মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব শান্তির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের প্রতিফলন : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত সপ্তাহে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে তার অংশগ্রহণ শান্তি, সার্বভৌমত্ব এবং সার্বিক বিশ্ব নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
সম্প্রতি মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ২০২৪-এ যোগ দিতে জার্মানির মিউনিখে তিন দিনের সফরের ফলাফল বিষয়ে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৫ ফেব্রুয়ারি মিউনিখ যান এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন।
মিউনিখে অবস্থানকালে তিনি সম্মেলনের ফাঁকে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
লিখিত বক্তব্যে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে সফল বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, তিনি বিশ্ব নেতাদেরকে বলেছেন, আকার নয়, একটি দেশের নীতির শক্তিই হচ্ছে রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক মুক্তির পথ।
এছাড়া বন্ধুপ্রতীম দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতা আরও দৃঢ় হয়েছে এবং সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২৪ অংশগ্রহণ নিয়ে ব্রিফ করছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ফ্রম পকেট টু প্ল্যানেট : স্কেলিং আপ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স' শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্যানেলে তিনি অবিলম্বে গাজা ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সব ধরনের শত্রুতা, অবৈধ দখলদারিত্ব ও নিরস্ত্র মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ওপর অমানবিক হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিরূপ প্রভাব যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরেও প্রভাব ফেলে।’
এ প্রসঙ্গে অর্থহীন অস্ত্র প্রতিযোগিতার অবসান ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস ও অর্থায়ন সহজলভ্য ও বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন,‘মানবতার অস্তিত্বের সংকটের মধ্যে আমি এই কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরেছি যে, ক্ষুদ্র স্বার্থ কেবল দুর্দশা নিয়ে আসে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়ন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে তিনি বিশ্ব নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বহুমুখী নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও জনগণের জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি, প্রতিশ্রুত তহবিলের প্রকৃত স্থানান্তর এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছি।’
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ঝুঁকি মোকাবিলায় ধনী দেশগুলোর রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং পারস্পরিক অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনার সময় রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই ও দ্রুত সমাধানে কাতারের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে পারস্পরিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এলএনজি সরবরাহ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সহিংসতা বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন নীতি ও অংশীদারিত্বের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গের (অ্যাক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গ) সঙ্গে বৈঠকে তিনি মধ্যম আয়ের দেশগুলোর অন্তর্ভুক্তিতে অবদানের আলোকে চলতি অর্থবছরে বাজেট সহায়তা হিসেবে বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত ছাড়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
উচ্চ-মধ্যম আয় ও উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত পথেও বিশ্বব্যাংকের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ করে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং গম, ভোজ্যতেল এবং অন্যান্য কৃষি পণ্য খাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহযোগিতার জন্য তাদের আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত দ্রুত সমাধানের কার্যকর উপায় খুঁজে বের করার জন্য আমি তাকে আহ্বান জানিয়েছি। আমরা গাজা উপত্যকার সংঘাত নিয়েও আলোচনা করেছি।’
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফর শেষে মিউনিখ থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরেছে: ওবায়দুল কাদের
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এবং সেখানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বহির্বিশ্বের একটি অংশ এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করেছিল।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, “আজও এই সংকটকালে বাংলাদেশের আমন্ত্রিত হওয়া এবং নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের গুরুত্ব তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন’- এমন জোরালো বিবৃতি দেওয়ার সাহস আগে কোনো নেতাই দেখাতে পারেননি।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দেশের আদর্শ ও সার্বভৌমত্বে আঘাত এবং মুক্তিযুদ্ধে আঘাত করার অভিযোগের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিবেক আছে- এমন কেউ এটা উচ্চারণ করতে পারে না। এ যেন পাগলের অসংলগ্ন প্রলাপ।
বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যা চিরন্তন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের রাজনীতিতে মিথ্যাচার অপরিহার্য। এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচারের ধারাবাহিকতা।
দ্রব্যমূল্য বাড়ছে- সরকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগে মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এমনকি তাদের কোনো নেতা-কর্মীও নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কথা বলার চেষ্টা করছেন তারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, আবার কিছু পণ্যের দাম কমছে। বাজারের ওঠানামা সবসময়ই থাকে।
আরও পড়ুন: উগ্রবাদের মূল উৎস বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ার কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে বলে সরকার এখানে কোনো উদাসীনতা দেখায়নি। প্রতিটি সংশ্লিষ্ট বিভাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’
মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সীমান্ত রক্ষায় বাংলাদেশ সব সময় সজাগ। মিয়ানমারে বিরাজমান অস্থিতিশীলতার ফলে সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে।
‘আমরা এজন্য প্রস্তুত আছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে’ বলে আশ্বস্ত করেন ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা শহরের বায়ুদূষণ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ রোধে বন ও পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। এরই মধ্যে তিনি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী করা হয়েছে: ওবায়দুল কাদের
৮ মাস আগে
জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জার্মানির মিউনিখের হোটেল বায়েরিসচার হোফের কনফারেন্স হলে তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন।
সম্মেলনে বিশ্বের সবচেয়ে জরুরি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নীতি নিয়ে পর্যালোচনার জন্য বিশ্বের নেতৃস্থানীয় ফোরাম ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ফোরামটির ৬০তম বার্ষিকী উদযাপনের সময় এবারের মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনটি হচ্ছে।
ইওয়াল্ড ভন ক্লেইস্ট কর্তৃক প্রতিষ্ঠার ছয় দশক পরে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন আবারও ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে জরুরি আন্তর্জাতিক সুরক্ষা উদ্বেগ নিয়ে আলোচনার জন্য সারা বিশ্বের শীর্ষ নীতি নির্ধারক এবং চিন্তাবিদদের একত্রিত করেছে।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানির পথে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছান, টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি তার প্রথম বিদেশ সফর।
এমএসসির উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদানের আগে তিনি হোটেল বায়েরিসচার হোফে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুল-রহমান আল-থানির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
এর আগে নারী রাজনৈতিক নেত্রীদের (ডব্লিউপিএল) প্রেসিডেন্ট সিলভানা কোচ-মেহরিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪ এ যোগ দিতে তিন দিনের সরকারি সফরে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট মিউনিখ সময় ১৬টা ৩৪ মিনিটে জার্মানির মুনচেন ফ্রাঞ্জ জোসেফ স্ট্রস বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে নারী জাগরণ ঘটেছে: প্রধানমন্ত্রী
গত মাসে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনকে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনার জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফোরাম হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি মিউনিখে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে জার্মান চ্যান্সেলর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানির পথে প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী ১৬ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠেয় ৬০তম মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে (নিরাপত্তা সম্মেলন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাতটি দেশ ও তিনটি আন্তুর্জাতিক সংস্থার শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ক্লাস নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ড. ক্রিস্টোফ হিউজেনের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানির উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, ৬০তম মিউনিখ সম্মেলনে প্রায় ৬০টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থা, গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, সরকারি এবং বেসরকারি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রায় পাঁচশত প্রতিনিধি থাকবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী আয়োজনে এবং ক্লাইমেট ফিন্যান্স সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন। এছাড়া জার্মান প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও উপস্থিত হবেন তিনি।
ড. হাছান বলেন, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রাটা, ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেতে ফ্রেডেরিকসেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমায়ার জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ভেনজা শুলজ, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এবং মেটা'র গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
সংলাপের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি আনয়নের মূলমন্ত্র নিয়ে বিগত ১৯৬৩ সাল থেকে জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এ সম্মেলনের ২০১৭ ও ২০১৯ সালের আসরে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জার্মানি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ। সেইসঙ্গে, একক দেশ হিসেবে জার্মানি বিশ্বে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং ইউরোপে সর্ববৃহৎ রপ্তানি বাজার।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয় বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এছাড়াও, তারা বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় জার্মানি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এবং মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায়, এ আয়োজনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইউরোপীয় নেতাদের পাশাপাশি জার্মান নেতাদের সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন জার্মানি সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. হাছান।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যাবেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে চারদিনের সরকারি সফরে যাত্রা করে সেদিন সন্ধ্যায় মিউনিখ পৌঁছাবেন।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উদ্দেশে মিউনিখ ত্যাগ করে ১৯ ফেব্রুয়ারি পৌঁছার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সম্মেলনের ক্লাইমেট সিকিউরিটি সংক্রান্ত প্যানেল এবং পররাষ্ট্র সচিব পিস অপারেশনস বিষয়ক আরেকটি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি হতাশা কাটিয়ে কোমর সোজা করে দাঁড়াক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ মাস আগে