বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
বিমানবন্দরে জমে থাকা কার্গো খালি করার নির্দেশ বিমানমন্ত্রীর
ইমপোর্ট কার্গো ভিলেজ ও বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন জমে থাকা কার্গো দ্রুত খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত কার্গো আমদানির পর দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দরে পড়ে আছে তা আইন ও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিলামের মাধ্যমে দ্রুত ডিসপোজ অফ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে সমবায় সমিতিকে সহযোগিতা করা হবে: বিমানমন্ত্রী
শনিবার (২৭ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
এছাড়াও, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমদানি করা কার্গো খালাস নিশ্চিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে প্রতি মাসে বৈঠকের মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনের নির্দেশনা দেন মুহাম্মদ ফারুক খান।
ফারুক খান আরও বলেন, ‘বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, ঢাকা কাস্টমস হাউস, বিমান, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে আমদানি করা পণ্যের দ্রুততার সঙ্গে খালাস নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে: বিমানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে কারো অবহেলা সহ্য করা হবে না। কোনো আমদানিকারক আমদানি করা পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খালাস না করালে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ভূঞা, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়, বেবিচক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: বিমানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
২ মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে: মন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বিমান তৈরি করা প্রতিষ্ঠান এয়ার বাস ও বোয়িংয়ের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। এছাড়া মূল্যায়ন কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার আগে পর্যন্ত বিমান কেনার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে না।’
রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ফারুক খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেট থেকেই আমাদের এটার জন্য অর্থায়ন করতে হবে। মনে করি আগামী এক থেকে দুই মাসের মধ্যে এটা শেষ হবে।’
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
কতটি বিমান কেন হচ্ছে- এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ১০টির মতো বিমান কেনার। সেটা নির্ভর করে, যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব এসেছে সেটার ওপর ভিত্তি করে তারা (মূল্যায়ন কমিটি) আমাদের কী রিপোর্ট করে। তবে অবশ্যই দুই থেকে চারটির মতো হতে পারে।’
বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি বিভিন্ন আমেরিকান কোম্পানির কথা বলেছেন, যারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। আগামীতে সেটা আরও সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী। আমিও তাকে জানিয়েছি যে আমরা যেভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে কেনাকাটা করি ইভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে সেভাবেই করব। সবসময় আমরা একটা ভালো প্রোডাক্ট নিতে চাই এবং আগামীতেও তাই নেব।’
তিনি বলেন, ‘আলোচনায় তিনি (রাষ্ট্রদূত) বোয়িংয়ের কথা বলেছেন। সেটা মূল্যায়ন করছি। মূল্যায়ন শেষে কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে, সেই কোম্পানি থেকে কেনার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরও নতুন বিমান কিনতে চাই। কারণ সেটা আমাদের জন্য প্রয়োজন। আপনার জানেন এ বিষয়ে বিভিন্ন এক্সপার্টদের নিয়ে একটি মূল্যায়ন কমিটি কাজ করছে।’
বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবী। আমরা দু'টার মধ্যে যেখান থেকে ভালো অফার পাব, সবকিছু মিলে যেটা ভালো হবে সেটা কিনব। এটা ঠিক যে এয়ার বাসও আমাদের ভালো অফার দিয়েছে।’
এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (রাষ্ট্রদূত) আজকেও আমাকে এ কথাটা বলেছেন। আমি বলেছি মিডিয়াতে যখন কোনো খবর আসে সেটা খবর হিসেবে দেখবেন। আপনি জানেন যে বাংলাদেশ সরকার এখনও এটাকে মুল্যায়ন করছে। কমিটি রিপোর্ট না দেওয়া পর্যন্ত ফাইনাল হবে না।’
বোয়িং থেকে বিমান না কিনলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। এমন একটা কথা আসছে- এ বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হবে কেন? আমাদের দিক থেকে এর কোনো কারণ দেখি না, আমেরিকার দিক থেকেও কারণ দেখি না।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা অতীতে অনেক বাংলাদেশি কেনাকাটায় অংশগ্রহণ করেছে, সেখানে অন্য কোনো কোম্পানিতে আমরা দিয়েছি। আমার মনে হয় এই কথাগুলো সাইড লাইনের। অবশ্যই আমেরিকান কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায়, একইভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন জায়গায় অফার দিচ্ছে। যেটাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হবে, সেটাই কেনা হবে।’
আরও পড়ুন: পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
৫ মাস আগে
থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সম্পন্ন: মন্ত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজের ৯৭ ভাগ সমাপ্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
ফারুক খান বলেন, ‘এ পর্যন্ত পরিদর্শনে যা দেখলাম সব মিলিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। এখন পর্যন্ত টার্মিনাল ভবনের ৯৭ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ৩ ভাগ বাকি আছে। এই তিন ভাগের মধ্যে কো-অর্ডিনেশন ও টেস্টিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়ে গেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘টার্মিনাল ভবনটির কাজ খুব সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন এই টার্মিনালকে ভালোভাবে পরিচালনার জন্য কর্মীদের প্রস্তুত করছে বলে আমি আশাবাদী।
এই বিমানবন্দর কবে চালু হতে পারে জানতে চাইলে বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা হাইলি টেকনিক্যাল একটা কাজ। এটা কোনোভাবেই পরিকল্পনা করে একদম টাইম মতো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। তবে আমি আশা করি কর্তৃপক্ষ যথাসময়েই এটি চালু করতে পারবে।’
নতুন টার্মিনালের সুযোগ সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য বিমানবন্দর থেকে এখানে চেক-ইন কাউন্টার, ইমিগ্রেশন কাউন্টার অনেক বড় করা হয়েছে। এখানে ৫৪টা ইমিগ্রেশন করা হয়েছে। আশা করছি সব বয়সি ও শ্রেণি পেশার লোকজন ভালো সার্ভিস পাবেন।
টার্মিনালের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী দ্বিতীয় রানওয়ে তৈরি হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান রানওয়েতে আইএলএস (ইন্সট্রুমেন্ট অব ল্যান্ডিং সিস্টেম) সিস্টেম উন্নত করা হচ্ছে। রাডারগুলো উন্নত করা হচ্ছে। তবে, দ্বিতীয় রানওয়ে নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা আছে। যেহেতু আশেপাশে অনেক বিল্ডিং হয়ে গেছে, আমরা দেখছি, কীভাবে দ্বিতীয় রানওয়ে চালু করা যায়।’
থার্ড টার্মিনালে লাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ের বিষয়ে ফারুক খান বলেন, ‘পৃথিবীর যেকোনো দেশে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা উন্নতি করার চেষ্টা করছি। আমাদের এখানে বর্তমানে প্রথম লাগেজ পেতে এখন ১৫ মিনিট লাগে, শেষেরটি পেতে প্রায় ৪০ মিনিট লাগে। এর উন্নতির জন্য আমরা ইক্যুইপমেন্ট কিনেছি। চেষ্টা করছি আরও দ্রুত দেওয়া যায় কি না।’
গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘জাপানের সঙ্গে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য জয়েন্ট ভেঞ্চারের কথা বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা নির্দিষ্টভাবে জানায়নি তাদের কোন প্রতিষ্ঠান যুক্ত হবে। আশা করছি তারা দ্রুতই এটি জানাবে।’
মালয়েশিয়া যাত্রীদের বিমান ভাড়া প্রসঙ্গে ফারুক খান বলেন, ‘যারা মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর সঙ্গে জড়িত, তারা এক মাস আগেই জানত যে ৩১ মে শ্রমিক পাঠানোর শেষ তারিখ। এখন বিমান প্রতিদিন মালয়েশিয়ায় তিন থেকে ৪টা করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আর, গতকাল মালয়েশিয়ার কিছু লোক ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ায় এয়ার কম্বোডিয়ার একটা এয়ারক্রাফট দিয়ে একটি চার্টাড ফ্লাইট পরিচালনার পারমিশন চেয়েছে, গতকালকেই আমরা তাদের পারমিশন দিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে বিমানের হজ ফ্লাইট চলছে, তবুও আমরা চেষ্টা করেছি সুযোগ দিতে।’
ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট কবে চালু হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইটের ব্যাপারে এফএএর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা কী চায়, সেটি এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।
এ বিষয়ে বিমানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আগেও মন্ত্রী থাকাকালীন যখন বোয়িংয়ের বিমান কিনেছি, তখনও আমরা বলেছিলাম নিউইয়র্কে আমাদের স্লট দিতে হবে। কিন্তু এটি বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা চেষ্টা অব্যাহত রাখছি।’
বিমানবন্দরে পার্কিং চার্জের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সিভিল এভিয়েশন নিজেদের টাকা দিয়েই তাদের পরিচালন ব্যয় ও উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করে থাকে। বাংলাদেশের মতো দেশে ৭টি বিমানবন্দর চালু আছে। এর মধ্যে ৩টি আন্তর্জাতিক। এমন না যে অন্যান্য দেশের তুলনায় পার্কিং চার্জ অনেক বেশি। তবুও, আমরা চেষ্টা করব যদি এটি কমানো যায়।
এর আগে মন্ত্রী নতুন এই টার্মিনালের ভবন ঘুরে দেখেন।
এ সময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৬ মাস আগে
উন্নত যাত্রীসেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া হবে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ব্যবসাবান্ধব নীতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, উন্নত যাত্রীসেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোহর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিমানমন্ত্রী আরও জানান, সরকার বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে ব্যাপক অবকাঠামোগত ও কারিগরি উন্নয়ন করা হয়েছে। এভিয়েশন শিল্পের কর্মীদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সের ফ্লিট সম্প্রসারণকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়: বিমানমন্ত্রী
ফারুক খান আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর সময়ে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশি কর্মীদের যে যত্ন নিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ। একই সঙ্গে প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের সচেতনতা প্রশংসার দাবিদার। আরও বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী সিঙ্গাপুরে কাজ করার সুযোগ পেলে দক্ষতা এবং নিষ্ঠা দিয়ে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করবে।’
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ডেরেক লোহ বলেন, ‘বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের খুব ভালো বন্ধু। ১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন খাতে কাজে নিয়োজিত আছে। বাংলাদেশি কর্মীরা খুব দক্ষ ও পরিশ্রমী। ভবিষ্যতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সিঙ্গাপুর বিবেচনা করবে।’
হাইকমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাবে রূপান্তরে সিঙ্গাপুর ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিতেও সিঙ্গাপুর আগ্রহী বলে জানান ডেরেক।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিতে হবে: বিমানমন্ত্রী
৭ মাস আগে
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় সংযুক্ত আরব আমিরাত
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করতে চাই। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প আমাদের দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর
এ সময় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এরই মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়েছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণেও নানাবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন, হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। যদি আমিরাত এই খাতে বিনিয়োগ করে তবে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেব। এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান সম্পর্কের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: ১৫ বছরে পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে দক্ষতা বেড়েছে: ফারুক খান
৯ মাস আগে
এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়ন অংশীদার হতে আগ্রহী রাশিয়া
বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ম্যানতিতস্কি রাশিয়ার এই আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে আমরা একটি অংশীদারিত্ব তৈরি করতে চাই। সেখানে কারিগরি সহায়তাসহ অন্য যেকোনো সহায়তা করতে আগ্রহী রাশিয়া।
আরও পড়ুন: হুমকি পেলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে প্রস্তুত রাশিয়া: পুতিন
এছাড়াও, উভয় দেশের পর্যটকেরা যাতে সহজেই যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতি বছর রাশিয়ার বিপুলসংখ্যক পর্যটক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে। সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে রাশিয়ার যেসব পর্যটক এখন কাছাকাছি দেশগুলোতে ভ্রমণ করেন, তারা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহী হবে। বাংলাদেশে রাশিয়ার পর্যটকের সংখ্যা বাড়লে তা এই দেশের পর্যটন শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।
এ সময় পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটের মধ্যে হওয়ায় আমরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তর করতে কাজ করছি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে। রাশিয়া বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পে রাশিয়ার মতো বন্ধু রাষ্ট্রের উন্নয়ন অংশীদার হতে চাওয়া ও ঢাকা-মস্কো সরাসরি ফ্লাইট চালুর আগ্রহকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মেনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনের অপার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। সারা দেশে পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে কাজ চলছে। ইতোমধ্যেই পর্যটন মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা এ বছরেই বাস্তবায়ন শুরু হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশি পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারসহ দেশের আরও বেশ কিছু জায়গায় নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করছি। রাশিয়ার পর্যটকদের আমরা বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’ পাশাপাশি, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে রাশিয়া বিনিয়োগ করলে তাদের সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থন দিতে ইউক্রেনে ৮০০টিরও বেশি ড্রোন পাঠাবে কানাডা
৯ মাস আগে
১৫ বছরে পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্পে দক্ষতা বেড়েছে: ফারুক খান
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেছে। এ সময়ে আমাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। উন্নয়নের এই ধারাকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন পর্যটনমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহর নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। নতুন নতুন রুট চালু করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা-রোম ফ্লাইট চালু হবে। পরে আরও নতুন রুট চালু করার জন্য নতুন এয়ারক্রাফট কেনার কথাও ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোও ভালো করছে।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে ফিলিপাইনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন ফারুক খান
মন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করার কাজ চলমান। এবছরই অক্টোবর মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে। নতুন রাডার স্থাপন করা হয়েছে। ফলে দেশের সমগ্র আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসায় আমাদের আকাশসীমা দিয়ে চলাচলকারী উড়োজাহাজ থেকে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। শীতকালে প্রায়ই কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশন করতে হয়। এই ডাইভারশন যাতে করতে না হয় তার জন্য আইএলএস সিস্টেম আপগ্রেড করা হচ্ছে।
এছাড়াও মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে যেকোনো ফ্লাইট ডাইভারশনের প্রয়োজন হলেও তা যেন দেশের ভেতরেই করা হয়। এজন্য শীতকালের ওই সময়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কাজের ফলে ইতোমধ্যেই দেশীয় পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এখন আমরা বিদেশি পর্যটক বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। দেশের পর্যটনের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। পুরাতন হয়ে যাওয়া বিভিন্ন পর্যটন স্থাপনা সংস্কার এবং এর কলেবর বৃদ্ধির জন্য দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগ বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।
১০ মাস আগে