; বর্তমান আন্তর্জাতিক আর্থিক কাঠামোর সংস্কার; প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা; সর্বত্র লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবসম্মত ও উন্নয়নমুখী নীতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত দেড় দশকে বাংলাদেশে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের অধিকার অর্জনে তাদের সংগ্রামে সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এর আগে তিনি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তৃতীয় সাউথ সামিটের চেয়ার এবং গ্রুপের নতুন চেয়ার হিসেবে উদ্বোধন করেন উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি।
অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সভাপতি ডেনিস ফ্রান্সিস; জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস; চীনের প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি লিউ গুওঝং এবং দ্বিতীয় দক্ষিণ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দেশ কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখি।
আরও পড়ুন: কাম্পালায় সৌদি পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টারের সঙ্গে হাছান মাহমুদের সাক্ষাৎ
৯ মাস আগে