মার্কিন প্রতিনিধি দল
ঢাবি ভিসির সঙ্গে শিক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলের আলোচনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলর স্টিফেন এফ ইবেলির নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদার, বৃত্তির সুযোগ বৃদ্ধি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থী বিনিময় জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি শিবির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন স্কট হার্টম্যান, রায়হানা সুলতানা ও দূতাবাসের জোনাথ গোমেজ। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চলমান সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদারের সুযোগ অনুসন্ধান করেন। সাক্ষাৎকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকান কর্নার স্থাপন, ফুলব্রাইট স্কলারশিপ প্রোগ্রাম বাড়ানো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে উদ্যোক্তা ও ইংরেজি ভাষার দক্ষতা কর্মসূচি প্রণয়নের মতো দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়ের পাশাপাশি আমেরিকান সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তথ্য ও উপাত্ত বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য নতুন আবাসিক হল নির্মাণে প্রতিনিধিদলের আর্থিক সহায়তা ও সহযোগিতা কামনা করেন। তারা অনুরোধটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন বলে উপাচার্যকে আশ্বস্ত করেন প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: তিন মাস পর ক্লাসে ফিরলেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
১ মাস আগে
আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে চাই: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করে তাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় সৃষ্টির আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দিক থেকেই সদিচ্ছা আছে। একসঙ্গে আমরা আমাদের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চাই।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় চায়, এটি একটি বড় বিষয়।
সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে জনগণ উপকৃত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরাও তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।’
প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন।
এইলিন লুবাখার তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার এবং ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতার উপায় নিয়ে আলোচনা করে আমরা আনন্দিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: ভারপ্রাপ্ত উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কট উরবম
তিনি আরও বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।’
বৈঠক শেষে মার্কিন দূতাবাস এক পৃথক বার্তায় বলে, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা, শরণার্থী, জলবায়ু, শ্রম ও বাণিজ্যসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি।’
এতে বলা হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাঁচটি পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশ অনুসরণ করবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করেছে। ‘আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি রাশেদ চৌধুরী প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তারা মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। মার্কিন পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের অধীনে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজার কারসাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিন মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে 'কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পারস্পরিক স্বার্থের অগ্রগতির জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এগিয়ে নেওয়ার উপায় নিয়ে আলোচনা করতে' সফর করছেন।
তারা পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শ্রমিক নেতা, যুব কর্মী এবং মুক্ত ও অবাধ গণমাধ্যম তৈরির কাজে নিয়োজিতদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও গভীর ও সম্প্রসারিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে চিঠি দিয়েছেন তা দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পত্রের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর লেখা পত্রের একটি কপি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী লুবাখারকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতীয় নির্বাচনের পর ৮ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, 'অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নিতে, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে প্রতিনিধিদলের একাংশ পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ দিন দুপুরে আসিয়ান দেশগুলোর ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী জানান, আসিয়ানের পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি ও এই জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা বৈঠকে অংশ নেন।
৮ মাস আগে