কয়েলের আগুন
ঝিনাইদহে কয়েলের আগুনে পুড়ল কৃষকের ৪ মহিষ
ঝিনাইদহ উপজেলার সুতলিয়া গ্রামে মশার কয়েল থেকে আগুন লেগে পুড়ে মারা গেছে কৃষকের চারটি মহিষ।
রবিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে স্ত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে, শ্বাশুড়ি গ্রেপ্তার
স্থানীয়রা জানায়, কৃষক হোসেন আলীর গোয়ালঘরে আগুন লেগে মুহূর্তেই আগুন পুরো গোয়ালঘরে ছড়িয়ে পড়ে। টের পেয়ে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে মারা যায় কৃষকের চারটি মহিষ। এ সময় দগ্ধ হয় আরও একটি গরু। এতে কৃষকের প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মহিষ কিনেছিলেন কৃষক হোসেন আলী।
এদিকে সোমবার সকালে সংবাদ শুনে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা কৃষকের বাড়ি পরিদর্শন করে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের ইনস্পেক্টর তানভীর হাসান বলেন, আমাদের ২টি ইউনিট প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ নির্ণয় না করতে পারলেও ধারণা করছি মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, আগুনে কৃষক হোসেন আলীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কোনো সহযোগিতা পেলে অবশ্যই তাকে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
সিলেটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে আগুন, নগরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
৭ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঝিনাইদহে কয়েলের আগুনে ১১টি গবাদি পশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও ঝিনাইদহে কয়েলের আগুনে ১১টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার দিবাগত রাতে ভোলাহাট উপজেলার ময়ামারি গ্রামে ও শৈলকুপার বাহির রয়েড়া গ্রামে এ ঘটনা দুইটি ঘটে।
ভোলাহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুল কাশেম জানান, ভোলাহাট উপজেলার ময়ামারি গ্রামে জনৈক আবু সাইদের গোয়াল ঘরে শনিবার রাত ১টার দিকে মশা তাড়ানোর জন্য রাখা মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বাগানবাড়ি বস্তিতে আগুনে পুড়েছে ৫০ ঘর
পরে ফায়ার সার্ভিসের দল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ঘরে তালা লাগানো থাকায় আগুনে পুড়ে তিনটি গরু ও ছয়টি ছাগল মারা যায়। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে, বাহির রয়েড়া গ্রামের কৃষক আয়ুব হোসেন দুইটি গরু পালন করতেন। রাতে গোয়াল ঘরে তারা মশার কয়েল জ্বালিয়ে দেয়। অসাবধানতাবশত মশার কয়েল থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। এক পর্যায়ে পুরো গোয়াল ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা টের পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই গরু ও একটি বাছুর পুড়ে মারা যায়।
কৃষক আয়ুব হোসেন জানান, আগুনে তার ১০ মাসের গর্ভবতী গাভী ও একটি বাছুর মারা গেছে। আরেকটি গাভী পুড়ে ঝলসে গেছে।
এতে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে স্থানীয়রা পুড়ে মরা গরুগুলোকে বাড়ির পাশে গর্ত খুঁড়ে পুতে রাখে।
আরও পড়ুন: রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
গাজীপুরে আগুনে পুড়েছে ৩টি ঝুটের গোডাউন
৮ মাস আগে