বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪ জনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার ও চা চুমুকের দুই মালিকসহ চারজনের প্রত্যেকের দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার(২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে আসামিদের আদালতে হাজির করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনছার মিলটন রিমান্ড আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকা হলো না পটুয়াখালীর জুয়েলের
আসামিরা হলেন- কাচ্চি ভাইয়ের ম্যানেজার জিসান, চা চুমুকের মালিক আনোয়ারুল হক ও শাকিল আহমেদ রিমন এবং গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুল।
সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি এফবিসিসিআইয়ের
৮ মাস আগে
বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪৬টির মধ্যে ৩৯টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
ঢাকার বেইলি রোডে বৃহস্পতিবার রাতে বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৩৯ জনের মরদেহ শনাক্ত করে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অজ্ঞাত মরদেহের মধ্যে ছয়টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এবং একটি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রাখা হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ এসব লাশ দাবি করেনি। শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।
অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন ছিল বেইলি রোডের আগুনে নিহত বৃষ্টির
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার বেইলি রোডের সাততলা গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৬ নারী ও তিন শিশুসহ ৪৬ জন নিহত এবং ২২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে যাদের শনাক্ত করা হয়েছে তারা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জহিরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৫), ঢাকার বংশালের মোসলেম ছেলে নুরুল ইসলাম (৩২), ঢাকার প্রাণ নাথ রায়ের মেয়ে পপি রায় (৩৩), ঢাকার যাত্রাবাড়ীর শিপন পোদ্দারের সন্তান সম্পূর্ণা পোদ্দার (১১) ও সংকল্প সান (৮); ঢাকার পুরাতন পল্টনের মো. আলীর মেয়ে নাজিয়া আক্তার (৩১), একই এলাকার সায়েক আহমেদের ছেলে আরহান মোস্তাক আহমেদ (৬), মতিঝিলের কবির খানের মেয়ে মাইশা কবির মাহি (২১) ও মেহরা কবির দোলা (২৯)।
কুমিল্লার মুরাদনগরের জয়ন্ত কুমার পোদ্দারের মেয়ে সম্পা সাহা (৪৬), নারায়ণগঞ্জের আমজাদ হোসেনের ছেলে শান্ত হোসেন (২৪), ঢাকার কাকরাইলের কুরবান আলীর মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন রিয়া (২২), একই এলাকার গোলাম মহিউদ্দিনের মেয়ে জান্নাতী তাজরিন নিকিতা (২৩)।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এ ছাড়া ঢাকার রমনার জউরা ইসলামের মেয়ে লুৎফুর নাহার করিম (৫০), মাদারীপুরের জাকির হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জিহাদ (২২), যশোর সদরের কবির হাসানের ছেলে কামরুল ইসলাম (২০), ভোলার মাইনুল হকের ছেলে দিদারুল হক (২৩), মৌলভীবাজারের ফজলুল রহমানের ছেলে অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম (৬৫), টাঙ্গাইলের মোয়াজ্জেম মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২৭), কুমিল্লা সদরের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নুসরাত জাহান শিমু (১৯), ঢাকার মগবাজারের সৈয়দ মোবারক কায়সার (৪৮) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৪০), তাদের সন্তান সৈয়দা ফাতেমা-তুজ-জোহরা (১৬), সৈয়দা আমেনা আক্তার নূর (১৩) ও সৈয়দ আবদুল্লাহ (৮), মুন্সিগঞ্জ সদরের আওলাদ হোসেনের মেয়ে জারিন তাসমিন প্রয়তি (২০), ঢাকার গুলশানের ইসমাইল গাজীর ছেলে জুয়েল (৩০), উত্তম কুমার রায়ের স্ত্রী রুবি রায় (৪৮) ও মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রায় (১৮), ঢাকার মালিবাগের বেসরকারি চাকরিজীবী ঝালকাঠি জেলার বাসিন্দা তুষার হাওলাদার (২৩), পাবনার তালেব প্রামাণিকের ছেলে সাগর হোসেন (২৪), পিরোজপুরের নুরুল আলমের মেয়ে তানজিলা নওরিন (৩৫), শেরপুরের ফজর আলীর ছেলে শিপন (২১), ঢাকার কাকরাইলের ফোরকানের মেয়ে আলিশা (১৩)।
বরিশালের রিয়াজুল আমিনের ছেলে বুয়েট শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন (১৯), নাসিরুল ইসলাম শামীমের মেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী লামিশা ইসলাম মাহি (২০), বরগুনার নান্টুর ছেলে মো নাঈম (১৮), ভোলা সদরের সিরাজের ছেলে মো. নয়ন (১৭) এবং নোয়াখালীর সেনবাগের আবুল খায়েরের ছেলে আসিফ (২৫)।
আরও পড়ুন: ‘বাবা আমি আটকা পড়েছি, আমাকে বাঁচাও’-মৃত্যুর আগে লামিসা
৮ মাস আগে