পরিবেশ বিজ্ঞানী
‘ওয়ান হেলথ বাস্তবায়নে দক্ষ ভেটেরিনারিয়ান প্রয়োজন’
ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন করতে মানুষ, প্রাণী চিকিৎসক ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একযোগে কাজ করতে হবে। এছাড়া স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠিত হলে ওয়ান হেলথ বাস্তবায়ন সহজ হবে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (বিএসভিইআর) ৩০তম বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, ওয়ান হেলথ, স্মার্ট বাংলাদেশ ও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারিয়ানদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে নজর দিতে হবে। ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলী অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, স্মার্ট পাঠ্যক্রম, স্মার্ট গ্রাজুয়েট ও স্মার্ট খামারির মাধ্যমে দেশের কৃষির উন্নয়ন সম্ভব।
আরও পড়ুন:কেবল দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর রঙিন ফুলকপি: বাকৃবি অধ্যাপক
তিনি আরও বলেন, বিএসভিইআর ভেটেরিনারি শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে কাজ করে। স্মার্ট ভেটেরিনারিয়ান তৈরিতে ভেটেরিনারি শিক্ষাকে যুগোপযোগী পাঠ্যক্রমের আওতায় আনতে হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় 'স্মার্ট ভেটেরিনারি এডুকেশন অ্যান্ড ওয়ান হেলথ’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে দুই দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সম্মেলনে প্রাণীর বিভিন্ন রোগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা এবং এ সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
উপস্থাপিত এসব পোস্টার, পেপার, মৌখিক গবেষণা ও প্রবন্ধ থেকে যে ফলাফল পাওয়া যাবে স্মার্ট ভেটেরিনারি প্রতিষ্ঠা করতে তা নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বিএসভিইআরের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম।
সম্মেলনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন- বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) সিনিয়র বিশেষজ্ঞ নারেশ চন্দ্র দেব বার্মা, ইন্টার এগ্রোভেট বিডি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান।
অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলম বলেন, আন্তর্জাতিক কর্মবাজারে আমাদের ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের প্রতিষ্ঠিত হতে হলে দক্ষতা সমপন্ন হতে হবে। দক্ষতায় ঘাটতি থাকার কারণেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ গ্রাজুয়েটই বেকার।
তিনি আরও বলেন, তাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভেটেরিনারি গ্রাজুয়েটদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পারিক সহযোগিতা, নেতৃত্ব গুনাবলি অর্জন, দলগত কাজ সমন্বয় করার দক্ষতা ও বেসিক ডিজিটাল স্কিল অর্জন করতে হবে।
ওয়ান হেলথ সম্পর্কে ডা. এ. কে. এম খসরুজ্জামান বলেন, ওয়ান হেলথ একটি পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদ্ধতি যা মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশগত স্বাস্থ্য তিনটি বিষয়েই আলোকপাত করে।
তিনি বলেন, সফল জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য এমন এক স্বাস্থ্য পদ্ধতির প্রয়োজন যা মানুষ এবং প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভেটেরিনারিয়ানদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ বছর বিএসভিইআর সম্মেলনে অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহি আলমকে ‘বার্ষিক লেকচার অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ৬ দফা দাবি
৯ মাস আগে