বর্তমান সরকার
বর্তমান সরকারের সংস্কার অনুসরণ করে হবে ভবিষ্যৎ সংস্কার: ডা. মঈন খান
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বর্তমান সরকার যে সংস্কার করবে, আগামী দিনে সেগুলো আবার সংস্কার করা হবে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর মেহেরপাড়া ইউনিয়নের ভগিরথপুর ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত চারজনের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও আহত-নিহতদের জন্য দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. মঈন বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে নিশ্চয় তারা কিছু সংস্কার করবে এবং তারা কিছু কিছু সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, আজকে যে সংস্কার এ সরকার করবে, আগামী দিনে সেটাকে আবার সংস্কার করা হবে। সেসব সংস্কারই করা হবে, যেসব সংস্কার অত্যাবশ্যক।’
আরও পড়ুন: মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে: মঈন খান
তিনি বলেন, স্বেরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছর ধরে স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসন দিয়েছে এবং এক নায়কতন্ত্র কায়েম করেছে। তারা এদেশে হিংসা, প্রতিহিংসা, লুটপাট, অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতনের রামরাজত্ব কায়েম করেছিল।
মঈন খান বলেন, মানুষের মুখের ভাষা কেড়ে নিয়েছে তারা। মানুষের ভোটের অধীকার কেড়ে নিয়েছিল। ভোটের অধিকার ব্যতিরেখে কোনো দেশে গণতন্ত্র হতে পারে না। তারা মনে করেছিল এ দেশ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এটা হতে পারে না, এ দেশটির মালিক হচ্ছে দেশের আঠারো কোটি মানুষ। এই এঠারো কোটি মানুষ তাদের কথাবলার ও ভোটের অধীকার তারা ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।
মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এরফান আলী, মেহেরপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মনির, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহেন শাহ শানুসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সভা শেষে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়। পাশাপাশি নিহত আরিফুল ইসলাম রাব্বী, আব্দুর রহমান, আরমান মোল্লা এবং নাহিদের পরিবারকে দলের পক্ষ থেকে সহযোগিতার অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র সাফল্য অর্থ পাচার: মঈন খান
বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
২ মাস আগে
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনের গণঅবস্থান কর্মসূচি মঙ্গলবার শুরু হয়েছে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলো পৃথকভাবে সকাল ১০টায় চার ঘণ্টার এই কর্মসূচি শুরু করে, যা দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে।
বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যেই নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি একযোগে আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।
বিএনপি নেতারা বলেন যে ২০০৭ সালে সেই দিনে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে ১১ জানুয়ারির জন্য এই কর্মসূচি তৈরি করা হয়, দিনটি দেশে ‘এক-এগারো’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল এবং সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি পান তারা।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তারা (পুলিশ) যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে কর্মসূচি পালনের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে দায় তাদের (বিএনপি) নিতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকায় ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি মোড়ে এলডিপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বম ঐক্য এবং আরামবাগে গণফোরাম (মন্টু) কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতে বিএনপির সঙ্গে ডান-বামরা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় সচেতন: প্রতিমন্ত্রী
বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় সচেতন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি বক্তব্যে নদী রক্ষার কথা বলেন। এতে বুঝতে হবে বর্তমান সরকার নদী রক্ষায় কতটা সচেতন। কেননা শরীরে রক্ত চলাচলে যেমন শিরা উপশিরা প্রয়োজন তেমনি নদী দেশের সকল ধরণের প্রবাহ রাখতে সহযোগিতা করে।’
রবিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আয়োজিত 'রাইটস অব রিভার্স' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নদী রক্ষায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, নদীকে দখলমুক্ত করার জন্য আমরা যথাযথ চেষ্টা করছি। তবে নদী রক্ষা ও উদ্ধার কার্যক্রমে বেশ কিছু বাধা পেয়েছি। নদীর তীরে নদীর জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দিরের মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠা স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে আমরা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ বিষয়ে আমাদের সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ৩টি মেরিন একাডেমি স্থাপন করা হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণকে নদীমুখী করতে পারছি-এটা আমাদের সফলতা। সরকার গঠনের পর বলেছি নদীকে আলোচনায় আনতে হবে, নদী নিয়ে জনগণকে ভাবতে হবে জনগণ এখন নদী নিয়ে ভাবছে, নদীর সঙ্গে চলে এসেছে, এটা আমাদের সফলতা। বঙ্গবন্ধু জলাভূমি ও নদী নিয়ে কথা বলেছেন।
নদী ও জলাভূমি রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নদীর নাব্যতা রক্ষায় বঙ্গবন্ধু বিআইডব্লিউটিএ'র জন্য অনেকগুলো ড্রেজার সংগ্রহ করেছিলেন, সেগুলো এখনও সচল আছে এবং নাব্যতা রক্ষায় কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যা এবং নেনরাজবাড়ীর পাংশায় নদী খনন কাজে অংশ নিয়েছিলেন। নদী রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপগুলো নিয়ে কাজ করতে পারলে-আজকে নদীর নাব্য তা ও দূষণ নিয়ে কথা বলতে হতো না। এখন বাস্তবতা হলো-নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা কমে গেছে দূষণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়েছে।
খালিম মাহমুদ বলেন, নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করেছেন, ঢাকার চারপাশে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি গড়ে তোলা এবং ১৯৯৯ সালে দূষণরোধে প্রকল্প নেয়ার কথা বলেছিলেন, কিন্তু সেগুলো হয়নি, আরও বেশি দূষণ হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় নদী তীর দখলমুক্ত করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহস নিয়ে কাজ করছি, তিনি আমাদের উৎসাহিত করছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ'র মাধ্যমে ৯০ ভাগ নদীর জায়গা দখলমুক্তের কাজ হয়েছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিজ গোয়েন লুইস। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ড. আইনুন নিশাত। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান ও সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের প্রত্যেক গেইটে স্ক্যানার বসানো হবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দিব: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
ভারতের সাথে আরও দুটি ট্রেন চলাচলের কথা ভাবছে সরকার: রেলমন্ত্রী
বর্তমান সরকার ভারতের সাথে বাংলাদেশের আরও দুটি ট্রেন পরিচালনার কথা ভাবছে বলে বুধবার জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
৪ বছর আগে