রোহিঙ্গা ক্যাম্প
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলিতে নিহত একই পরিবারের ৩ জন
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৫টায় উখিয়া ১৭ নম্বর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার ১৭ নম্বর ক্যাম্পের (এক্স) ১০৪ নম্বর ব্লকের আহাম্মদ হোসেন (৬৫), তার ছেলে সৈয়দুল আমিন (২৮) ও মেয়ে আসমা বেগম (১৫)।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কী কারণে, কে বা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
২ মাস আগে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৫
কক্সবাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
উখিয়ার ১৪ এবং ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনভর দুই পক্ষের এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
গুলিবিদ্ধরা হলেন- উখিয়ার পালংখালীর মোহাম্মদ বেলাল (৩৯), উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেন ডি-৭ ব্লকের বাসিন্দা ওমর ফারুক (৩০), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩ ব্লকের বাসিন্দা মো. ইউনুস (২৫), উখিয়ার ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা আবদুল্লাহ (১৮) ও একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হামিদা (৫০)।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে সেটি জানা যায়নি।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশি একজন আহত হয়েছেন।
তাছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাসকারীরা বেশ আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গোলাগুলির কারণে আতঙ্কিত স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে। তাছাড়া তারা ঘর থেকে জরুরি কাজ ছাড়া বের হচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত ২
২ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ আরসার কমান্ডার আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে একটি জি থ্রি রাইফেল ও ১০টি গুলিসহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডারকে আটক করেছে আমর্ড পুলিশ এপিবিএন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উখিয়া পালংখালী ক্যাম্প-১৩ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম (৪৫) ১৩ নম্বর ক্যাম্পের গুলা হোসেনের ছেলে।
৮ আমর্ড পুলিশ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, নুরুল দীর্ঘদিন ধরে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার হিসাবে ক্যাম্পে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমর্ড পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সূত্রে ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অস্ত্র আসার গোপন খবরে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালানো হয়। এসময় নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি জি থ্রি রাইফেল ও ১০টি গুলি জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত ডিআইজি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরসার কমান্ডার হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন নুরুল ইসলাম। তাকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
৩ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উখিয়া ১৪ নম্বর হাকিমপাড়ায় ক্যাম্পে এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-২ ব্লকের কবির আহমেদের ছেলে আব্দুর রহিম, আব্দুল হাফেজ ও আব্দুল ওয়াহেদ।
কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, ক্যাম্পে পাহাড় ধসে একই পরিবারের তিন জন নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, জেলায় পাহাড় ধসে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন রোহিঙ্গা।
৩ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) ভোররাতে উখিয়ার ৮ ও ১১ নম্বর ক্যাম্পে ঘটনা দুটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- মোহাম্মদ সিফাত (১৩) ও আনোয়ার ইসলাম (২৭)। এদের মধ্যে মোহাম্মদ সিফাত বাংলাদেশি।
উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস তাদের লাশ উদ্ধার করেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, উখিয়া ৮ ও ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় এক স্থানীয় শিশু ও একজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা-আরএসও সংঘর্ষে নিহত ১
৫ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসে ৯ জনের মৃত্যু, উদ্ধার চলছে
কক্সবাজারের উখিয়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় স্থানীয় একজন ও আট রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৬টার দিকে উখিয়ার ১০ ও ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন জানান, সকালে খবর আসে উখিয়ার ৯ ও ১০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধস হয়েছে। এ ঘটনায় এক বাংলাদেশি ও আট রোহিঙ্গা মাটির নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও উদ্ধার কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে টিলা ধস, এক পরিবারের ৩ জনের লাশ উদ্ধার
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর জানান, বুধবার ভোরের দিকে ক্যাম্প-৯ ও ১০ এর পানবাজার এবং হাকিমপাড়ায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসনের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন প্রাথমিকভাবে মারা যাওয়াদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি। তবে ৯ জনের মধ্যে আনুমানিক চার বছরের এক শিশু, ১২ বছরের এক কিশোর ও কয়েকজন নারী রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
৬ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে এবং তাদের কল্যাণে পরিচালিত বিভিন্ন সহায়তা পরিষেবা সম্পর্কে ধারণা নিতে ভাসানচর ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত ও সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়া।
বুধবার (২০ মার্চ) এ সফরে ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, আইওএম, ইউনিসেফ, ইউএনউইম্যান এবং ইউএনএফপিএসহ একাধিক জাতিসংঘ সংস্থার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
এছাড়াও, ভূমিধস এড়াতে নরওয়ের অর্থায়নে ইউএনডিপির উদ্যোগে পরিচালিত দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান নির্ভর উদ্যোগসমূহ পরিদর্শন করেন ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত। তার এই সফর ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনের জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্বকে আরও জোরদার করবে।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য টেকসই আবাসন নিশ্চিত করতে কক্সবাজারে সরকারের খুরুশকুল আশ্রয়ণ হাউজিং প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরের জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দ্বীপ হাতিয়া পরিদর্শনে যান ক্রাউন প্রিন্সেস। আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে কীভাবে এটি হাতিয়ার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভূমিকা রাখছে সে সম্পর্কে ধারণা নেন তিনি।
এ সময় সুইডিশ ক্রাউন প্রিন্সেসের সঙ্গে ছিলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব এবং ইউএনডিপির এক্সটারনাল রিলেশনস ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক উলরিকা মদির, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী ইয়োহান ফরশেল।
আরও পড়ুন: খুলনা-চট্টগ্রামে জলবায়ু সহনশীল উদ্যোগ পর্যবেক্ষণে ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত
গত সোমবার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) নিয়ে প্রচারণার উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস ও ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত ভিক্টোরিয়া। ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হওয়ার পর এই প্রথম বাংলাদেশ সফরে এসেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করলেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
৯ মাস আগে
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে সুইডেনের রাজকুমারী
কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়া।
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নোয়াখালী ভাসানচর থেকে সরাসরি সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে উখিয়ায় পৌঁছান তিনি।
এ সময় রাজকুমারীকে অভ্যর্থনা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহিন ইমরান, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানসহ ঢাকাস্থ সুইডেনের দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করলেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব
জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনি বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বিকালে কক্সবাজারের খুরুস্কুলের জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নির্মিত বিশ্বের বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। এরপর আকাশ পথে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে সুইডেনের রাজকুমারী ভিক্টোরিয়ার।
গত ১৮ মার্চ ৫ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন তিনি। ঢাকায় সুইডেন দূতাবাস ও ইউএনডিপির তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর প্রিন্সেস ভিক্টোরিয়ার এটি প্রথম বাংলাদেশ সফর।
এর আগে ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
৯ মাস আগে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে জাপানের রাষ্ট্রদূত
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ক্যাম্প পরিদর্শনে যান তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রদূত একটি ই-ভাউচার আউটলেট, একটি জীবিকা দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও উৎপাদন কেন্দ্র এবং কুতুপালংয়ের একটি শিক্ষা কেন্দ্র এবং ক্যাম্প ৪ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন জাপানি অভিনেত্রী সাহেল রোজ।
শরণার্থী শিবিরগুলোতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে।
২০১৭ সালের আগস্টে ব্যাপক রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে, কক্সবাজারের পাশাপাশি ভাসান চরে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিওগুলোর মাধ্যমে ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে জাপান।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৫২ লাখ পাউন্ড সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
খাদ্য সহায়তা, স্বাস্থ্যসেবা, আশ্রয়, সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়েছে দেশটি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, ‘কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটি আমার পঞ্চম সফর, এবং আমি আইএসসিজি, ডব্লিউএফপি, ইউএনএইচসিআর ও ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানাই যারা এই সফরের আয়োজন করেছে। সাহেল রোজও এই সফরে এসেছেন। আমি আশা করি তিনি ক্যাম্পে যা দেখেছেন তা জাপানের লোকদের কাছে জানাবেন।’
তিনি আরও বলেন, এই সংকটের ছয় বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এই সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা অপরিহার্য।
রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে জাপান কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় জাপান
৯ মাস আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ড: চমেকে আরও ১ শিশুর মৃত্যু
একে একে মারা যাচ্ছে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ শিশুরা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে সোহেল (৫) নামে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এনিয়ে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিসাধীন চার শিশুর মৃত্যু হলো।
বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক শিশু ও দুই নারী। তারা হলেন- জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), আমেনা খাতুন (২৪)।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দগ্ধ ৯
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, সোহেল নামে আরও এক শিশু পিআইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ হওয়াসহ শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এর আগে শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাসানচরে দগ্ধ ৫ শিশুসহ ৭ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেল নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন। এছাড়া গত সোমবার ভোরে মোবাশ্বেরা ও সন্ধ্যায় রবি আলম নামে আরও দুই শিশু মারা যায়।
উল্লেখ্য গত (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। আহতদের চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মুদি দোকানে আগুনে পুড়ে কিশোর নিহত, দগ্ধ-২
৯ মাস আগে