ব্যবধান
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার-সোনালির দাম বেড়েছে ১০-৩০ টাকা
পবিত্র রমজান সামনে রেখে এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা।
গত রমজানের আগেও রেকর্ড দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে। তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২২৫ থেকে ২৩৫ টাকা। এক পর্যায়ে তা কেজিতে ২৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ২০০ টাকা। সেখান থেকে বেড়ে বর্তমানে হয়েছে ২২০ টাকা।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমবে ৩০-৪০ টাকা: ডিএনসিআরপি’র ডিজি
সোনালি মোরগের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যেখানে সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যদিও গত বছরের মতো ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। তবে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো মুরগির দামও বাড়ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৪৫ দিন আগে প্রতিটি ব্রয়লার মুরগি (১ দিন বয়সী) প্রায় ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লার মুরগির দাম সাধারণত প্রতি পিস ৩০ টাকা। এই বাড়তি দামের কারণে খামারে নতুন বাচ্চার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছেন চাষিরা।
যে কারণে বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে দাম বাড়ছে। গতবারের মতো এবারও শবে বরাত ও রমজানের আগে যাতে বাজারে কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে নজরদারি করতে হবে বলে মনে করছেন মুরগি ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার ইউএনবিকে বলেন, সব ধরনের মুরগির দাম বাড়ছে।
মাংস ও ডিমের দাম বাড়লে সরবরাহ কম থাকায় মুরগির দামও বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা কেজি, কমেছে ডিমের দাম
তিনি বলেন, ১ দিন বয়সী একটি বাচ্চার দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকায় উঠলে ব্যবস্থা নিতে হয়। চাষের খরচ দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।
বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রথমেই মুরগির বাচ্চা, ডিম ও মুরগির খাদ্য সরবরাহে অস্থিরতা দূর করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে খামারের মুরগির উৎপাদন ছিল ৩১ কোটি ৯৭ লাখ পিস।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ অর্থবছরে ক্রমান্বয়ে মুরগির উৎপাদন বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগ পর্যন্ত দেশে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতি কেজি ১৫০ টাকা। এরপর থেকে মুরগির বাজার ওঠানামা করছে। কখনো চাষিরা লোকসান দিচ্ছেন, আবার অনেক সময় ক্রেতাদের বেশি দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে।
গত বছর রমজানের ঠিক আগে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় দাম নির্ধারণের জন্য সরকার বড় চারটি মুরগি উৎপাদককে ডেকেছিল। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্তে বাজারে মুরগির দাম কমানো হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে দাম কমাতে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর গোশত আমদানি করতে চায় এফবিসিসিআই
৮ মাস আগে