প্রতিকূল সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি
২০২৩ সালে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি ৫.৫ শতাংশ
প্রতিকূল সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও নেটওয়ার্কে বিনিয়োগ ও কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে ২০২৩ সালে সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে গ্রামীণফোন।
মঙ্গলবার(৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে বলা হয়, গেল বছর গ্রামীণফোন লিমিটেড ১৫ হাজার ৮৭১ দশমিক ৬ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৫ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: খাঁচায় বন্দী পাখি: গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট ৮ কোটি ২০ লাখ গ্রাহক নিয়ে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ অথবা ৪ কোটি ৬৬ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, ‘সেবার মানোন্নয়ন এবং পরিপার্শ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে রাজস্ব ও ইবিআইটিডিএ উভয় ক্ষেত্রে আমাদের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। আমরা ডিজিটাল সক্ষমতার উপর গুরুত্বরোপ বৃদ্ধি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং টেকসই ভবিষ্যত গড়তে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের গ্রাহকদের সহজ, নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং সুখী জীবনে অবদান রাখতে নতুন আইওটি প্রোডাক্টস নিয়ে এসেছি।’
গ্রামীণফোনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, ‘চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন তার উন্নত নেটওয়ার্ক এবং গ্রাহককেন্দ্রিক সমাধানে বিনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে শক্তিশালী ফাইনান্সিয়াল পারফরমেন্স বজায় রেখেছে। ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, নেটওয়ার্ক নেতৃত্ব প্রসারিত করার মাধ্যমে টানা ১১ প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের লক্ষ্যণীয় আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএ-এর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে।’
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনে নতুন সিএফও ও সিআরও নিয়োগ
তিনি আরও বলেন, চতুর্থ প্রান্তিকে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাবস্ক্রিপশন ও ট্রাফিক রেভিনিউ ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে , যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৬ শতাংশ। মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং ফাইবার সংযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২ হাজার ৬০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম প্রসারণে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে গ্রামীণফোন (লাইসেন্স, ইজারা ও এআরও ছাড়া) ৩১৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার মূলধনী বিনিয়োগ করেছে।
২০২৩ সালে গ্রামীণফোন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা গ্রামীণফোনের মোট রাজস্বের ৭৭ শতাংশ।
কর, মূসক, শুল্ক, লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম বরাদ্দ ফি বাবদ এই অর্থ দিয়েছে অপারেটরটি।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোনের সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
১০ মাস আগে