ওয়ান হেলথ
সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে বিশ্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘ওয়ান হেলথের মধ্যে তিনটি বিষয় রয়েছে। মানবস্বাস্থ্য, প্রাণীস্বাস্থ্য ও পরিবেশ। মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হলে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে এবং পরিবেশ ভালো রাখতে হলে প্রাণীর স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে।’
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাকৃবিতে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে এসব কথা বলেন বাকৃবি উপাচার্য।
আরও পড়ুন: চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে আগামীকাল খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়
প্রাণীর স্বাস্থ্যের সঙ্গে ওয়ান হেলথকে সামঞ্জস্যপূর্ণ উল্লেখ করে বাকৃবি উপাচার্য বলেন, পুরো বিশ্বই ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।
এমদাদুল হক বলেন, সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে মানুষের আগে প্রাণীর রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকাল ৯টায় বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের আয়োজনে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
এবারের ভেটেরিনারি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- ‘পশু চিকিৎসক হলো অপরিহার্য স্বাস্থ্যকর্মী।’
বাকৃবি উপাচার্য আরও বলেন, জুনোটিক রোগ হলো এমন ধরনের সংক্রামক রোগ; যা মূলত প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়।
জুনোটিক রোগ ও প্রাণীর স্বাস্থ্যের ভূমিকা সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, জুনোটিক রোগ প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়। যেমন- অ্যানথ্রাক্স, ব্রুসেলোসিস, ম্যালেরিয়া, টক্সোপ্লাজমা, র্যাবিসসহ অনেক রোগ প্রাণী থেকে মানুষে এসেছে। কাজেই মানুষের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি প্রাণীর স্বাস্থ্যও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।
প্রাণীর স্বাস্থ্য রক্ষায় ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রাণীর স্বাস্থ্যের কথা এলেই কিন্তু ভেটেরিনারিয়ানদের কথা চলে আসে।
তিনি বলেন, ভেটেরিনারি সেক্টরকে আরও গুরুত্ব দিয়ে ঢেলে সাজানো উচিত। কারণ প্রাণীর স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে, সে দেশে মানব স্বাস্থ্যও রক্ষা করা সম্ভব না।
শোভাযাত্রায় আরও ছিলেন- ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আউয়াল, ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদসহ ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: পাবনায় প্রচণ্ড খরায় ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি, মাথায় হাত চাষিদের
৩ জেলায় বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ
৬ মাস আগে
‘ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান প্রয়োজন’
ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন করতে মানুষ, প্রাণী চিকিৎসক ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়া স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠিত হলে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন সহজ হবে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩০তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ওয়ান হেলথ, স্মার্ট বাংলাদেশ ও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দিতে হবে। ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলী অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, স্মার্ট পাঠ্যক্রম, স্মার্ট গ্রাজুয়েট ও স্মার্ট খামারির মাধ্যমে দেশের কৃষির উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন:কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি: বাকৃবি অধ্যাপক
তিনি আরও বলেন, বিএসভিইআর ভেটেরিনারি শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে কাজ করে। স্মার্ট ভেটেরিনারিয়ান তৈরিতে ভেটেরিনারি শিক্ষাকে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রমের আওতায় আনতে হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় 'স্মার্ট ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ান হেলথ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সম্মেলনে প্রাণীর বিভিন্ন রোগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থাপিত এসব পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ থেকে যে ফলাফল পাওয়া যাবে স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠা করতে তা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিএসভিইআরের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম।
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন- বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) সিনিয়র বিশেষজ্ঞ নারেশ চন্দ্র দেব বার্মা, ইন্টার এগ্রোভেট বিডি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান।
অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম বলেন, আন্তর্জাতিক কর্মবাজারে আমাদের ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের প্রতিষ্ঠিত হতে হলে দক্ষতা সমপন্ন হতে হবে। দক্ষতায় ঘাটতি থাকার কারণেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ গ্রাজুয়েটই বেকার।
তিনি আরও বলেন, তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলি অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
ওয়ান হেলথ সম্পর্কে ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান বলেন, ওয়ান হেলথ একটি পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদ্ধতি যা মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য তিনটি বিষয়েই আলোকপাত করে।
তিনি বলেন, সফল জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য এমন এক স্বাস্থ্য পদ্ধতির প্রয়োজন যা মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বছর বিএসভিইআর সম্মেলনে অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলমকে ‘বার্ষিক লেকচার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি
৮ মাস আগে
স্মার্ট ভেটেরিনারি ও ওয়ান হেলথ নিশ্চিতকরণে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন
দেশের ৬১ শতাংশ রোগ প্রাণী থেকে মানুষে ও মানুষ থেকে প্রাণীতে ছড়ায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উচ্চশিক্ষা ও গবষেণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান।
তিনি জানান, তাই ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। এ লক্ষ্যে মানুষ, প্রাণী চিকিৎসক ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একযোগে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন বিভাগের সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি অ্যাডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩০তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এবারের বৈজ্ঞানিক সম্মেলনরে প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ান হেলথ’ ।
আরও পড়ুন: দেশের প্রথম গয়াল-ইল্যান্ডের কঙ্কাল তৈরি করলেন বাকৃবি অধ্যাপক
অধ্যাপক আবু হাদী বলেন, ভেটেরিনারি শিক্ষায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সারা বিশ্বে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রায় ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও দুইটি ভেটেরিনারি কলেজ বাকৃবিকে অনুসরণ করে ভেটেরিনারি ডিগ্রি প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখনো ডিজিটাল ও স্মার্ট ভেটেরিনারি পাঠ্যসূচি প্রণয়ন সম্ভব হয়নি। বিএসভিইআর সম্মেলনে সম্মানিত অতিথিদের কাছ থেকে ডিজিটাল ও স্মার্ট ভেটেরিনারি বিনির্মানের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা পাওয়া যাবে এবং তা সরকার ও সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হবে।
এছাড়াও দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হবে, যা দেশের প্রাণিসম্পদের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে।
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলন আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনটিতে দেশের ৪০০ জন ভেটেরিনারি গবেষক, শিক্ষাবিদ, মাঠপর্যায়ের ভেটেরিনারিয়ান, উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকরা অংশ নেবেন।
বিএসভিইআর এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম জানান, সম্মেলনে একটি বার্ষিক বক্তৃতাসহ দুইটি পূর্ণাঙ্গ বক্তৃতা, একটি মূল প্রবন্ধ, ৬৮টি মৌখিক গবেষণা প্রবন্ধ এবং ৭৮টি পোস্টার উপস্থাপন করা হবে।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসভিইআরের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম গোলাম শাহি আলম।
প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত) ড. নাথু রাম সরকার, রেনাটা লিমিটেডের এনিমেল হেলথ ডিভিসনের প্রধান মো. সিরাজুল হক, ইন্টার এগ্রোভেট বিডি'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ কে এম খসরুজ্জামান।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিকৃবির সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ অ্যাক্রিডেটশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক এম গোলাম শাহী আলমকে ‘অ্যানুয়াল লেকচার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: উদ্যোক্তাবান্ধব গবেষণায় দেশসেরা বাকৃবি
বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি
৮ মাস আগে