কম
জলবায়ু সংকটে ব্রাজিলে ২০২৪ সালে শস্য উৎপাদন কমবে ৫.৯ শতাংশ
খারাপ আবহাওয়ার কারণে ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি অংশে ২০২৪ সালের শস্য উৎপাদন ২০২৩ সালের তুলনায় ৫ দশমিক ৯ শতাংশ কমে যাবে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলিয়ান ইনস্টিটিউট অব জিওগ্রাফি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকস (আইবিজিই)।
বৃহস্পতিবারের (১৩ জুন) আইবিজিইর প্রতিবেদন অনুসারে, আবাদি জমি দশমিক ৬ শতাংশ বাড়া সত্ত্বেও এই বছর খাদ্যশস্য, শিম ও তেলবীজের উৎপাদন মোট ২৯৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা গত বছরের ফসলের চেয়ে ১৮ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন কম।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৩৯, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক
সরকারি এই সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘উৎপাদন কমে যাওয়ার এই চিত্র ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ঘটে যাওয়া জলবায়ু সমস্যার প্রভাবকে তুলে ধরে। ফসল রোপণ এবং মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কম হওয়া থেকে শুরু করে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে কিছু ফসলের চক্রকে সংক্ষিপ্ত করে এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে ফেলে।’
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির শীর্ষ তিনটি কৃষি পণ্য হলো ধান, ভুট্টা ও সয়াবিন। এটি আনুমানিক মোট উৎপাদনের ৯১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং চাষ করা জমির ৮৭ দশমিক ২ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।
এতে আরও বলা হয়েছে, আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে সয়াবিন ও ভুট্টা উৎপাদন উভয়ই হ্রাস পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে চলতি ২০২৪ সালে কম উৎপাদনশীলতার দিকে পরিচালিত করবে এটি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছে ব্রাজিল
৬ মাস আগে
চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম
চাঁদপুরের মাছ বাজারগুলোতে ইলিশ বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এছাড়া জেলেরা ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ নিয়ে আসছে চাঁদপুর মাছঘাটে।
এদিকে নদীতে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় মাছের আড়ত ও বাজারগুলোতে গত দুই থেকে তিন দিন ধরে দাম কমের দিকে।
ইলিশ মাছের দাম কমায় ইলিশ প্রিয় ভোজন রসিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: গবেষণা করে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
এদিকে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজির ইলিশ মাছ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় এবং ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এছাড়া ছয় থেকে সাত দিন আগেও এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হতো ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
জেলা শহরের ব্যস্ততম বিপনীবাগ মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন মিজি, সাজাহান সরদার, জাকির হোসেন, জলিল মিয়া ও আ. হামিদ বাবু জানান, এসব ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মার ও দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ভোলার, চরফেশন, হাতিয়া, লালমোহন, নোয়াখালী বরগুনা ও স্বন্দীপের। এছাড়া পাল বাজার, নতুনবাজার, পুরানবাজার, ওয়ারলেসবাজার, বাবুরহাট, বহরিয়া, আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে একই দামে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
শহরের পুরানবাজারের গরিব-দুঃখীদের বাজার নামে খ্যাত ‘বউ বাজারে’ একটু নরম বা রিজেক্টেড ইলিশ মাছ সস্তায় (৩০০/৪০০/৫০০ টাকা) পাওয়া যায়।
মাছ ব্যবসায়ী আ. সোবহান, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা খান ও খোকন মিয়া জানান, চাঁদপুরে ঝকঝকে সাদা পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ খুব কম। বলতে গেলে ১০ শতাংশ। এদিকে শনিবার সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ পদ্মার ইলিশ আমদানি হয়েছে এ মাছ ঘাটে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবেবরাত সরকার বলেন, এখনো ইলিশের সিজন শুরু হয়নি। শুরু হবে ঈদের পরে। তাছাড়া, এখন বৃষ্টি নেই। তাই নদীর স্রোত কম, স্রোতের উল্টোদিকে ইলিশ বেশি বেশি আসে, নদীতে এখানে সেখানে চর জেগেছে, নদীর পানির গভীরতা কম, তাই সাগর থেকে ইলিশ স্রোতের উল্টাদিকে এদিকে (চাঁদপুরের দিকে) তেমন আসছে না। নদীর পানির নিচে চর জেগে উঠায় বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইলিশ ওদের বিচরণের পথ পাল্টেছে।
মুন্সীগঞ্জের ব্যাংক অফিসার মিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, তিনি স্ত্রী ও সন্তানসহ চাঁদপুরে নদীর মোহনায় সারাদিন ঘুরেছেন এবং টাটকা ইলিশ দিয়ে দুপুরে ভাত খেয়েছেন। বিকালে চারটি টাটকা ইলিশ কিনে ফিরছেন সন্ধ্যার লঞ্চে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার বলেন, শনিবার সারাদিনে মাছ ঘাটে প্রায় ৫০০ মণ ইলিশ মাছ এসেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা থেকে। চাঁদপুরের পদ্মা নদীর মাছ খুবই কম। সারাদিনে প্রায় ১০০ মণ ইলিশ মাছ ঘাটে এসেছে। দাম কেজি ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার টাকা।
একজন ইলিশ বিক্রেতা বলেন, দক্ষিনাঞ্চলীয় জেলা থেকে ইলিশ মাছের আমদানি বাড়লে পদ্মার ইলিশের দাম আরও কমবে।
চাঁদপুরের ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, এবার ইলিশের সিজন এখনো শুরু হয়নি। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ইলিশ বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। নদীকে বাঁচাতে হবে। পরিকল্পিত ড্রেজিং করতে হবে, নদী থেকে যত্রতত্র বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নদীর পানির দূষণ রোধে বাস্তব পরিকল্পনা জরুরি। নদী দূষণে ইলিশ মাছ স্বস্তি পায় না, ফিরে যায়। বৃষ্টি কম হলে নদীর পানির গভীরতাও কম থাকে। ইলিশ তো গভীর পানির মাছ।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০৬ মণ ইলিশ ও জাটকাসহ বিভিন্ন জাতের মাছ জব্দ
৬ মাস আগে
জাপানে সবচেয়ে কম শিশু জন্মহার ২০২৩ সালে, কমেছে বিয়ের হারও
জাপানে টানা অষ্টম বছরের মতো গত বছর শিশুর জন্মহারের সংখ্যা কমে নতুন করে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত সরকারি তথ্যে এই বিষয়টি উঠে এসেছে।
দেশেটির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী ছয় বছরে এই প্রবণতা বিপরীতমুখী করা দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালে জাপানে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩১ শিশুর জন্ম হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ১ শতাংশ কম। ১৮৯৯ সালে জাপান এই পরিসংখ্যান সংকলন শুরু করার পর থেকে এটিই সর্বনিম্ন জন্মহারের রেকর্ড।
পরিসংখ্যানে দেখা যায় বিয়ের সংখ্যা কমেছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ফলে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৮১ দম্পতিতে দাঁড়িয়েছে, যা বিগত ৯০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো অর্ধ মিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে। এটি শিশু জন্মহার কমার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে পিতৃতান্ত্রিক ঐতিহ্যের উপর ভিত্তিতে এবং পারিবারিক মূল্যবোধের কারণে জাপানে বিবাহবহির্ভূত সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা বিরল।
জরিপে দেখা গেছে, অনেক তরুণ জাপানিরা বিয়ে বা পরিবার গঠনে অনীহা প্রকাশ করে থাকেন। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে চাকরির সম্ভাবনা কম থাকায় তারা নিরুৎসাহিত হন। এছাড়া আয়ের চেয়ে জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয় দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া এবং কর্পোরেট সংস্কৃতি- যা বাবা-মা উভয়েরই কাজ করার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন কারণও উল্লেখযোগ্য। এমনকি কান্নাকাটি করা শিশু এবং শিশুদের বাইরে খেলাধুলা করা ক্রমবর্ধমানভাবে একটি উপদ্রব হিসাবে বিবেচিত হয় তাদের কাছে। এর বাইরে অনেক তরুণ বাবা-মা বলেন যে তারা প্রায়শই বিচ্ছিন্ন বোধ করেন।
চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিমাসা হায়াশি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, চলমান নিম্নগামী জন্মহার 'সংকটজনক অবস্থায়' রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আগামী ছয় বছর বা ২০৩০ সাল পর্যন্ত তার বেশি সময় তরুণ জনসংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করবে, তখন আমরা এই প্রবণতা বিপরীত করতে সক্ষম হতে পারি। 'নষ্ট করার মতো সময় নেই।'
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা নিম্ন জন্মদানকে 'জাপানের সবচেয়ে বড় সংকট' বলে অভিহিত করেছেন এবং একটি প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন যার মধ্যে বেশিরভাগ প্রসব, শিশু এবং তাদের পরিবারের জন্য আরও সহায়তা এবং ভর্তুকি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবার আপিল খারিজ, জাপানি ২ শিশু থাকবে মায়ের জিম্মায়
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সরকারের এই প্রচেষ্টা কার্যকর হবে কি না তা নিয়ে তারা সন্দিহান। কারণ, এখন পর্যন্ত তারা মূলত এমন লোকদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে যারা ইতোমধ্যে বিবাহিত বা ইতোমধ্যে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে বিয়েতে বা পরিবার গঠন করে সন্তান নিতে অনাগ্রহী তরুণদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে যথেষ্টভাবে সম্বোধন করা হয়নি ওই প্রণোদনা কর্মসূচিতে।
জন্মহারের সংখ্যা বিগত ৫০ বছর থেকে কমছে। এই সংখ্যাটি প্রায় ২১ লাখে পৌঁছেছিল। বার্ষিক সংখ্যা ৭ লাখ ৬০ হাজারের নিচে নেমে আসার ঘটনা আগের পূর্বাভাসের চেয়ে দ্রুত ঘটেছে, যা ২০৩৫ সালের মধ্যে ঘটার কথা ছিল।
২০৭০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ কমে জাপানের জনসংখ্যা ১২ কোটি ৫০ লাখের বেশি থেকে ৮ কোটি ৭০ লাখে দাঁড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই জনসংখ্যার মধ্যে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জনের বয়স হবে ৬৫ বা তার বেশি।
অন্যদিকে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা মোকাবিলায় দেশটি তার সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করায় অর্থনীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি নিম্নমুখী এবং বয়স্ক জনসংখ্যার ব্যাপক চাপে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে জন্মহার কমলেও জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ছাড়াল
৯ মাস আগে