রোহিঙ্গা ক্যাম্প
মার্চেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সফরকালে বার্ষিক রমজান সংহতি সফরের অংশ হিসেবে আগামী ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিবের এই পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
পরিদর্শনকালে গুতেরেস স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী ও মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ইফতার করবেন। যা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে জানান, প্রধান উপদেষ্টা ১৪ মার্চ সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
আরও পড়ুন: চুরির কোটি কোটি টাকা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান ড. ইউনূসের
রমজানের প্রতি সংহতি সফরের অংশ হিসেবে অ্যান্তোনিও গুতেরেস ১৩ থেকে ১৬ মার্চ ঢাকা সফর করবেন। এসময় তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক।
বাংলাদেশ সফরকালে তিনি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের পাশাপাশি সুশীল সমাজের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে এক দশকের দীর্ঘ মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাস্তুচ্যুত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে নিয়মিত রমজান পালন করার জন্য সংহতি সফরকে একটি বার্ষিক ঐতিহ্যে পরিণত করেছেন গুতেরস।
গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, 'প্রতি রমজানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি সফর করি এবং রোজা রাখি। এই মিশন বিশ্বকে ইসলামের আসল চেহারা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান করুণা, সহানুভূতি এবং উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ...। আমি সবসময় এই মৌসুমে অসাধারণ শান্তির অনুভূতিতে আরও অনুপ্রাণিত হই।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস সম্প্রতি ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারকে নবায়ন করবে এবং তাদের দুর্দশার বৃহত্তর সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মিয়ানমারের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে আমি আমার সদিচ্ছা অব্যাহত রাখব। সেই লক্ষে আঞ্চলিক পক্ষ, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইনের জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ও জীবিকার সহায়তা কীভাবে সর্বোচ্চ করা যায়—সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে দিকনির্দেশনা দিতে তার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের অনুরোধ করেছেন।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের সমন্বয়কারী এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিখার দেবে। যার মাধ্যমে রাখাইন এবং পুরো মিয়ানমারে অভাবী লোকদের জন্য জরুরি ত্রাণ, নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: শিগগিরই চীন, থাইল্যান্ড ও জাপান সফরে যাবেন ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তমভাবে সমর্থন করতে পারে—তা বোঝার জন্য আমরা সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শের পরে সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসকে তার চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। যেটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব এবং রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি।
৫৪ দিন আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইমামরা প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে: ধর্ম উপদেষ্টা
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইমামরা প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ প্রশিক্ষণে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির প্রশিক্ষণ মডিউল অনুসরণ করা হবে। তুরস্কের আল মুয়াসসাসা দিয়ানা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকির দায়িত্বে থাকবে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে নির্বাচিত ইমাম মুয়াজ্জিনদের মাঝে আর্থিক অনুদান ও সুদমুক্ত ঋণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ধর্ম উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট একটি সমাজবান্ধব ট্রাস্ট। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুদমুক্ত ঋণ ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে একটি মিনারেল ওয়াটার প্লান্ট স্থাপনের বিষয়েও কাজ চলছে।
চলতি অর্থবছরে ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট হতে ৬০০ জন অস্বচ্ছল ও দরিদ্র ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ম উপদেষ্টার ‘ইসলামী বিধিবিধান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
এছাড়া, আর্থিক সাহায্য হিসেবে ৪ হাজার ৬২০ জন অসহায়-দরিদ্র ইমাম-মুয়াজ্জিনকে পাঁচ হাজার টাকা হারে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকা প্রদান করা হবে।
বর্তমানে এ ট্রাস্টভুক্ত ইমাম ও মুয়াজ্জিনে সংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার। এ ট্রাস্টের মাধ্যমে কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদি কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে তাকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে।
৭৪ দিন আগে
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া মৌচনি ক্যাম্পের জি-ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
টেকনাফের নয়াপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল হান্নান বলেন, ‘ক্যাম্পে আগুন লাগলে মুহুর্তেই আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। এ সময় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ৫ বছর বয়সী এক শিশুর।’
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে আগুনে পুড়ে গেছে ৩ রিসোর্ট
এছাড়া মৃত শিশুর পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলেও জানান তিনি।
১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও রোহিঙ্গাদের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে গেছে শতাধিক বাড়িঘর। এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় এপিবিএন পুলিশ।’
১০৭ দিন আগে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন, শিশুসহ নিহত ২
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুতুপালং এলাকাস্থ লম্বাশিয়া ১-ওয়েস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট।
স্থানীয় বাসিন্দা শামিশুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী আহত হন। তাকে সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে তেলের দোকানে আগুন, ৮ দোকান পুড়ে ছাই
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানূর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৫৪৯টি শেল্টার সম্পুর্ণ পুড়ে গেছে। আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য ৬টি শেল্টার ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৬৩টি শেল্টার।
তার দেওয়া তথ্যমতে, বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার ১৯৭টি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর নিহতদের মধ্যে একজন শিশু ও একজন বৃদ্ধ রয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৬ জন। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোট পরিবারের সংখ্যা ৮৮৫।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফ হোসাইন বলেন, একটি বসতঘরে আকস্মিক আগুন লেগে যায়। সেই আগুন ক্যাম্পের আশপাশের বসতঘরসহ অন্যান্য স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প প্রশাসন ও স্থানীয়রাসহ উখিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। পরে সেখানে কক্সবাজার ও টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের আরও ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেন।
ওসি বলেন, আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট অথবা রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের বোতাম কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১
১৩০ দিন আগে
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত একই পরিবারের ৩ জন
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৫টায় উখিয়া ১৭ নম্বর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার ১৭ নম্বর ক্যাম্পের (এক্স) ১০৪ নম্বর ব্লকের আহাম্মদ হোসেন (৬৫), তার ছেলে সৈয়দুল আমিন (২৮) ও মেয়ে আসমা বেগম (১৫)।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কী কারণে, কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
১৯৫ দিন আগে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
কক্সবাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
উখিয়ার ১৪ এবং ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনভর দুই পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
গুলিবিদ্ধরা হলেন- উখিয়ার পালংখালীর মোহাম্মদ বেলাল (৩৯), উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেন ডি-৭ ব্লকের বাসিন্দা ওমর ফারুক (৩০), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩ ব্লকের বাসিন্দা মো. ইউনুস (২৫), উখিয়ার ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা আবদুল্লাহ (১৮) ও একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হামিদা (৫০)।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে সেটি জানা যায়নি।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশি একজন আহত হয়েছেন।
তাছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাসকারীরা বেশ আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গোলাগুলির কারণে আতঙ্কিত স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে। তাছাড়া তারা ঘর থেকে জরুরি কাজ ছাড়া বের হচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ২
১৯৮ দিন আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ আরসার কমান্ডার আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে একটি জি থ্রি রাইফেল ও ১০টি গুলিসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডারকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ এপিবিএন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উখিয়া পালংখালী ক্যাম্প-১৩ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম (৪৫) ১৩ নম্বর ক্যাম্পের গুলা হোসেনের ছেলে।
৮ আমর্ড পুলিশ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, নুরুল দীর্ঘদিন ধরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার হিসাবে ক্যাম্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমর্ড পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সূত্রে ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র আসার গোপন খবরে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালানো হয়। এসময় নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি জি থ্রি রাইফেল ও ১০টি গুলি জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরসার কমান্ডার হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম। তাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
২২৬ দিন আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম, আব্দুল হাফেজ ও আব্দুল ওয়াহেদ।
কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, জেলায় পাহাড় ধসে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন রোহিঙ্গা।
২৩৩ দিন আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) ভোররাতে উখিয়ার ৮ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পে ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ সিফাত (১৩) ও আনোয়ার ইসলাম (২৭)। এদের মধ্যে মোহাম্মদ সিফাত বাংলাদেশি।
উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস তাদের লাশ উদ্ধার করেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, উখিয়া ৮ ও ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় এক স্থানীয় শিশু ও একজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা-আরএসও সংঘর্ষে নিহত ১
৩০৫ দিন আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে ৯ জনের মৃত্যু, উদ্ধার চলছে
কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় স্থানীয় একজন ও আট রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে উখিয়ার ১০ ও ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন জানান, সকালে খবর আসে উখিয়ার ৯ ও ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধস হয়েছে। এ ঘটনায় এক বাংলাদেশি ও আট রোহিঙ্গা মাটির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে টিলা ধস, এক পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, বুধবার ভোরের দিকে ক্যাম্প-৯ ও ১০ এর পানবাজার এবং হাকিমপাড়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন প্রাথমিকভাবে মারা যাওয়াদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি। তবে ৯ জনের মধ্যে আনুমানিক চার বছরের এক শিশু, ১২ বছরের এক কিশোর ও কয়েকজন নারী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
৩১৯ দিন আগে