ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ১৭ বছর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই ১৭ বছরে একজন দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল, উদ্ভাবনী ও সমস্যা সমাধানকারী নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজের দায়িত্বটা পালন করব এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হাতিরঝিলে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’ দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
‘স্টেপ ইন টু দ্য ফিউচার: রান ফর মিশন ২০৪১’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’ দৌড় প্রতিযোগিতা।
তিনি বলেন, স্মার্ট রান সম্পন্নের সময় যেমন ৭৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে, তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সময় ১৭ বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সকলের জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় সুস্থ স্বাভাবিক, বিশেষভাবে সক্ষম, নারী-পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ, গ্রাম-শহর সকলকেই এই স্মার্ট রানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজন সুস্থ-সবল, অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল চেতনার দেশপ্রেমিক স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট জাতি গড়ে তোলা ও মানুষের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ নিয়ে সচেতনতা এবং উৎসাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ সকাল ৬টায় হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারের সামনের অংশ হতে শুরু হয়ে পুরো হাতিরঝিল ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ঘুরে এম্ফিথিয়েটারে এসে দৌড় প্রতিযোগিতাটি শেষ হয়।
এসময় নারী, পুরুষ,পঞ্চাশ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি- এই চার বিভাগে সবমিলিয়ে ২ হাজার ৪১ জন অপেশাদার দৌড়বিদ অংশ নেন।
সাড়ে ৭ কিলোমিটার দুরত্বের দৌড় ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা ইভেন্টে অংশ নেন নারী-পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সের দৌড়বিদরা।
আর ১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে দৌড়ান প্রতিবন্ধী দৌড়বিদরা। চিপ টাইমিং সিস্টেমে ইভেন্টের বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়া: পলক
দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চার বিভাগে সবমিলিয়ে ১৯ জন বিজয়ীকে আর্থিক পুরস্কার, সনদপত্র ও মেডেল দেওয়া করা হয়।
পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন- মো. ইমরান হাসান, দ্বিতীয়- তোফায়েল আহমেদ, তৃতীয় - আশরাফুল আলম, চতুর্থ ও পঞ্চম হন যথাক্রমে- দ্বীপ তালুকদার এবং পলাশ শেখ।
নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন- হামিদা আক্তার জেবা, দ্বিতীয়- মোছাম্মাৎ সামিয়া, তৃতীয়- সাদিয়া শাওলীন সিগমা। চতুর্থ ও পঞ্চম হন যথাক্রমে- রিয়া আক্তার স্বর্ণা এবং হুমায়রা মনিশা।
পঞ্চাশোর্ধ্ব বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন -মো. ওয়াহাব খান, দ্বিতীয়- জসীম উদ্দীন, তৃতীয়- আমিনুর রহমান।
আর প্রতিবন্ধী বিভাগের ৩ ক্যাটাগরিতে (হুইল চেয়ার, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী) যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন হন- আবু রায়হান, শিহাব বিশ্বাস ও জান্নাতুল নাঈম এবং দ্বিতীয় - তানভীর হোসেন, আলম দেওয়ান ও তানজিম হাসান।
এছাড়া সকল দৌড়বিদদের রেস জার্সি ও মেডেল দেওয়া হয়।
স্মার্ট বাংলাদেশ রান ইভেন্টে অংশ নেয়া দৌড়বিদদের উদ্বুদ্ধ করতে সাড়ে ৭ কিলোমিটার বিভাগের দৌড়ে অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ৬৮ মিনিটে দৌড় শেষ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
১০ মাস আগে