এস আলম সুগার মিল
২৪ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি এস আলম সুগার মিলের আগুন
প্রায় ২৪ ঘণ্টায়ও চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন সুগার রিফাইনারি কারখানায় সৃষ্ট আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
সোমবার দিবাগত রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণের কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে সুগার মিলের ভেতরে আগুন আবার দাউ দাউ করে জ্বলে উঠছে।
ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলের আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টন চিনি
চিনির কাঁচামালগুলো দাহ্য পদার্থ হওয়ায় সেগুলো না সরানো পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে দুই থেকে তিন দিন লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, চিনির কাঁচামালগুলো দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন নিভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে আরও দুই দিন সময় লাগতে পারে।
ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, গোডাউনের ভেতরে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আগুন জ্বলছে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঢুকতে পারছেন না, কারণ আগুনের তাপমাত্রা বেশি।
এর আগে সোমবার বিকাল ৪টার দিকে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের এই চিনিকলের একটি গুদামে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে শুরুতে দুটি ইউনিট, পরে আরও পাঁচটি ইউনিটসহ মোট আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবু আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় যুক্ত হয় আরও সাতটি ইউনিট। সবমিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করে।
এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের পাওয়ার প্লান্টের সহকারী ফিটার মনির জানান, ওই গুদামে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি ছিল। এগুলো পুড়ে গেছে। কাছেই পরিশোধিত চিনি আছে আরও কয়েক লাখ টন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফের আগুন, এবার দুটি গরুসহ পুড়ল ১৮ ঘর
এস আলম সুগার মিলের আগুন সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
৭ মাস আগে
চট্টগ্রামে এস আলম সুগার মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৮ ইউনিট
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগরে এস আলম শিল্প গ্রুপের এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলস লিমিটেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকালে ৪টার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগরের সুগার কারখানায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর গাফিলতির কারণেই বার বার আগুনের ঘটনা
৮ মাস আগে