সীমাহীন ভোগান্তি
হাড় কাঁপানো শীতে সীমাহীন ভোগান্তিতে নওগাঁবাসী
কুয়াশার দাপট কম থাকলেও সোমবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ ও কনকনে শীতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নওগাঁর বাসিন্দাদের।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এটাই এই মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই কুয়াশা কম থাকলেও আকাশ মেঘলা রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে রাজশাহীর মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন থেকে দুপুরের পর একটু সূর্যের দেখা পাওয়া গেলেও উত্তাপ ছড়াতে না পারায় বিকাল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে শুরু করে। আর দিনভর থাকছে হিমেল বাতাস। সন্ধ্যার পর থেকে শীতের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। রাত বাড়তে থাকলে শীতও বাড়ে সমানতালে।
এদিকে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের লোকজন। জীবিকার তাগিদে সকাল হলেই এসব মানুষ মোটা গরম কাপড় পরে কেউ সাইকেল নিয়ে আবার কেউ হেঁটে কর্মস্থলের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন।
শহরের ডিগ্রি কলেজ মোড় এলাকার রিকশাচালক সোলায়মান বলেন, যে শীত পড়েছে এতে করে রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। কিন্তু কিছুই করার নেই। রিকশা না চালালে সংসার চলবে না।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বগুড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার আরেক রিকশাচালক জব্বার বলেন, সোমবার সকাল থেকে কুয়াশা কম। তবে আকাশ পরিষ্কার নয় আবার বাতাসও অনেক। এই কারণে শীত বেশি লাগে। এত শীত হলে আমাদের মতো গরিব মানুষের সংসার চালানো সমস্যা হয়ে যাবে।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানান, সোমবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কয়েকদিন ধরেই শীত বেশি পড়ছে। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই থেকে একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে তীব্র শীতে প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
৯ মাস আগে