আটকা
সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক
পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা না আসা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দুটি দলের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ফলে সাজেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
আঞ্চলিক এই দলের গোলাগুলির ১ জন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত দলের ইপিডিএফ দুই অঞ্চলিক দল দফায় দফায় গোলা বর্ষণ করেছে। তবে আঞ্চলিক দুই দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক জনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: সাজেক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল জেলা প্রশাসন
সাজেকে আটকা পড়া চালকরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি সাজেক গিয়েছে। এই গাড়িগুলোতে করে আসা প্রায় ৪ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছে।
দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গোলাগুলির ঘটনা আরও বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকালে কোনো পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই গোলাগুলির ঘটনার কারণে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন।
রাঙ্গামটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদে আজ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এক মাসেরও বেশি সময় পর খুলে দেওয়া হলো সাজেক পর্যটন কেন্দ্র
২ সপ্তাহ আগে
‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’-মৃত্যুর আগে লামিসা
‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’- রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বুয়েট শিক্ষার্থী লামিসা তার বাবা পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (সদর) নাসিরুল ইসলাম শামীমকে কল দিয়ে শেষ বারের মতো এই অনুরোধ করেছিলেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) লামিসার চাচা রফিকুল ইসলাম সুমন লামিসার এ আকুতির কথা জানান গণমাধ্যমকর্মীদের।
চাচা রফিকুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বইমেলা ঘুরে বান্ধবীদের সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে যান লামিসা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন হিমাগারে আগুন
সেখানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলে লামিসা তার বাবাকে ফোন করে বলেন- ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও।’
এরপর আর কোনো কথা হয়নি লামিসার সঙ্গে। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও লামিসার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, ছোট বেলা থেকেই খুবই শান্ত প্রকৃতির মেয়ে লামিসা। ওর মা আফরিনা মাহমুদ মিতু ২০১৮ সালে মারা যান।
চাচা বলেন, ‘বড় বোন হিসেবে সবার খেয়াল রাখত লামিসা। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে থেকে এসএসসি ও হলিক্রস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে লামিসা বুয়েটে ভর্তি হন। তিনি মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
লামিসা দুই বোনের মধ্যে বড়। ছোট বোন রাইসা এ বছর ভিকারুননিসা কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
ঢাকার অফিসার্স ক্লাবে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন নাসিরুল ইসলাম।
এদিকে লামিসার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে বইছে শোকের মাতম। শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে তার লাশ শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলীর বাড়িতে আনা হয়।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিসের ডিজি
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: প্রিয়ন্তীর স্বপ্ন পুড়ে ছাই
৯ মাস আগে