মিয়ানমারের
বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে চান না পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনী সদস্যদের শিগগিরই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
কৌশলগত বিষয়ে কিছু না বলার শর্তে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে চাই না। নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত থাকায় এটি গোপনীয়। উভয় পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে যে তাদের শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের মিয়ানমারে ফেরার বিষয়ে তারা কাজ করছেন। "এটাই আমাদের অগ্রাধিকার। তারা (মিয়ানমার) তাদের ফিরিয়ে নিতে চায়।’
শুধু মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। এর আগে শতাধিক মানুষ ভারতে ঢুকে পড়েছিল এবং মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কর্মসূচি পুরোনো গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার নামান্তর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের আগমনের বিষয়ে তারা প্রতি মুহূর্তেই গণমাধ্যমকে জানায়। 'কোনো লুকোচুরির সুযোগ নেই'
তিনি বলেন, ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হোক তা আমরা কখনোই দেখতে চাই না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং তাদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কারণে নিরাপত্তা, জলবায়ু ও অবৈধ মাদকসংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ।
এদিকে মিয়ানমারের সিত্তেতে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট সেখানকার বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে অস্থায়ী ভিত্তিতে ইয়াঙ্গুনে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
ভারতে সদ্য সমাপ্ত প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, এই সফরে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে যে সম্মান দেখানো হয়েছে তা দেখে তিনি অভিভূত।
বিএনপি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পুরোনো গাড়ি চালু করতে সময় লাগে। ‘বিএনপি একটি পুরোনো গাড়ির মতো। সামান্য নড়াচড়া করার পর থেমে যায়।’
বিএনপি গণতান্ত্রিক পথে পরিচালিত হবে ও গণতন্ত্রের পথে চলবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আসলে গত জাতীয় নির্বাচনের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছে এবং তাদের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত বুধবার 'স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১' ও 'বিকশিত ভারত-২০৪৭' রূপকল্পসহ দুই দেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যৎ সম্পৃক্ততার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে ৭-৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা এক বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, 'আমাদের আলোচনা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী (বন্ধুত্ব) আরও দৃঢ় করবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদের প্রথম ভারত সফর এবং কোনো দেশে তার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হবে বে-টার্মিনাল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে অভাবনীয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১০ মাস আগে